ঘুমের ঔষধ খেয়েও
নির্ঘুম কাটছে রাত ।
ক্লান্তিতে,
ভীতিতে,
এঞ্জাইটিতে,
বাবার মৃত্যুতে,
মায়ের অসুখে,
অভিমানে
ও নানাবিধ কষ্টে,
আমার অনেক ঘুম জমা আছে ।
এসব ঘুমের বিনিময়ে
আমি বানাবো কবিতা ।
কবিতা পুড়ালে সেই অগ্নিতে স্নান করে মায়কোভস্কি হবো।
মৃত্যুই হবে আমার শেষ অভিমান ।
পরীবাগ স্থপতি মজলিষ (উরফে পস্থম) হতে কিছুদিন আগে
ফোন দিয়া ডেকেছিল মোরে
স্থপতি বন্ধু মুলফাজ পেন্ডেলবন্দি, বলেছিল, খেলায়েত পস্থমে আয়।
স্বরচিত কবিতা কিসু যা শুনিয়ে। ...টাকা কি বিরিক্ষে ধরে? চা-সমুচা
-চানাচুর পাবি।
খুশি মনে বাছা বাছা বনেদি কবিতা কিছু ফল্ডারে ভরে
চলে যাই পরীবাগে। ছুটকালে একটি স্থপতিনী হাবিবি মম কানে
কানে কয়েছিল, স্থপতির মোন
রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম রোজা পালন
মোঃ রহমতুল্লাহ (আমার বাবা)
কোম্পানি অধিনায়ক,১১ নম্বর সেক্টর ।
মিত্রবাহিনীর কর্নেল রাও নির্দেশ দিলেন, সকাল ৮টায় বিশেষ ট্রেনিংয়ে তুরা (ভারত) যেতে হবে। তখন ভোর ৫টা। সেদিন ছিল পয়লা রমজান। আগেই সেহরি খেয়ে নিয়েছি। সব যোদ্ধাকে প্রস্তুত হতে আদেশ দিলাম। যথাসময়ে ১০-১২টি ট্রাক এসে পড়ল।
যখন ব্যস্ত ফুলের দল মুহূর্ত গুণে
চেনা রাস্তায় ঘরে ফিরে
তখন মেরুন সন্ধ্যালোকে
কোলাহলে আড়াল তোর আমার গুঞ্জন
নিয়ন অন্ধকারে মুখোশ খুলে
তোর সুরে চিৎকারে
দৃষ্টির কামনায় মমতার ছন্দ
বাধার অরণ্যে তোর ঘ্রান
একমাত্র নিশ্চিত স্থানাংক
ভাঙনের খবরে ঘুম ভাঙে
অচেনা ঘরে কম্পিত শব্দে
সতন্ত্র সাহসীর ভয়ার্ত চিৎকারে
হঠাৎ খুন হয়েছে
স্বপ্ন মোড়া আমার বিষণ্নতার একমাত্র ঠিকানা
অভীক একটা দুরন্ত সাত বছরের বাচ্চা। পাজল মিলায়, ফুটবল খেলে, অঙ্ক করে। মাঝেমাঝে ছবি আঁকে। আঁকটোবর উপলক্ষে অভীকের আঁকিঝুঁকি থেকে একটা পোস্ট।
নানাভাইকে দেখতে যাচ্ছি...
২০১৬র শেষাংশে কর্মসুত্রে রাজধানীতে সেট হবার পর থেকে আবাল্যের শহর চিটাগঙে গমনের হার ছিল অতি নিয়মিত। কাজের চাপ ও পরবর্তীতে সাক্ষী হতচ্ছাড়ার সাথে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে ক্রমে ক্রমে চট্টগ্রাম হয়ে উঠলো কদাচিৎ ছুটিছাটায় যাবার জায়গা। ছ'মাসে, ন'মাসে একবার, দুই রাত কি একবেলার জন্য।
সময় কই!
রহিম বাদশা এখনো পোলাপান। দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করে উচ্চমাধ্যমিকের অপেক্ষায়। মোটামুটি গুছিয়ে এনেছে সবকিছু। তার মধ্যে এই লক ডাউন। সঠিকবেঠিক সবসময় সবাই বাড়িতে।
টেস্ট পেপারগুলি টেবিলের উপরেই ভৌগলিক অবস্থান বদলাতে থাকে। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু হলেই ফাটিয়ে ফেলবে মেজাজ বাড়িময় ভন্ ভন্ করে। ঘরের মধ্যে ষোলগুটির কোর্ট বানিয়ে হাঁটে। হাঁটতে থাকে রহিম বাদশা।
বিমলদা কে খুব মিস করছি বিগত দুই সপ্তাহ ধরে। মানুষটা কি এখনও বেঁচে আছে বাংলার কোন জনপদে? মহল্লার মোড়ের আলো ঝলমলে দোকানটা তো উঠে গেছে সেই কবে। দেয়ালে ছাঁটা পার্শ্বচিত্রের সেই সব সুকেশী রুপালি পর্দার নায়কদের অনেকেই আজ বয়সের ভারে কেশহীন।
বাবার চাকুরীর সূত্রে ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একটি দিনে আমরা সপরিবারে ভুরুঙ্গামারি নামক একটি প্রত্যন্ত স্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। রংপুর থেকে লালমনিরহাট গামী ট্রেনে এসে তিস্তা নদীর উপরে যে তিস্তা রেলওয়ে সেতু, তার কাছেই তিস্তা নামের একটি অতি অর্বাচীন রেল জংশনে আমরা কুড়িগ্রামগামী ট্রেন ধরার জন্য দুপুরের পর পর এসে পৌঁছালাম। আব্বা বললেন- ঐ তো কুড়িগ্রামের ট্রেনটি প্লাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছে। তা অব
[justify] অনেকদিন বোলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাই না। মনটা চায়, কিন্তু সময় আর সুযোগ দুয়ে ইম্রুল কায়েসের ব্যাট আর ইশান্ত শর্মার বলের মত একত্র হয় না। সময়টাও কেমন জানি অস্থির যাচ্ছে। পিএইচডি শেষের দিকে, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। দেশে কিছুদিন পরপর কিছু একটা নিয়ে অস্থিরতা, পরিবারে, সমাজে। সব মিলিয়েই #কিয়েক্টাবস্থা। সবচেয়ে বেশি প্যারা দিচ্ছে পিএইচডি। মুরুব্বিরা বলেন (যারা ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন) পিএচডির ৯৯% হলো সুপারভাইজার। করতে এসে হাড়ে মজ্জায় টের পাচ্ছি।