৭১
একাত্তর নামে নতুন একটা চ্যানেল হয়েছে দেখছি।
এখানে বাংলা টিভি দেখা বেশ হ্যাপার কাজ। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নানা প্যাকেজ নিতাম একসময়, কিছু বিজ্ঞাপন আর স্প্যাম ভরা ফ্রি সাইট দিয়েও কাজ চলেছে একদা, আপাতত সব ঘুরে টুরে আইপিটিভি বাক্সে থিতু হয়েছি। বেশ ভালই সার্ভিস দিচ্ছে। যদিও সবগুলো বাংলা চ্যানেল আসে না। অনেকগুলো ভালো চ্যানেলই নেই, সময়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট নেই, মাছরাঙাও নেই। কিন্তু একাত্তর কেমন করে যেন চলে এলো। এবং আসার পর থেকেই, ক্রিকেটের জন্যে যদি চ্যানেল নাইন খুলে বসে না থাকি, তাহলে যে চ্যানেলটা এখন বেশি দেখা হয়, তার নাম একাত্তর।
সে এক বিরাট ইতিহাস। একদিন সচল জাহিদ মিয়ার ঘরে ছিলনা কেরসি। তার বউ খুন্তি হাতে নিয়া কইল, “"ও গেদার বাপ, ঘরে তো কেরসি নাই"”। জাহিদ মিয়া কেরসি ছাড়াই রাইগা আগুন হইয়া কইল, “"কি কইলা? গেল মাসে আধা ছটাক কেরসি আনলাম, আর তুমি আইজই কও যে কেরসি নাই?
"মানুষটা তখনো বেঁচে ছিল। বুক আর মাথা বাদে বাকী অংশ ফ্লাইওভারের ভেঙ্গে পড়া ১০০ টনের গার্ডারের নীচে থেতলে গেছে। মানুষটার উর্ধাঙ্গ তীব্র চিৎকার করছে বাঁচার আকুতিতে। শত শত মানুষ অসহায় তাকিয়ে আছে চোখে জল নিয়ে। টান দিয়ে বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কিন্তু এত বড় গার্ডার সরাবার মতো শক্তিমান যন্ত্র এখানে নেই। কেটে বের করার মতো দুঃসাহস কারো নেই। অনেক চোখের সামনেই নিথর হয়ে গিয়েছিল হয়তো দেহটা। আরো অনেক মানুষে
[justify]আমি মানুষটা ছোট থেকেই কিঞ্চিত বোকা কিসিমের। অন্যরা যে বয়সে এবং যে সময়ে সৃষ্টি রহস্যর মত বিশাল ব্যাপার সহজেই বুঝে ফেলে, সেই বয়সেও বাংলা সিনেমা নামক বস্তু দেখার কল্যাণে আমার ধারনা ছিল কারেন্ট চলে গেলে এবং শুধুমাত্র দরজা বন্ধ করলেই নতুন একটা শিশুর ট্যাঁ ফো শোনা যাবে...
ম্যারাথন দৌড় শেষে ক্লান্ত অবসন্ন দেহ নিয়েও বিজয়ীর বেশে মাঠ প্রদক্ষিণের শক্তি দৌড়বিদের থাকে। আমার অবস্থা সে রকমের। অপেক্ষার মতো কঠিন কাজ পৃথিবীতে আর নেই বোধ হয়। দুই সপ্তাহ। শেষের দিকটা ছিল চরম। বেশ ফুড় ফুড়ে লাগছে এখন। কঠিন সাধ্য সাধন করে এখন পুরস্কার নেবার মতো নিশ্চিত এবং তৃপ্ত আমেজ। আমার কাছে একটি মেয়ে আসছে। ব্যাপারটা ভীষণ আনন্দের। হয়তো আমি জীবনে অল্পেই সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছি বলে এমন মনে হয়। প্রেমে
প্রাণবন্ত শৈশব চলছে তখনও, বাড়ীর বসার ঘরে বাবা নিয়ে আসলেন দুর্দান্ত মনোমুগ্ধকর এক ক্যালেন্ডার, জাপানের মত মাতানো কিছু আলোকচিত্র নিয়ে- না তুষারাবৃত ফুজিয়ামা সেখানে ছিল না, অনুপস্থিত ছিল সাকুরা বা চেরি ফুলও, কিন্তু প্রতিটি ছবিতে ছিল জাপানের শরতের অবিশ্বাস্য অলৌকিক সৌন্দর্যের রঙ ঝলমলে ছবি। কোথাও জাপানী বাগানের কাঠের বেঞ্চি ঢেকে আছে ঝরা ম্যাপল পাতায়, মেঠো পথে ঝরে আছে চলে যাওয়া ড্রাগনের পড়ে থাকা
দেশ থেকে বাইরে কাটিয়ে দিলাম দীর্ঘ সাড়ে চার বছর। মাঝে দেশে গেছি বার-দুয়েক। দেশেও উন্নতি হচ্ছে, বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে, চাকরি হচ্ছে রাস্তাঘাট হচ্ছে - দিনে দিনে দিন-বদলের ছোঁয়া দেখা যায়। ধানক্ষেত জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে হাউসিং ডেভেলপমেন্ট জোনের জন্য। কিছু পরিবর্তন আমেরিকাতেও হচ্ছে। মন্দার পরবর্তী রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ এখন কমে আসছে, যত মন্দা কাটছে ততই বোঝা যাচ্ছে মন্দার পরবর্তী রিকভারি হয়ত তত চাকরি আনবে না বাজারে। হাউসিং বাবল বার্স্ট করার পরে দাম আবার বাড়া শুরু হয়েছে বটে কিন্তু বাবলের সময়ের দামের কাছাকাছি পর্যায়ে যেতেও এখনও অন্তত বছর পাঁচেক বাকি। তাও তফাৎ চোখে পড়ে। প্রথম বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্ব নামগুলো ঠিক কে কিভাবে দিয়েছিল জানি না, দেশে গেলেই দুই বিশ্বের তফাতের কথা ভালভাবে বোঝা যায়। একটা বছর তিনেকের শিশু দুয়েক দিনেই হয়ত বুঝে যায় পার্থক্যটা।
প্রথম দুইদিন ভয়ে চুলাই জ্বালাইনি | দুধ, সিরিয়াল, পাওরুটি আর ফলমূল খেয়েছিলাম | সাথে আসিফ চিকেন নাগেটস ভেজেছিল | তৃতীয় দিনেই আমাদের বাঙালি মন ভাতের চাহিদা জানান দিল | আমার তখনো সময় ব্যবধানের সাথে ঘুমের সামঞ্জস্য হয়নি | বাংলাদেশের সকালের সময়ে (আমেরিকার রাতে) ঘুম থেকে উঠে দেখি আসিফ ভাত, বেগুন ভাজা আর ডিম অমলেট তৈরী করে খেতে ডাকছে | চোখে পানি চলে আসল, যাক ! ও কথা রেখেছে | পেট ভরে ভাত খেয়ে ভাবলাম আগামীকাল আমিও রান্নায় যোগ দিব | পরের দিনের দুজনে একসাথে চিংড়ি রান্না করলাম | লবণ বেশি হয়ে গেল, বাসায় বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম) ছিল, মিলিয়ে দিলাম তাতেও কাজ হলো না | বেশিক্ষণ ধরে রান্না করার কারণে চিংড়ি কেমন যেন শক্ত হয়ে গেল | নিজের প্রথম রান্না করা খাবার খেতে আমি ব্যর্থ হলাম | পরে চিংড়ির প্যাকেট এ লেখা দেখেছিলাম এগুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করাই ছিল | ইশ ! আগে যদি জানতাম !
ঢাকায় শীত আসি আসি করছে।
সকালের দিকে ফ্যান বন্ধ করে দিতে হয়। আবার দুপুর ২টায়ও মনে হয় বিকেল হয়ে এলো। সন্ধ্যা নামে সাড়ে পাঁচটার আগে।
আবহাওয়ার এ বদলী সময়ে চারদিকে সর্দি কাশি হচ্ছে। আমার নিজেরও ঠান্ডা লেগেছে। টিভিতে রিপোর্ট দেখছিলাম, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়ার পাশাপাশি পানিতেও সমস্যা আছে মনে হয়। ওয়াসার পানিতে ব্যাপক ময়লা। বালতির তলানীতে কালো ময়লা জমে যায় দ্রুত।