করতলের বিন্যাসে হাত রেখে, শখের জ্যোতিষী বলেছে- বড্ড জটিল এই হাত; একটি ভালোবাসাও পূর্ণতা পাবে না, যাকে বুকের কাছে রাখতে চাইবেন, জানা থাকবে না তার ঠিকানা।
আমি মুচকি হেসেছি।
বলেছে, আয়ুরেখা না কি ভীসণ লম্বা, আমি বটগাছ হব সব দীর্ঘ সময় ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
আমি নীরব ছিলাম।
এই ভবিষ্যদ্বাণী স্পন্দিত হৃদয়ে অবহেলে রেখে পাশে
মানবিক চোখ-কান খুলে দিয়ে, নিজেকে করেছি
নিঃঝুম আকাশের চেতনালব্ধ সাগর।
ভে...
সকালটা রোজকার মতই সদামাটা, দেরিতে ঘুম থেকে উঠে কোনমতে গোসলটা সেরে জোরকদমে মার্চপাষ্ট, প্রায় দৌঁড়েই রাস্তার মোড়ে। তার পরে টুক করে হোটেলে ঢুকে পড়া, রোজকার পরিচিত বেয়ারার সালাম নেওয়া গম্ভীর মুখে, যেনো আমি কোনো বিশিষ্ট হোমরা চোমরা আরকি।
না বলতেই এসে দাঁড়ায় এক কাপ কম চিনি দেওয়া চা হাতে, দিনের প্রথম সিগারেট, চায়ের সাথে, এক চুমুক আগুন গরম চা আর এক বুক ধোঁয়া। আহ!
চা শেষ হতে না হতেই সামনে ...
মানসিক নির্ভরতা, শারীরিক আস্থা- এ দুটো বিষয় যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। আমি তোমার উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল, সেই নির্ভরশীলতা তোমারই দেয়া আদর মমতা ভালোবাসায় শরীরি নির্ভরতাতও রূপ নিয়েছে। তুমি কি ভাবো আমি কোন অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে তোমার মুখাপেক্ষী হই? তুমি ই কি কোন স্মৃতিকে সমুন্নত রাখতে আমার শরণাগত হও? উত্তর 'না'। তোমার ভেতরে একধরনের আনন্দের অণুরনন ঘটে যখন তুমি টের প...
তখন রাত দুইটা হইবে। এক হাতে মাথা চুলকাইয়া, নিচের দুই হাতে কলা ছিলিতে ছিলিতে ডালে বসিয়া লিখিতেছিলাম। দাদু ব্যাটা দেখি পাশের ডালখানাতেই বেশ ফোররর-ফোৎ জুড়িয়া দিয়াছে। যেইভাবে ডাল টাল কাঁপাইয়া পাশ ফিরে, ভাবি বুড়ো পড়িয়া না মরে আবার! একবার ঘুমের ঘোরেই বলিয়া উঠিল, 'না না! .. ইউরিয়া কলা খাব না!' .. কি ছাইপাশ স্বপ্ন দেখে কে জানে..। ঘুম বোধ করি ছুটিয়া গিয়াছিল। আড়মোড়া ভাঙ্গিয়া দেখি উঠিয়া বসিল। একখ...
১…
কনুইটা শুধু বের করা জানালা দিয়ে। হালকা শীতের স্পর্শ। কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে গানটাকে মস্তিষ্কের ঠিক মাঝখানে বসানোর চেষ্টা। তারপর সেখানে বেজে ওঠা- “আমি স্বচ্ছল তাই একেঁছি দু’চোখে স্বচ্ছলতার স্বপন … ” কিংবা আমার রুমমেট ফাহিম আর সাব্বিরের মতে এ যাবত কালে ব্ল্যাকের করা সবচে জঘন্য গান “এই নিঝুম রাতে একা আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে …" পাশ দিয়ে বিপরীত দিকে ছুটে চলছে গ্রাম, রাস্তা। ত...
একদিন - প্রতিদিন
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন যেনো আমি সময়ের সাথে চলি
কুউ কুউ কুউ শব্দে একটানা বেজে চলেছে ঘড়ির এ্যার্লামটা। সকাল এখন সাড়ে ছটা। বাইরে অন্ধকার। শীতকালে সূর্যের দেখা পাওয়া অমাবস্যায় চাঁদের দেখা পাওয়ার মতো ঘটনা এখানে। তারপরও যেদিন আকাশ দেবতা প্রসন্ন হন, মেঘ দেবীর সাথে খুটোখুটি কম হয় সেদিন আলো রাজকন্যা মুখ ভার করা হাসির মতো একটা আবছা আবছা আ...
অফিসিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে যাচ্ছি, আমার স্বপ্নের ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে। প্রায় এক সপ্তাহ পুরো উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াতে হবে। আগামী শনিবার এই যাত্রা শুরু হবে, শেষ হবে বৃহস্পতি বা শুক্রবারে। আপাতত যাত্রার স্কেজ্যুলটা এরকম-
শনিবার- ঢাকা থেকে সোজা গাইবান্ধা, তারপর ব্যাক করে বগুড়াতে রাত্রিযাপন।
রোববার- বগুড়া থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে রংপুরে সেদিনকার মতো যাত্রাবিরতি।
সোমবার- নীলফামারী গ...
শাদা পাতার দিকে তাকায়া মাথা খাউজাইলে আসলে কুনো লাভ নাই! তাতে খাউজানোর আরাম লাভ হয়, কামের কাম কিস্যুই হয় না। এরকম বেগতিক অবস্থা দেইখা শাদা পাতারা অখন বোর হয়। অগো জীবনে অরা এরকম দৃশ্য বহুত দ্যাখছে বইলা আইজকাল আর বিচলিত হয় না। কিছু অর্থহীন শব্দাবলী অগো শরীরে পরম মমতায় লেখা হইবো বইলা যখন অস্থিরতায় কাঁপতাছে অন্য একজন -- শাদা পাতারা হাই তুলে বিকট শব্দে। দৃশ্যের একই পুনরাবৃত্তিতে ক্ল...
প্রতিবার পানের পর ক্যামন ভালো লাগতে শুরু করে!
জিব্বার তিতকুইটা স্বাদটা সরিসৃপের মতো পেট ঘষটাইতে ঘষটাইতে নাইমা যাইতে থাকে নালি দিয়া। শিরায় শিরায় এ্যাকটা দাউদাউ আগুন লকলকায় উঠে থাইকা থাইকা। পেটের অন্দর থেইকা কথারা হুররা দিয়া উইঠা আসে.... । এইটা ওইটা সেইটা কত কী বকবকাই। ওরাও কী সব হাবিজাবি কয়া যাইতে থাকে... খালি কয়া যাইতে থাকে। কিছু কথা কানে যায়, কিছু কথা ভাইসা থাকে এইদিক ঐদিক। কথার...
ছুতো পেলে গুঁতো মারে
নাকটাই শিং তার
চেহারাটা থলথলে
কিম্ভুত কিমাকার
যেন তার-
ইয়া বপু চলে না
গুঁতোলেও টলে না
চামড়াটা এতো পুরু
নাম তার গণ্ডার।
জু’তে গেলে দেখা মেলে
আফ্রিকা বাড়ি তার
হয়ে গেলে লুপ্ত
খুঁজে পাওয়া হবে ভার
তাই বুঝি-
স্বভাবটা ধরে রেখে
বহুরূপে রূপ ঢেকে
মানুষের ভীড়ে না কি
ইদানিং একাকার! #