সে আর কিছু বলতে পারছিলো না। তার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “মাথা ব্যাথা?” মাথা নেড়ে বোঝালো না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, “শরীর খারাপ?” -আবার না সূচক মাথা নাড়ালো। বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে। যেন-তেন কান্না নয়। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলা যাকে বলে। সাঁজ-গোছ করে শাড়ী পরা একটা মেয়ে কান্না করে যাচ্ছে। এটা মানায় না। তবুও মেয়েটি কাঁদছে। কান্নাটা একদম শব্দহীন বললেই চলে। আশেপাশের ম
[justify]
ডিসেম্বরের সাতাশ তারিখ দুই সুটকেসে জীবনটাকে ভরে সামিয়া উঠে পড়লো ভাড়া করা সাদা রঙের টয়োটা গাড়িটায়। আগে এই ধরনের রজনীগন্ধা সজ্জিত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখতাম, আর এবার গাড়ির ভেতর থেকে দেখলাম রাস্তাটাকে। সেই রাস্তাটা, রাস্তাগুলোকে পার করে একসময় চলে আসলাম মিরপুরের এক চিপায় তুরাগ নদীর পাড়ের এক বাড়িতে, যে বাড়িটা আমার মা-বাবা বানিয়েছিলেন তাদের জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দিয়ে। ডিসেম্বরের সাতাশ তারি
বড় হবার একটা জরুরি অনুষঙ্গ হল--বড়দের মত করে ভাবতে শেখা, বড়দের মত করে কথা বলতে শেখা, বড়দের মত করে আচরণ করতে শেখা। এই তিনটে জিনিস করতে না পারলে সঠিকভাবে 'বড়' হওয়া যায় না---এই কথাটা ছোটবেলায় মা বলে দিয়েছিল।
ছোট্ট আমি তখন আমার ছোট্ট মাথাটা ভীষন চুলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম--বড়রা কী রকম করে ভাবে, মা?
মা বলেছিল--আস্তে আস্তে শিখে যাবি--
[justify]বাড়িটা হঠাৎ করেই ফাঁকা হয়ে গেলো। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ। গরমের ছুটি। বউগুলো ছানাপোনা নিয়ে তাই বাপের বাড়ি চলে গেলো। দাদাভাইও বাড়ি নেই। রাত ১০ টার পর ভাত খাবো কীনা জিজ্ঞেস করলেন আম্মা। বল্লাম একটু পরে খাবো। আম্মা ঠিকাছে বলে সাথে এও বল্লেন, ‘আজকে আমরা মা-পুত। একলগে খাই চলো!’ তখনই মনে পড়লো, এই শুনশান বাড়িটাতে, একা বাড়িটাতে আর কেউ নেই, আমি আর আম্মা শুধু!
তারপর ঝুম ঝুম করে মেঘ নেমে আসে। আমাদের ঘিরে ধরে। পর্দার পর পর্দা পড়তে থাকে। চোখের সীমানা ছোট হয়ে আসে। একটা হালকা স্বচ্ছ চাদরে ঢাকা পড়ে আমাদের চারপাশ। মেঘবাড়ির মানুষ আমরা, মেঘেতে হই মশগুল...
তারও আগে, ভোর হবার আগে আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদে, পাশের টিলায়, ঝুম ঝুম শব্দ হয়। বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আলোয় দেখি সেই জলধারা। জঙ্গলযাত্রা শুরু করবো, অপেক্ষা।
[justify]
রঙের মেলার শহরে ঢোকার পথেই পড়ে এই স্থাপনাটি
তিন পুরুষ ধরে শহুরে মার্জিত, কেতাদুরস্ত ডাক্তার প্রসঙ্গক্রমে বলছেন- ' নারী স্বাধীনতা ফালতু কথা, সংসার একটা যুদ্ধেক্ষেত্র, এখানে পুরুষের একক কর্তৃত্ব থাকতে হবে; তা না হলে বিপদ অনিবার্য। আর একটা কথা মনে রাখবেন, সংসার ঠিক রাখতে হলে কর্তার রোজগার কর্ত্রীর চেয়ে একটু বেশি থাকা উচিত।'
কিছু কিছু দিন যায় বেশ ক্লান্তিকর, কিন্তু কোন একটা কারণে ইন্টারেস্টিং, এবং মনে রাখার মতন। গতকাল দিনটি ছিল অনেকটা সেরকম। জুন মাসের দাবদাহ চলছে সারা দেশজুড়ে, ঢাকা শহরকে এককাঠি সরেস বলব আমি, রাজধানীর হরেকরকম গ্যাঞ্জাম ধুলোবালি জ্যাম ইত্যাদি মিলিয়ে গরমের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু তবু কোথায় যেন একটা মায়ার টান টের পাই ঢাকা শহরটার জন্য। আমার শৈশবের শহর, ভালবাসার শহর, প্রেমের শহর, বিড়ম্বনার শহ
২৫ মে কি শনিবার ছিল?