০১
দেশ ছেড়েছি আজ একান্নো দিন হয়ে গেলো।
হুটহাট কয়েকটা লাইন এসে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে যায়। ভাবি, লিখে রাখবো এখানে ওখানে। আজ যেমন সাত সকালে নিজেই আওড়ে গেলাম, “অনুভুতিগুলো সব পুরনো হয়ে যাচ্ছে। তরতাজা স্মৃতি বলে কিছু নেই। এই সেদিনের প্রেম-প্রণয়ও আজ বিগত দিন। আরও আগের ডানডাস স্কয়ার স্বপ্নের দৃশ্যের মতো ঘোলাটে। আজ দিনটুকু বেঁচে আছে কেবল, ব্যক্তিগত জামায়।" জানি, এ লাইনগুলো আর লেখা না হবে অন্য কোথাও। মুছে যাবে স্মৃতি থেকে। এই করি, ঐ করি, হাতি
কথা বলা দূরে থাক, পানি খেতে, এমনকি ঢোক গিলতেও সাহস পাইনি কদিন। প্রায় দশ পনের দিন দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। মানুষের গলায় যে এরকম কোন গজব নামতে পারে আগে জানতাম না। কথাবার্তা সব ইশারায় চলেছে। মোবাইল ফোন তো হারামই হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের সব মানুষ আর সহযোগী অর্ধাঙ্গিনী না থাকলে কি ভয়ংকর অবস্থা হতো ভাবা যায় না। নাক-গান-গলা বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করে ঘোষণা দিলেন- গলার ভেতর ব্যাকটেরিয়ার কাফ
উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির কোন তাল-ঠিকানা নেই, শীত-গ্রীষ্ম বলে কিছু নেই, এখানে হরদম বৃষ্টি হয়। এই এখন যেমন ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হলো। আমার অফিসের রুমটা ছয় তালায় একটা কোনায়, দুইপাশে দুইটা বারান্দা, চারপাশের বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়, শুধু গাছ আর গাছ। উত্তরদিকে কনফারেন্স রুম এর যে বারান্দা তার সামনেই ছোট একটা সুপারি বাগান, কদম, লেবু, ছড়ানো-ছিটানো অসংখ্য নারিকেল গাছে নারিকেল, আর, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া আর
[justify]
।।১।।
এক সময়ে ডায়েরি লিখতাম। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। ঢাকা শহরে তখন আকাশ ছোঁয়া বাড়িঘর ছিল না। মানুষজন দোতালার ছাদে উঠেই আকাশ স্পর্শ করতে পারতো। ডিজুস ছিল না, হিন্দি মেগাসিরিয়াল ছিল না, শপিং মল ছিল না, টি-২০ ছিল না, ইন্টারনেট ছিল না – বলা যায় আমরা তখন সর্বহারা ছিলাম। সেই সময়ে রাতে ঘরে ফিরে একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখের উপর গল্পের বই নিয়ে শুয়ে থাকা ছাড়া আর তেমন কোনো বিনোদন আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি।
[justify]পরদিন সকালবেলা আমরা সবাই নয়টা বাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বের হতে পারছি না বাসা থেকে। এতদিন হোটেলে থাকার কারণে কিছু বুঝা যায় নাই, কিন্তু এখন সবাই হা করে ডিয়েগোর কাণ্ড দেখছে। সে সকাল আটটা থেকে “আই অ্যাম রেডি, আই অ্যাম রেডিইইইইইইই” করে চিল্লাছে, কিন্তু তার সাজ শেষ হচ্ছে না!
প্রফেসরের কাছ থেকে ব্রাজিলের সম্মেলনে যোগদানের খবরটা যেদিন পাকাপাকিভাবে পেলাম সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন, তাই সাথে একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল। কাগজপত্র হাতে পেয়ে দেখি সম্মেলন তিনদিনের, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। “জীবনের জন্য সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য জীবন নয়” বলে মাঝখানে কফি ব্রেক আর লাঞ্চ ব্রেক আছে। হোটেল আর সম্মেলনের বাইরে দুনিয়া দেখা বলতে তৃতীয় দি
শুক্রবার সকাল – সপ্তাহান্তের দু’দিন ছুটির কেবল শুরু; এই কিছুদিন আগেও এসময়টাতে আমাকে বিছানা থেকে উঠানো কারো সাধ্যে ছিলোনা!