১৩.
মানুষ এক অবাক প্রাণী- চলতে গেলে থামতে চায়, থেমে থাকলে চলার প্রেমে মজে। সারাদিন গাড়ি ছুটছে তো ছুটছেই, ছুটছেই, ছুটছেই... থামার ইচ্ছে বাড়ছেই, বাড়ছেই...
রংপুর পার হয়ে গাড়ি ছুটছে নীলফামারীর দিকে। উদ্দেশ্য ডোমার। দুটো সুন্দর জায়গা- ডোমার, ডিমলা। কেমন যেনো ডিম-ডিম-ডোম-ডোম গন্ধ! সেই সাতসকালে ‘অংপুরত ছাড়ি’ আসার পর গাড়ি শুধু চলছেই, ডোমার যাবে, ডিমলা যাবে, ডিমলা যাবে, ডোমার যাবে, ডোমলা যাবে, ...
দখিন বসন্তের হাওয়া এসে এই পরদেশে বলে যায় ফুটিয়াছে ফুল, তামাদি বর্ণের । সমুদ্দুর সাত, আর নদী কতো শতো;- তবু তার সঙ্গে একদিন, কবে জানি জানা শোনা হয়ে যায় ! বিষে বিষে নীল হয়ে গেলো সহজিয়া মাঠ, তার বেদনায় আকুল আমরা পরষ্পরই তখন যুগপথ 'অমল' সাজি । আর থাকে আমাদের এক বকুল দি’ ! শান্তি জাগানিয়া মেঘের প্রহর পেরিয়ে গেলে যে দেশ, তার নির্জনতম গ্রাম... সাধের শস্যের ভেতর, স্বপ্নের ভেতর মুখ তুলে নতুন এক আহলা...
বইমেলায় সেদিন সম্ভবত ছিল জায়গীরনামার মোড়ক উন্মোচন । অনুষ্ঠান তখনো শুরু করিনি, আমরা বেশ কয়েকজন সচল বসেছিলাম নজরুল মঞ্চের কিনারে । মঞ্চে তখন অন্য কারো বইয়ের মোড়ক উন্মোচন চলছিল, ওদের অনুষ্ঠান শেষ হলেই আমরা শুরু করব । শান্ত শিষ্ট হয়ে বসে অপেক্ষা করা তো আবার আমাদের স্বভাব বিরুদ্ধ, আমরা ব্যপক আড্ডা জুড়ে দিলাম । আমি যেখানে বসেছিলাম, তার থেকে একটু দূরেই মঞ্চে উঠার সিঁড়ি । সেখানে আগে থে...
৮.
শেভ করা গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ওঠে; আগের রাতে মাটিতে বীজ ফেলে রাখার মতো - ভোরবেলা চারাগাছগুলো উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করলে পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কৌতুহলে যেমন দেখে- গাড়ির আয়না দিয়ে গৌতম তেমনই নিজের গাল দেখছে। এই শেভ করা নিয়ে বিধাতার প্রতি গৌতমের প্রবল রাগ ছিলো- কী দরকার ছিলো পুরুষদের শুধু শুধু হয়রানি করার! একদিন-দুদিন পরপর এই ঝামেলা কে করবে! কী আরামেই না আছে মেয়েরা! কিন্তু যেদিন ‘...
কোল্ড আউট, এহ্?
জীবনে প্রথম বরফ দেখতে চীন বর্ডারে সিকিমের ইয়ামথাং গিয়েছিলাম, পরিচয় লুকিয়ে ভারতীয় সেজে, ধরা খেলে এদ্দিনে কই যে থাকতাম! তখন নিশ্চয়ই বিধাতা মুচকি হেসে বলেছিলেন, তোর কপালে তো বরফ-চুবা লিখে রেখেছি, তুই আবার বরফ দেখতে এত কষ্ট করিস ক্যান রে বোকা? টরন্টোর -২৩ ডিগ্রী সেঃ আমাকে স্বাগত জানায় । এখানকার বিচারে এটা নাকি তেমন ঠান্ডা না! তবে উইন্ড-চিল জিনিষটা কি সেটা আমি প্রথম বারের...
০.
ইলেকট্রিসিটি নেই। পুরো ঘর অন্ধকার করে বসে আছি। ল্যাপটপের মনিটর থেকে ভেসে আসা সামান্য আলোটুকু অন্ধকার দূর করতে যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছে। জানালাটা বন্ধ। শুধু পর্দা সরানো আছে। বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। কে জানে বৃষ্টি আসবে হয়ত, অথবা ঝড়। চারপাশ কেমন অবিশ্বাস্যরকম নিস্তব্ধ। অন্যান্য দিন বাইরে থেকে নানান রকম হট্টগোলের শব্দ ভেসে আসে। আজ তেমন কিছুই শোনা যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ বাদে...
রেড মীট খেলে নাকি মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। গরু, ভেড়া, খাসির মাংস তাই বিষবৎ পরিত্যাজ্য।
এ বিষয়ে বিশদ তথ্য পাই হের চৌধুরীর কাছ থেকে। পেঁয়াজ কাটতে কাটতে। চৌধুরী কথাগুলি বলেন সদ্য কেনা গরুর গোস্ত সাইজ করতে করতে।
পাতিলে তেল গরম করে কাটা পেঁয়াজ বসিয়ে চৌধুরী মাংসকে আদা-রসুন-পেঁয়াজ-মরিচের পেস্ট আর দই দিয়ে মাখাতে মাখাতে আবার রেড মীটের গল্প শুরু করেন। কোথায় এক গবেষণায় নাকি দেখা গে...
আমাকে আর কেউ পছন্দ করে কিনা তা আমার জানা নেই, কিন্তু পুলিশ নির্ঘাৎ আমাকে পছন্দ করে। তা নাহলে কি আর আমার পেছনে লেগে থাকতে পারে? বলুন, আপনারাই বলুন। আরে ভাই, আমিতো মানুষ, রোবটতো আর নই যে সব কিছু সবসময় ঠিক মত করতে পারব। আর মানুষ মাত্রেই ভুল করে।
হাজার হলেও বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙ্গালি আমি। তাই বাঙ্গালি ধাঁচ অনুসরণ করতে গিয়ে আমেরিগো ভেসপুচির দেশ আমেরিকার ম্যাসেচুসেটস নামক স্টেটের বোস্...
টরন্টোতে এসে পৌছেছি আজ মাস খানেক । স্কিল্ড কামলা হিসাবে নতুন অভিবাসী হয়েছি এখানে । এখানকার কর্তৃপক্ষ আমাকে কয়েকটা প্লাস্টিক কা্র্ড ধরিয়ে দিয়েছে (এই কয়টা প্লাস্টিকের টুকরার জন্য এত ক্যাচাল!?!)। কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকায় ফিরে যাবো, তার আগে এইখানে ধরে রাখি এই সময়টুকু...
তিক্ততা দিয়ে শুরু
আমি এসেছি হংকং হয়ে । আমার কাছে আসার দুটো রুট ছিলো, একটা দুবাই আরেকটা হংকং হয়ে । দুবাই আগে গিয়েছি কয়...
ডেস্কটপের দিকে তাকায় আছি। একপাশে ফাইল-কাগজের ছড়াছড়ি। জবুথবু হয়ে বসে প্রতিদিন ৫/৬ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েযায়। ফরোয়ার্ডেড মেইল মারফৎ জানছিলাম একবার যে জেলখানা অফিস কিউবিকল হইতে উত্তম। আমিও তাই বলি। কিন্তুক..লাইন ধরে সাজানো ফাইল, সর্বদা খোলা আউটলুক, কোন টুং শব্দ হলেই ঝাপায় পড়া ইনবক্সে। সবকিছুই ক্যামনজানি হলদেটে এখন। জন্ডিস রোগীদের মত দুর্বল সমস্ত প্রচেষ্টা। মাসকয়েক আগে...