অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
সৃজনশীল প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের কাছে কোন ভীতি নয়। ভীতি অভিভাবকদের কাছে আর ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষার্থীরা এসব প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিতে জানে। আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি যেসব শিক্ষার্থী চিন্তাশীল-সৃজনশীল ও ভাষায় দক্ষ তারা খুব সহজে এর উত্তর দেয়ার কৌশল বুঝে ফেলতে পারে। অর্থাৎ যাদের মধ্যে কোন বিষয়কে সংক্ষেপিত বা বিশ্লেষিত করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে বা যারা বিষয়ের সারমর্ম বা মর্মার্থ সহজে উপলব্ধি করতে প
কাম্পোফনতানা(campofontana)এক পাহাড়ি জনপদ যেখানে একাধিক গুচ্ছগ্রাম(contrada)মিলিয়ে সর্বমোট ১১২ জন মানুষের বসবাস। পাহাড়ের ঢালে ৫/৬টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে এক গুচ্ছগ্রাম। জীবিকার তাগিদে এই পরিবারগুলি বংশ পরস্পরায় করে আসছে পশুপালন আর কৃষিকাজ। আদিম এই পেশায় নেই কোনও ধরাবাঁধা ঘণ্টাসূচী, শহুরে মানুষদের মতন উইকএন্ডের সকালে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় একটু আড়মোড়া দেয়ার অবকাশ নেই কাম্পোফনতানাবাসির। দুধ ধোয়াতে উঠতে হবে বছরের প্রতিটি দিন ভোরের আলো না ফুটতেই।
[justify]জগন্নাথপুরে আমাদের স্কুলের ঠিক পাশেই ছিলো একটা দিঘি। সেই দিঘির পারে সারবাধা আম গাছ। স্কুলের আশেপাশের বাড়িতেও বিস্তর আম গাছ। আমের বোল থেকে ছোট ছোট আম বের হতে শুরু করলেই আমাদের অভিযান শুরু হতো। সেকালে মানুষ অনেক সহনশীল ছিলো, তাই গাছের উপর ইচ্ছামতো নির্যাতন চালাতাম আমরা। এখানে আমরা বলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। বেটে গাব্দা গোব্দা আমার পক্ষে গাছে চড়া কিংবা ঢিল ছোড়ে আম পাড়া হয়ে উঠতো না কখনই।
মোটামুটি বলা যায় দুই নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম জর্জ ওরওয়েলের এনিমেল ফার্ম বইখানা। এক কথায় অসাধারণ। মাত্র একশ পাতা। অর্থাৎ অফিস যাওয়া আসার পথে এক এক দুই ঘন্টার জ্যামকে আনন্দদায়ক করার জন্য যথেষ্ঠ। বইটি ব্রিটিশ কৃষক জোনসের 'ম্যানর ফার্ম' এর পশুপাখিদের জীবনের গল্প। এদের মাঝে
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)-ঢাকা আন্তনগর 'হাওর এক্সপ্রেস' ট্রেন উদ্বোধন হয় গত ৩০ তারিখে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খণ্ডচিত্র।
১. উদ্বোধনের আগের দিন গেলাম ২ তারিখের টিকিট কাটতে। বলা হলো, টিকিট আছে কিন্তু মন্ত্রী এসে উদ্বোধন না করা পর্যন্ত টিকিট দেয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন, উদ্বোধন না হওয়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা! বলা হলো, শঙ্কা নাই, কিন্তু আমরা দিব না এখন।
[justify]বাবা ডাক শোনার জন্য আমার মনে হয় একটা ব্যপক আকুলি-বিকুলি ছিলো সেই গেদাকাল থেকে। অথবা আমার মাঝে বাবাভাব প্রবল! খালি বাপ হইতে মঞ্চায়। নিজের পোলা, ভাইয়ের পোলা মিলে ৩ টা শিশু সারাদিন আমারে বাবা-বাবা-বাবা বলে অস্থির করে ফেলে তবু আমার বাপ ডাক শুননের শখ মিটে না!!! এর বাইরে আরও কয়েকহালি বাবা ডাকনেওয়ালা আমি ফিটিং দিয়ে রেখেছি। এরা আমারে বাবা ডাকে, আমি মুগ্ধ হয়ে সেই ডাক হজম করি...
[justify]তারপর, কোনো এক সন্ধ্যায় আমরাও ভীড় করি বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে, পাড়ি দিই অচেনা-অজানা গন্তব্যে। অনেক অনেক দিন পরের আরেক সন্ধ্যায়, কোনো এক ভিনদেশি জানতে চায়, কোন দেশ থেকে এসেছ? আকর্ণবিস্তৃত হাসি হেসে উত্তর দিই- বাংলাদেশ। দ্বিগুণ পরিমাণে ভ্রুকুঞ্চণ করে ভিনদেশী আবারো প্রশ্ন করেন, সেটা আবার কোথায়?