কে যেন বলেছিলো বৃষ্টির দিনে নাকি গাঢ় নীল রঙের জামা পড়তে হয়। কে বলেছিলো এতদিন পর আর মনে পড়ে না। তবুও কথাটা সত্যি মনে করে আজ বেশ খুশি খুশি লাগছে! কারণ, কাকতালীয় ভাবে আমার এখন গাঢ় নীল রঙের শার্ট।
১।
'রোগী আসিবার পূর্বেই ডাক্তার ক্লিনিকে পৌঁছাইল' 'র একটা রেকর্ড করেছি আজ। তাও আবার একটানা প্রায় দুই ঘণ্টা ড্রাইভ করে। রোগীর জন্য অপেক্ষা করা বেশ বিরক্তিকর কাজ, অন্যপক্ষের অপেক্ষাটাও যে খুব সুখকর নয় সেটাও জানা আছে। সময়ের মধ্যেই ক্লিনিক শেষও হোয়ে যাওয়ায়, জীনের আছর লাগল। প্রিয় একটা দোকান আছে এই ছোট্ট শহরে, সেটাতে একটু ঢুঁ মারার লোভ সামলাতে পারলাম না।
শেষ বসন্তের এই দিনগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। বেলা অনেক বড়ো হয়ে গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটাতেও দিনের আলো। গ্রীষ্মের তপতপে দিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডার। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত পর্যায়ে রাত নটায় সন্ধ্যা হবে।
১।
আসে না আসে না করে শেষ পর্যন্ত বসন্ত এসেই গেল। কাজের পথে অনেক ফুল ফুটতে দেখছি গত কয়েকদিন। নজর কেড়ে নিচ্ছে মূলত ফোরসাইথিয়া আর ড্যাফোডিল। চেরি আর ম্যাগনোলিয়া এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ ফুটে যাবে মনে হচ্ছে।
কাল বাড়ি ফিরে নিজের বাগানের দিকে তাকাচ্ছিলাম, আমার ওদের এখনো মাটির সাথে মাখামাখি। কেবলমাত্র ড্যাফোডিল গুলোকেই দেখা যাচ্ছে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে। এমনিতেও আমার ওরা একটু দেরিতে ফুটে। তাতে ভালো হল, সবার যখন ফুল ফোটা শেষ আমার তখন আমার প্রাঙ্গণ জুড়ে ফুল ফোটানোর খেলা। তবু এবার যেন একটু বেশী-ই দেরী হচ্ছে।
পর পর দুটো সপ্তাহ চলে গেলো অথচ তড়িৎ কাগজে আঙুল ছোঁয়ানো হয় নি। এক গেলাস সুরা আর আর ছোট পিঠা নিয়ে বসলাম, খেতে খেতে লিখবো কিন্তু কতটা আত্মনিয়ন্ত্রিত লেখা হবে তা বুঝতে পারছি না।
।। ১।। মা'র জন্মদিনে তাকে নিয়ে জিয়া উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম পড়ন্ত দুপুরে, দেখলাম, ১২-১৩ বছরের কতক নগ্ন, অর্ধনগ্ন কিশোর দুপুরের গরমের মাঝে জিয়া উদ্যানের পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে, আমাকে ঈর্ষান্বিত এবং বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তাদের কয়জন জিয়া উদ্যানের প্রায় আড়াইতলা উঁচু ব্রিজটার ঠিক উপর থেকে ডাইভ দিয়ে পানিতে পড়তে লাগল!
আজ থেকে ২৯৯ দিন আগে আমি কি করছিলাম, মনে নেই। ৩৬৪ দিন আগের কথা মনে আছে। দুপুরে ঝুম বৃষ্টি, আশপাশ নীরবতর। বের হলাম কোন কারন ছাড়াই। এর পরে আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি। কবে হবে, তাও জানি না।
[justify]আজ সকালে বিছানায় কফি আসেনি, বাংলা কোন চলচ্চিত্র খুঁজে পেলাম না দেখবো বলে। সেক্স এন্ড লুসিয়া দিয়ে সকাল শুরুর দুঃসাহস করে ফেললাম, বাংলা অভিধান মতে যৌন কামনা উদ্রেককারী স্থূলচিত্র ছিল এর বিষয়বস্তু। চলচিত্রের ভালো খারাপ দিক নিয়ে মন্তব্য না করে সোজাসুজি ভাবনায় চলে যাই, কিংবা আমার মানসিকতা কিভাবে তা গ্রহন করলো বা বিশ্লেষণ করলো সেই আলোচনায়।
০১
ফেসবুক ছেড়ে দিলাম।
( আজকের পোস্টের সাথে পুলিশি ব্যাপার- স্যাপারের খুব একটা যোগাযোগ নেই, ব্যস্ত পাঠক চাইলে এটি বাদ দিতে পারেন)
সুপ্রিয় নাগরিকবৃন্দ,
গত ক’দিন কাজের বেশ চাপ গিয়েছে, আজ বৃষ্টির সাথে সাথে ইচ্ছে করছে খানিকটা হালকা মেজাজে আপনাদের সাথে কথা বলতে।পুলিশের কঠোর জীবনে হালকাভাবে কথা বলার সুযোগ খুব বেশি আসেনা,তবে আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে পেয়ে আমার সাহস বেড়ে গিয়েছে।