[justify]রুমটায় খুব অস্বস্তি হচ্ছে আমার। যেন এখানে কিছু একটা অশুভ ব্যাপার আছে, যেন কেউ এ রুমটাকে কোন এক অভিশাপ দিয়ে গেছে। গা গুলানো একটা ভাপসা গরম এখানে, যেন এক টুকরো নরক। ছাড়াছাড়াভাবে কিছু স্মৃতি মনে পড়ল আমার। গত কদিন ধরে নতুন ধরনের এক হতাশায় ভুগছি আমি। জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা, মহাবিশ্বের অপার বিশালতা- এসব বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আমি। এক সময় বুঝতে পারলাম য
বাংলা একটা সিনেমা তে দেখেছিলাম- নিরপরাধ আকজন আসামিকে ছেড়ে দিতে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশ অফিসার নিজের পিঠ চুলকে নিয়েছিলেন আসামিকে দিয়ে। যাইহোক বাংলা সিনেমার গল্প আজ থাক। বরং গতরাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলি। গতকাল আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম উত্তরা তার হোমিও ঔষধ আনতে। ডাক্তারের সাথে দেখা করে ঔষধ নিলাম। রওয়ানা দিলাম গরিবের প্রাইভেট কার (সিএনজি) নিয়ে। চালক বললেন, "মামা মিরপুর যাইবেন তো, বেড়িবাঁধ দিয়া যাই।
বছর তিনেক আগে বইয়ের জগৎ নামের পত্রিকাটার সম্পাদক আহমাদ মাযহার খুব বেকায়দায় পড়ে গেলো। ডাকযোগে একটা লেখা এসেছে। শামসুজ্জামান খানের ফোকলোর বিষয়ক একটা বইয়ের রিভিউ। রিভিউটা চমৎকার। কিন্তু লেখক পরিচিতিতে জানা যাচ্ছে লেখক ক্লাশ এইটের ছাত্র। মাযহারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম। এইটুকুন একটা ছেলে ফোকলোরের কী বোঝে!
[justify]“আপনি তো মনে হয় স্টুডেন্ট। আপনি বুঝবেন কত বাধ্য হইলে একজন স্টুডেন্ট তার ছাত্রজীবনের আনন্দ ছেড়ে কাজ করে।"
বলছিলেন আবদুল আলিম। বয়স ২০ বছর। এইচএসসি পাশ। ৫ জনের সংসারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। তাই পড়ালেখা ছেড়ে চাকরি নিয়েছিলেন রানা প্লাজার নিউ ওয়েভ গার্মেন্টসে। ভবনধসে পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে। পড়ালেখার ইচ্ছা খুব। কিন্তু স্বপ্ন দেখার সাহস নেই।
মাথাভর্তি যন্ত্রণা। সারাদেশে একের পর এক দুর্ঘটনা। নির্মম মৃত্যু। হাহাকার। সাভার ট্র্যাজেডি কাঁপিয়ে দেয় ভেতরটা। আজকাল নিজের মুখোমুখি হতে ভয় হয়। আয়নার নিজের চেহারাটা দেখে অপরাধ বোধ হয়। কেন বেঁচে আছি, এই মৃত্যুপুরীতে! এ এক ট্রমাটিক পিরিয়ড। পত্রিকা, টিভি, ব্লগ, ফেসবুকে রাতদিন মুখোমুখি বসে থাকি দুঃসময় আর অসহায়ত্বের হাত ধরে। মুক্তি নেই!
বন্দী হয়ে আছি কতদিন; চারদেয়াল নয়, হাজার হাজার দেয়ালে বন্দী! ভাবলাম, আজ অন্তত ঘরের দেয়ালটা ছেড়ে কোথাও যাবোই। বাইরে ঝাঁ-ঝাঁ রোদ। মধ্য বৈশাখের দুপুরটা তেঁতিয়ে উঠেছে তীব্রভাবেই।
রিকশায় চেপে লালদীঘি। গন্তব্য জব্বারের বলীখেলা।
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন দেখা দিল। নখটা তুলে ফেলতে হবে। অভিজ্ঞ জনেরা বললো নখ তুলে ফেললে সেখানে আবার নতুন নখ গজায়। তাই দৌড় দিলাম মেডিকেল এ। কোন কাজ আমি সাধারনত একাই করি। এক্ষেত্রেও আমি একাই মেডিকেল এ গেলাম। সরকারী মেডিকেল গুলোতে খরচ অনেক কম তাই মানুষও প্রচুর। আমি ১০টাকা দিয়ে জেনারেল সার্জারীর একটি টিকেট কাটলাম। টিকেটটাই প্রেসক্রিপশন। জেনারেল সার্জারীতে তুলানা মূলক
টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম কদিন। দৃশ্যগুলো সহ্য হবার নয়। কংক্রিটের পিলারের মাঝে কোমর পর্যন্ত আটকে থাকা এক আলতাফের আকুতিভরা বাক্য 'ভাই আমারে বাঁচান' আমাকে ঘুমোতে দেয়নি দুদিন। এত শত মানুষ মরেছে নির্মমভাবে, কিন্তু আলতাফের আটকে থাকার দৃশ্যটাই আমার চোখে আটকে গেছে। কারণ পরদিন সকালে উঠে জেনেছি আলতাফ চলে গেছে।
আলো আর ছায়া, মেঘ আর রোদ। বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ। এরা ঘুরে ঘুরে লিখে যাচ্ছে ধারাপাত আর বর্ণপরিচয়। গণিত, গান, গল্প, কবিতা। রচনা করে চলেছে অনন্ত সুর আর অগণিত কাহিনী। দেখতে পাই তবু পাই না। শুনতে যেন পাই মনে হয়, তারপরেই দেখি - না তো! মাঝে মাঝে যেন মনে হয় ওদের ভাষা একদিন বুঝতাম, কিন্তু তারপরেই চমকে জেগে উঠে দেখি- স্বপ্ন!
১.
আমি তো শুধুই কথা বলে যাই- বলার জন্য বলা। বলতে হয় তাই বলা। আমার কথায় তো গভীরতা নেই। শুধুই কথা, একগুচ্ছ শব্দের নিছক শব্দ। চোখে আমার নদী নেই, সমুদ্রের বিশালত্ব নেই। মৃতপ্রায় চোখ দু’টি শুধুই চেয়ে থাকে। কথা বলে না সে চোখ। কোনো ভাষা নেই তাদের। তাই নির্জনতাই স্থায়ী হোক। একান্ত নীরবতায় কাটুক সময়। রাত্রির গভীরতা পাক রহস্যকে আর রহস্য তোমাদের; যেমনটা পেয়েছি আমি।
২.
[justify]
আজ মাসুদ রানার জন্মদিন।
আমাদের বয়স বাড়ছে। ফুটবল মাঠ ছাড়া হাফপ্যান্ট পড়লে লোকে বাঁকা চোখে তাকায়। নাইন্টি ফোরের সেই মনে গেঁথে যাওয়া সেলিব্রেশনের বেবেতো আর রোমারিও- তাদের দুইজনের ছেলেরাও নাম লিখিয়েছে পেশাদার ফুটবলে। রানা হারামজাদা এখনো সমানে লাম্পট্য চালিয়ে যাচ্ছে।