(শিরোনামের প্রশ্নটির উত্তর আমরা জেনে গেছি। যারা অনলাইনেও দেশের দৈনিক পড়েন না তারা নীচে জ্বিনের বাদশার পোস্টে উঁকি দিতে পারেন। তবে পত্রিকা আর পোস্ট থেকে আপনারা যা জানবেন তার সাথে আরো কিছু যোগ করার জন্যই এই পোস্ট। শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।)
আবু করিমের দুর্ভাগ্য যে কবি হিসেবে তার নামটা ফাটলো আমলা হিসেবে তার চাকুরি যাওয়ার পর। এই বিশ্বমন্দার সময়ে একদা সহকর্মী হিসেবে তার চাকুরি যাও...
সেদিন বাসে ফিরছিলাম হারবারফ্রন্ট থেকে, ১০ নম্বর রুটের ভলভোতে চড়ে নীচতলার একটা সিটে বসতেই নজরে পড়লো লেখাটা, 'অন্য যে কোনো পেশার মতই এই বাসের ক্যাপ্টেন আপনার কাছ থেকে যথাযোগ্য সম্মান আশা করে, তাকে তার সম্মান দিন, অন্যথা দেখলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান'। বাসচালককেও যে ক্যাপ্টেন বলা যায়, সেটা আমার মত বঙ্গসন্তানের কাছে 'আররে, ইন্টারেস্টিং তো'। আমরা ড্রাইভার বলে গালি দিতে অভ্যস্ত, কিংবা...
এক.
সন্তর্পণে দরজাটা ফাঁকা করে উঁকি দিলাম- শালা বোধহয় চলে গেছে! আস্তে শব্দ না করে বারান্দা পেরিয়ে উঠানে নামলাম- না, বোধহয় এ কারণে আসে নি। মনের ভেতরে স্বস্তি অনুভব করলাম, পরমুহূর্তে নিজের ওপরই অসম্ভব রাগে ফেটে পড়লাম- হালার আডানা হইসার লাইগ্যা এইরম লুকাইয়া থাকন লাগে!
দুই.
গত ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে আমরা দলবেঁধে স্কুলে আসি। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাবাজি করার পর শালা আনিস বলে- ল...
আমার সবেধন নীলমনি ক্যামেরাটা নিয়ে বের হয়েছিলাম গতকাল।
এমনিতে আমার ক্যামেরাটা নিয়ে আজকাল খুব বেশি বের হওয়া হয় না, লেন্সে কিছু সমস্যা হয়েছে। সম্ভবত ফাঙ্গাস পড়েছে। কী মনে হওয়াতে গতকাল নিয়েই বের হয়ে গেলাম।
বইমেলায় ছবিতোলা বেশ মুশকিল। এত লোকের ভীড় সুন্দর করে পজিশন ঠিক করে ক্লিক করার মুহূর্তেই কেউ না কেউ সামনে দিয়ে চলে যায়। এর উপর মেলায় এত ভীড়, ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবি তুললে ধুলিকণাগুলি ...
আমারে বলছে রিপোর্ট লেখতে, ভাল কথা লেইখা ফেলব।
কিনতু লেখতে হবে ৭২ ঘন্টার মধে্য..৩ দিন না, ৭১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট..
অসুবিধা নাই..লেইখা ফেলব।
রিপোর্ট বেশি বড় হইতে পারবে না..মাত্র ২০০০ শব্দ,
আরও ভাল কথা..
আমি কই -আবুল চা লাগা..আর মফিজ চোথা গুলান দে..
তারপর তো একটানা লেখা শেষ করলাম।
এইবার কয় প্রেজেনটেশন দাও..
আমি কই..অসুবিধা নাই.."তুফানে বেঁধেছি লুংগি, বাতাসে কি ভয়"
আইজকা প্রেজেনটেশন দিতে দারাইছি-১...
গত বইমেলায় যখন আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় তখন আমার লাগাম ছাড়া কোনো উত্তেজনা ছিলো না। বই প্রকাশে ঝামেলা থাকে, সময় নিয়ে টানাটানি থাকে, প্রকাশকের সাথে মনোমালিন্য থাকে, এসব বাদে মোটামুটি নির্লিপ্তই ছিলাম। এমন কী মাঝে একবার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেললাম বই বের করবো না।
নানান ঝক্কি বাদে সেই বই প্রকাশের দিন ঠিক হলো ১০ ফেব্রুয়ারি। ডঃ আলী আসগর স্যারের বড় ছেলে রঞ্জন আম...
হাসান মোরশেদের শমন শেকল ডানা'র কথা আগেই জেনেছি। মেলায় বেশ কয়েকবার শুদ্ধস্বরের স্টলে হানাও দিয়েছি। তখনো প্রকাশ হয়নি। গতকাল মেলায় ঢুকেই আগে শমন শেকল ডানা কিনে ক্ষাণিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। দুপুরে ফেসবুকে ঢুকেই হাসান মোরশেদের মেসেজ দেখতে পেয়েছি। পাঁচটি বই পাঁচজন আদিবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে, শুদ্ধস্বরে নাকি উনি বলে রেখেছেন। বই কেনার পর ভাবছি আহমেদুর রশীদের কথা। উনাকেতো আমি চিন...
যাদের সাধ নেই সাধ্য নেই, এমন বিমূর্ত তাদের ক্ষেত্রে কারো বলার মতো কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যাদের সাধ আছে সাধ্যও আছে, এরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। সাধ'কে সাধ্য দিয়ে রাঙিয়ে শুধু নিজকেই নয়, সবাইকেই তৃপ্ত করার সামর্থ রাখেন এরা এবং অনেকে করেনও তাই। অথচ যাদের সাধ্য আছে সাধ নেই, সম্ভবত এরাই দুর্ভাগা, যদিও নিজেরা তা বুঝেন বা মনে করেন কিনা জানি না, অথবা এরকম কোনো মানব-সত্তা আদৌ আছে কিনা ...
পাপনকে নিয়ে কোনো গল্প লেখা হয় নি অনেকদিন।
পাপনের সাথে দেখা হয় প্রতিনিয়ত। ওর সাথে গল্প করি, কথা বলি, মাঝে মাঝে ঘুরতে যাই। বইমেলায় গিয়ে বই কিনে দিই। পাপন আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে সুখ-দুঃখের কথাগুলোও শেয়ার করি। আমি যতোটুকু করি, ও শেয়ার করে তার চাইতে অনেক বেশি। ওর কেন যেন মনে হয়- ওর বান্ধবীর চাইতেও আমি নাকি ওকে বেশি বুঝি। আমি বলি- তুই আর আমি ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি। আর বন্ধুকেই যদ...
ছবিগুলো তুলেছিলাম গতপরশুই, কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততায় আর লেখা হয়নি । পুতুলকে কথা দিয়েছিলাম বইয়ের ছবি তুলে পাঠাব । বইটা হাতে পেতে আমারো অবশ্য সামান্য ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে । কয়েকটি ছবি মোড়ক উন্মোচনের সময় তুলেছিলাম, নজরুল মঞ্চে । তখন পুরো মেলায় মাত্র দুই কপি বই । তার একটি উপহার দেয়া হয়েছে জনাব আহমেদ মাযহার কে ।
পরে নজরুল মঞ্চ থেকে স্টলে এসে শুনি দুইমাত্র কপিখানিও কে জানি ...