বেশকিছুদিন ধরে হরতাল, অবরোধের কারণে অফিসে পৌছাই সকাল সকাল। কখন কি ঝামেলায় পড়ি, তাই আগেই রওনা দেই।অফিস আওয়ার শুরু হবার ঘন্টা খানেক আগে গিয়ে বসে থাকি।
আমার মতো আরো অনেকেই এই রকম সকাল সকাল এসে পড়েন আজকাল। কাজ পুরোপুরি শুরু হবার আগে কিছুক্ষণ সবাই চা খাই, কোনো একটা ডেস্ক এর কাছাকাছি উপস্থিতেরা কয়েকজন একসাথে আলাপ করি।
আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!
আমার মনে পড়ে, যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসগুলো একেবারেই অন্যরকম ছিলো। অনেক বেশী আবেগ আর কষ্টের ছোঁয়া ছিলো যেন তখন। আমি নিজে স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। ছোটবেলায় গল্প শুনেছি, গল্প পড়েছি, স্বাধীনতার গানগুলো শুনতাম রেডিও টিভিতে। এমন একটা অনুভূতি হতো বুকের ভিতর তখনি, ওই ছোট বয়সেই। জানিনা কতটুকু বুঝতাম স্বাধীনতা যুদ্ধের, জানিনা কতটুকু বুঝতাম যারা প্রাণ বাজি রেখে দেশের জন্য দেশের মানুষ
২০১০ এর অগাস্ট মাসের কোন এক ভোর রাতের কথা। ঢাকা ঘুমিয়ে পড়েছে, তবুও কোলাহলে জেগে ছিল ঢাকা বিমানবন্দর। এপাশের মানুষরা কাঁচের দেয়াল পার হয়ে ওপাশে যায়, স্বজনরা তাকিয়ে থাকে তখনও। তারপর আরও কয়েকটা কাঁচের দেয়াল, স্বজনদের ক্ষীণভাবে দেখা যায় ঐ দূরে। এরপর, আর দৃষ্টিসীমায় ধরা পড়ে না- এতগুলো কাঁছের দেয়াল ভেদ করে দেখা যায়না কাউকে। এরকম করেই একদল লোকের সাথে বিষণ্ণ মন আরা ক্লান্ত শরীর নিয়ে উড়োজাহাজের পেটে ঢুকে বসেছিলাম। পুরো পথে ঘুমাতে পেরেছিলাম মাত্র ২ ঘন্টা, মাটিতে নেমে দাঁড়াতে পারছিলাম না পেটের প্রচন্ড ব্যাথায়।
শুরুতে খুব মন খারাপ লাগত। প্রতিদিন সকালে সুপারভাইজার আসতেন গত ২৪ ঘন্টার গবেষণায় কি কি মহার্ঘ্য বিষয় আমি উদঘাটন করেছি তার সন্ধানে। শতকরা ৯৯ ভাগ দিনই হতাশ করেছি তাঁকে, হলাকা পাতলা কিছু হুমকি মেশানো, চাইনিজ ভাষায় চিবানো অথচ মোটামুটি স্পষ্ট ইংরেজিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বেড়িয়ে যেতেন তিনি। তারপর, করিডোরে এসে দাঁড়াতাম।
আমার ধারনা ছিল আমার পক্ষে ভয় পাওয়া সম্ভব না। এমনকি কোন খারাপ পরিস্থিতিতেই ভয় না পেয়ে নিজেকে মাঝে মাঝে অনেক কুল মনে হত। ভুল ভাঙল কালকে টিভিতে বাসে পোড়া মানুষদেরকে দেখে। আমি নিয়মিত লোকাল বাসে চলাচল করা পাবলিক। টিভিতে যখন দেখছিলাম বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীদের পেট্রল বোমাতে ঝলসানো শরীর, তখন ভাবলাম আপাতত কিছুদিন আর বাসে চলাফেরা করবনা। সম্ভবত এটাই ভয়ের সবচাইতে কাছাকাছি অনুভূতি যা আমি পেতে পারি।
১.
আমি নিরপেক্ষ মানুষ না। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি বাটপারি করেছে বলে বিএনপিকে ভোট দিয়ে জামাতকে ক্ষমতায় আনবো না। বরং ভোটদানে বিরত থাকবো। কিন্তু জব্বার সাহেব দোদুল্যমান (তাঁর ভাষায় নিরপেক্ষ মানুষ)। গতবার নৌকায় ভোট দিলেও তিনি এবার বিএনপিকে ভোট দেবার নিয়ত করেছেন। টেক্সিতে যাচ্ছিলেন দোকানে। দোকানের কাছের মোড়ে এসে অবরোধের কবলে পড়ে হঠাৎ ছুঁড়ে দেয়া বোমায় টেক্সিসহ আপাদমস্তক ঝলসে যান তিনি। ঝলসানো শরীরে জব্বার সাহেব বুঝতে পারলেন যারা গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে, যারা তাঁর কাছে ভোট ভিক্ষা করবে কয়েকদিন পর, তারা আসলে তাঁর কথা ভাবছে না। তাদের চোখে অন্য স্বপ্ন, অন্য জিঘাংসা। তিনি বাধ্য হলেন তার ভোট দেবার নিয়ত বদলে ফেলতে।
সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে পুরো পরীক্ষাটাকে একটা তামাশায় পরিণত করেছে। প্রথম পরীক্ষা (২০/১১/১৩) ছিল গণিত যার প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য আজকের পত্রিকাতেও এসেছে। আর আজকের বাংলা পরীক্ষার (২১/১১/১৩) প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে সকাল বেলাতেই। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে অভিভাবকদের মাঝে চাপা উত্তেজনা, ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা চলছিল; পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র বিতরণ করার সাথ
১.
সোজা পথগুলো রূদ্ধ। বাঁকা পথেই রওনা দিল সে।
সবচেয়ে সোজা ছিল সল্টগোলা বারিকবিল্ডিং হয়ে আগ্রাবাদ পেরিয়ে টাইগার পাস লালখান বাজার। এটা হবে না, বারিকবিল্ডিং থেকে আগ্রাবাদ হয়ে দেওয়ানহাট পর্যন্ত দাউ দাউ জ্বলছে।
দ্বিতীয় বিকল্প পোর্টকানেকটিং রোড হয়ে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দিয়ে বাদামতলি মোড় পেরিয়ে সোজা উত্তরে। তাতেও জ্বলছে আগুন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে।