[চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনাচিত্র প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে]
দেশের বাইরে থেকে মেলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করতে না পেরে প্রবাসী যাঁরা এবারের মেলা নিয়ে খুব আগ্রহী ও কৌতূহলী ছিলেন, তাঁদের মনোযাতনা কিছুটা হলেও আঁচ কর...
বছরের শুরুতে কেউ যদি আমাকে বলতো যে মার্চের প্রথম সপ্তাহে এসে চাকরি-বাকরি অক্ষত থাকবে, তাহলে কিছুটা অবাকই হতাম। ২০০৯ সাল যে ইট্টু খারাপ যাবে, এই বিষয়ে তেমন কোন সন্দেহ ছিল না। গত ডিসেম্বরে যখন অফিসের ক্রিসমাস পার্টি অনুষ্ঠিত হলো - লন্ডনে এর মোদ্দা কথা হলো পাড়-মাতাল হয়ে রেস্টুরেন্টের টেবিলের তলায় পড়ে থাকার একটা অফিশিয়াল অজুহাত - তখন আমি আমার চারিদিকে তাকাই আর ভাবি, বন্ধুগণ, সামনের ব...
এই ঢাকা শহর অস্থির কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু এটুকু বুঝতে পারি, অস্থিরতার আন্তনগর ট্রেন আমার মধ্যে সেই যে চলা শুরু করেছিলো কিছুদিন আগে, তা এখনো থামছে না। সম্ভবত থামার মতো কোনো স্টেশন পাচ্ছে না। কিন্তু আমাকে যে থামতেই হবে!
এই শহরটার প্রতি আমার খুব মায়া। এই শহর আমাকে অন্যচক্ষু দিয়েছে, এই শহর আমাকে গতি দিয়েছে, এই শহর আমাকে মানুষ দেখিয়েছে, এই শহর আমাকে স্বস্তি দিয়েছে, আর এই শহর আমাকে ...
বছরের গোড়ার দিকে একদিন হঠাৎ নতুন বন্ধুনি ইরিনা সকালে ফোন দিলো। হেরকুলেসে যাবো কি না।
ইরিনা ইউক্রেইনের মেয়ে। আমার চে কয়েক ইঞ্চি লম্বা, তার চোখে চোখ রাখতে গেলে ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়, তাই কাঁচুমাচু হয়ে একটুউউউউ নিচে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাতে ঘাড় আর চোখ দুটারই আরাম হয়। চৌধুরী গ্রীষ্মে প্রায়ই ঘ্যানঘ্যান করতেন, প্রচুর বিয়ার পান করে হেরকুলেস থেকে হেঁটে নিচে নামার জন্য। হুঁ হাঁ করে এড়িয়ে গেছ...
(১)
দেশে এখন একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যাকে বলে দুঃসহ। ঘর থেকে বেরোলেই চলমান যে মূর্তিগুলো আশেপাশে দেখি, ক’দিন আগেও এরা উজ্জীবিত মানুষ ছিলো ! এখন শুধুই আতঙ্কগ্রস্ত দুপেয়ে প্রাণী এরা, রোবট যেন। পরস্পর অনাস্থা, অবিশ্বাস। এবং অদ্ভুত এক অথর্বতা এসে গ্রাস করে ফেলেছে ! থমকে গেছে সব ! দৈনন্দিকতার শত কষ্ট ব্যথার মধ্যেও যাদের উৎফুল্ল থাকা উদ্ভাসিত মুখগুলোর দিকে তাকালে ভেতরের জমাট দুঃ...
'অমৃত মেঘের বারি, মুখের কথায় কি মেলে চাতক, স্বভাব না হলে'
* চাতকের হয়তো খেয়াল নেই পৌরাণিক কাহিনীর যুগ শেখ। তার হাহাকার সমুদ্রে মিশে গেলেও যেতে পারে; কিন্তু নীলকন্ঠ যতোই মন্থনের সংহারে গলাটাকে ব্যস্ত রাখুন না কেনো- চাতকের ভাগ্যে অমৃতের বৃষ্টি ঝরার আশংকা খুবই ক্ষীণ, কারণ কখনোই নীলকণ্ঠের অভ্যাস হবে না জীবনের বিষ গিলে ফেলা। রাটিনাস খেয়ে মরার সৌভাগ্য কোটি মানুষের একজনের হয়, তাও সারাজ...
১. টুইন টাওয়ার, লন্ডন, ম্যারিয়ট-করাচি, মুম্বাই-তাজ, পিলখানা-বিডিআর...তারপরে কী?
ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়া...তারপরে কে?
২. মুম্বাই হোটেল, ঢাকার বিডিআর-সেনা, লাহোরে শ্রিলঙ্কার ক্রিকেটার...তারপরে কী?
৩. ইরাক থেকে তুলে আনা সেনা আফগানিস্তানে মোতায়েন, ওয়ার অন টেররের সাউথ এশিয়ায় আনা নিয়ে ওবামার ঘোষণা...তারপরে কী?
৪. ট্রানজিট-টিফা-সোফা-গভীর সমুদ্রের গ্যাস-ফুলবাড়ীর কয়লা-সন্ত্রাসবিরোধী টাস...
১.
দিনগুলো কিভাবে চলে যায় ঠিক টের পাই না। গত বছরের ২৫ আগষ্ট দেশ ছেড়েছিলাম, গুনে গুনে ছয়টা মাস চলে গেছে। গত সেমিস্টারটা খারাপ কাটেনি।এই ভার্সিটিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সবমিলে মাত্র ১৫ জনের মতো বাংলাদেশী ছাত্র। এর মাঝে দু’একজন বিবাহিত ছাড়া বাকীরা জীবিত। জীবিতদের বেশিরভাগ উইকেন্ডে আড্ডা দিতাম। তবে উইন্টার শুরু হওয়াতে সবাই কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে। আগের মতো আর আড্ডা জমে না। চারপাশে জমে...
দু'দিনের তুষারপাতে ব্ল্যাক্সবার্গ ঢেকে গেছে পুরো। স্কুলের ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কিছু।
আহা, বিদেশ!
ফ্রিজের বাইরে বরফ দেখার শখ আমার অনেক দিনের। আমেরিকা এসেও ৪ বছর লুইজিয়ানায় থাকার বদৌলতে শীত কেটেছে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে! গত শীতে ভার্জিনিয়া এসে দেখলাম বরফ। স্লেজিং নামক কাজটা সেবারই জীবনে প্রথম করলাম। এই শীতে বরফ পড়েছে বেশি, কিন্তু জমলো এবারই প্রথম। মাঝে -২৫ ডিগ্রি ফারেনহ...
প্রতিদিন আমার যাত্রাপথের সময়টুকু আমি খুব অনুভব করি।
কিছুদিন আগেও ঝাঁ ঝাঁ রোদ ছিল না, বেশ মোলায়েম একটা বাতাস থাকতো, অনেক সময় আকাশ ঘন ধূসর হয়ে থাকতো আর সাথে একটা শীতল বাতাসও বইতো, আমার খুব ভাল লাগতো। এখন সেরকম নাই, শুষ্ক বাতাস ডাইনির মতো উড়ে বেড়ায়, সাথে চড়চড়ে রোদ! চামড়া পুড়িয়ে রোদের ঝাঁজ মাংশে গেঁথে যায় বলে আমি শিহরিত হই, যদিও এমন শিহরণে ক্রমশ মজে থাকা যায় না! নেশা ছুটে যাবার মত জেগেও ...