এই লেখাটি একত্রিশ জানুয়ারি রাতে পোস্ট করেছিলাম। দেয়ার একটু পরই প্রথম পাতা থেকে তা সরিয়ে নিয়েছিলাম নিজের ব্লগে। এখন প্রথম পাতায় দিতে চাইছি- এতে কি কোনো ধরনের বিধি লঙ্ঘন করা হ'লো?
================================================
তোমার তিনটা বই। একটা কবিতা। একটা বোদল্যারের ভাষান্তর। একটা তথাকথিত সম্পাদনা।
ওগুলো নিয়ে গত একমাস ছুটেই চলেছো তুমি। বহু কষ্টে কম্পোজ শেষ করেছো। রাত জেগে রাত জেগে। প্রকাশকের হাত পর্...
প্রতি বছর ইজতেমা এলেই আমার মাঝে কোত্থেকে জানি ব্যাপক পরিমাণে জিহাদী জোশ এসে ভর করে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশেই থাকি বলে কীনা কে জানে। তখন বিপুল উদ্যমে বিছানা গোছাতে লেগে যাই। সকল রকম আলসেমী ঝেড়ে বছরে হাতে গোণা যে কয়েকবার বিছানাটা গোছগাছ করি ইজতেমার সময়টা সেরকম একটা সময়। দেখতে দেখতে এই বছরের ইজতেমাও চলে আসলো। এবং আমি আগের তিনবছরের পুনরাবৃত্তি করে বিছানা গোছগাছে মন দিলাম আজকে। ...
দেশে এসেছি বেশ কদিন হল। দুই বছর পর আসছি বলে কেমন একটা হোম সিকনেস কাজ করছিল। বিমান বন্দর থেকে বের হয়েই কেমন একটি ঘোরের মধ্যে পড়ে গেছি। সেই চেনা ভীড়, সেই মানুষের ঢল। কিন্তু কোথাও যেন কিছু মিলছে না। প্রথমত: ট্রাফিক জ্যাম আগের মত থাকলেও বাতাস অনেক বিশুদ্ধ। কারন শহরের ৭০% গাড়ি এখন গ্যাসে চলে। পেট্রোল পাম...
সেই চীরচেনা ফ্রেমের ভেতর ঘন কুয়াশা ! মা’ ডাকছিলো ‘আয় বাবা , আয়...’ ! পৃথিবীর শেষ পাখি তখন বলছিলো-‘এভাবেই, এ-ভাবে একলা থাকা ভালো । মাঝে মাঝে ...’ মাঠভর্তি আবছা ভ্রম রেখে, হাড়ের ভেতর দিনযাপনের ভার রেখে, মগজে পাহাড় পুষে- গাইলো,
গাইলো-ই ‘বিরহের মেঘ ভেসে যায় অলকার পথে...’
জ্বলে গেলো মাঠ...জল নীল হলো বিষে ! হা ময়ুরাক্ষী...হা দামোদর ...জল , সে জল, এতো, কোথায় যায় ! বত্রিশ বছর ! এতো এতো বছর । বয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়...
১
কয়েকদিন আগে রাতে শাহবাগ থেকে একটা বাসে উঠে কয়েকটা স্টিকার লাগিয়েছিলাম বাসের ভেতরে । তারপর এক কোনায় চুপচাপ বসে পড়লাম । ফার্মগেটে এসে অনেক লোক উঠে বাসটা ঠাসাঠাসি করে ভরে ফেলল । যেসব জানালার কাঁচে স্টিকার লাগিয়েছিলাম তার একটার পাশে বসেছিলেন মধ্য বয়সী এক ভদ্রলোক । স্টিকার দেখেই এই প্রসঙ্গে পাশের জনের সাথে আলাপ জমে গেল । আমি কান পেতে শুনতে থাকি তাদের কথা । জানালার পাশের ভদ্রলোকই ...
আমার প্রতি তার তীব্র ভালবাসাই জয় করে নিয়েছিল সমস্ত প্রতিকূলতা । তখনকার প্রতিটি দিনরাত ছিল উৎকন্ঠার-না জানি কি হয় ! শেষের তিনটা মাস ছিল তিন যুগের সমান।
ঘরকুনো আমি ঘর ছাড়তে চাইতামনা যদিও, তবুও তার ব্যকুলতা স্পর্শ করত আমায় শতভাগই। বুঝতে চাইতনা সেটা তখন এবং এখনও। খুব কঠিন করে কিছু বললে জ্বর এসে যেত তখন এবং এখনও। প্রতি মূহূর্তে ১০০% এটেনশন চাইত তখন এবং এখনও...
ও আমার কাছে কোমল ছায়া চাই...
ক্যাপ্টেন সং এর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়, সেক্টর হেডকোয়ার্টারের সামনে। প্রথম পরিচয়ে সে আমাকে রীতিমত ভড়কে দিল পরিস্কার বাংলাভাষায় কথা বলে।সে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে নিজের পরিচয় দিল এই ভাবে, “ আমার নাম ক্যাপ্টেন বন্দুক।“ আমি বললাম” What ?” সে পরিস্কার বাংলা ভাষায় আবার তার নাম বলল, “বন্দুক”।আমি মনে করলাম লোকটার মাথায় মনে হয় ছিট আছে কিনচিৎ।পাশে থাকা একজন অফিসার বললেন যে, ও ওর নামকে অনুবাদ ...
কদিন ধরেই স্বপ্নাহত'র
দিনগুলো যায় মুশকিলে
তাও যদি প্রাণ
পায় পরিত্রাণ
একশো টাকা ঘুষ দিলে।
কিন্তু তাতেও লাভ হবেনা
এই জেনে নেই হুশ দিলে
না পেয়ে থৈ, স্বপ্নাহতই
খাচ্ছে লেবেনচুষ গিলে।
উপায় খোঁজার স্বত্ত্বাধিকার
মার্কিনীদের রুশ দিলে
পারবে কি আনতে সল্যুশান
ওবামা আর বুশ মিলে?
স্বপ্নাহত সত্যিই এবার
ভীষণ রকম মুশকিলে।
সমস্যাটা খুব ক্রিটিক্যাল
উপায় চোখে ভাসছে না
এটুক পড়েই ঠিক ...
আজ আমার জন্মদিন।আজ আমি লাইবেরিয়ার কথা লিখছিনা।আজ একটু তার কথা লিখি যিনি আমাকে এই পৃথিবীতে জন্ম দিয়েছিলেন।আম্মা তোমার কথা এর আগে কোথাও ছাপার অক্ষরে ছাপা হয়নি। আজ সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুসের সামনে বলি, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্টতম মা। তুমি সচলায়াতন নাকি পড়ো, ভাইয়া নাকি প্রিন্ট আউট নিয়ে আমার লেখা তোমাদের সবাইকে পড়ায়।আমি তোমাকে একটা কথাই বলি, তুমি সব সময় বল আমাদের কিছু দিতে পারনি, শেখা...
ফোর্স হেডকোয়ার্টারের চারতালার সিড়ি কেমন করে উঠলাম নিজেও বলতে পারবনা। আজ ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৮, বিজয়ের সাইত্রিশতম দিনে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩০০০ কিমি দূরে,লাইবেরিয়ার জাতিসংঘ ফোর্স সদর দপ্তরে, সকাল নয় ঘটিকায় আমাদের বাংলাদেশের উপরে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার কথা।মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরব গাঁথার কথা, আমাদের দেশের কথা, মানুষের কথা সকল কথা মাত্র ২৫ মিনিটে ৪৪ টি দেশের সামরিক অফিসারদের সামন...