মাঝে মাঝে রাগ হয়। অনেক সময় রাগটা যে কার উপর সেটা ঠিকমত বুঝি না। কাল রাতে কোন কারণ ছাড়াই চুনু ভাই মাতাল হয়ে এসে কাকে যেন বকে গেলেন। বেশ ভাল রকমের মুসলমান চুনু এবং লিচু ভাই। আমাদের মালকীনের আরো একটা রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে লিচু ভাই কুক। চুনু ভাই পিসসা বেকার। আমি ভিকি সিং-এর পাল্লায় পরে প্রতি রাতে গোটা তিনেক বিয়ার খাই। কিন্তু তাওহীদ ভাই কোন এলকোহল খায় না। শুনেছি লিচু ভাই খাবারের লবণ দেখেন না। ওয়াইন ঝ
জীববিজ্ঞানে ভাইরাসের কর্মকাণ্ডের বড়ো ভাগের জন্যে দায়ী যেমন তার প্রাতিসাম্যিক রূপায়ব বা আকার (Shape) তেমনি আমাদের ‘মিডিয়া’ও প্রতিসাম্যের আয়নায় নিজেকে বারবার দেখে নেয়। তবে সবাই নয়; কারণ সবাই পারেন না। হঠাৎ ‘মিডিয়া’ বিষয়ে আমার আগ্রহের কারন সম্ভবত এই যে, শব্দটির সঙ্গে আমার নতুন পরিচয়। পরিচিত জনেরা কথাটি শুনে হাসেন কেননা বয়সের পাল্লায় আমি বেশ ওজনদার। যদিও সম্প্রতি সুহৃদদের নানামুখী আলোচনায় আমি একটি প্রতিযুক্তিই দিয়েছিলাম যে- আমরা সেই দলের বয়স্ক, যাদের সর্বনামে চন্দ্রবিন্দু লাগে না, অতএব এ বেলাতেও কয়েকটি শব্দ নতুন ঠেকা একেবারেই অসম্ভব নয়।
আমাদের ভাষায় শীত নিয়ে উল্লেখ যোগ্য কোন কবিতা, গান, সাহিত্য কিছু নেই। কিন্তু সময়টা ভীষণ কাব্যিক। কাপড়ের অভাবে ভাল ভাবে কখনো শীত উপভোগ করতে পারি নি। তবুও পিঠা-পুলি আর সবজীর বৈচিত্র্য আসলে শীতেই। এখানে শীত নিয়ে কাব্য করা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার মানুষের পক্ষে কঠিন। তুষার নেই যে দেখে বোঝা যাবে শীত। বাইরে হলে ঠাণ্ডায় কান ব্যথা করে। চোখ নাক দিয়ে পানি পরে আপনা থেকেই। হাতমোজার ভেতরে হাত জমে যায় শীতে। আমাদের ম
সলোমন আইল্যান্ডের স্টলের সামনে এক বিশাল দেহী রাজার ছবি রাখা, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক সলোমন আইল্যান্ডার সেই রাজার গুণগান করে যাচ্ছে। তার বর্ণনার শেষ দিকে উচ্ছাস কমে এসে দূরবর্তী বিষাদের ছোঁয়া, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"। তারপর? "দেন দ্যা ইউরোপিয়ান কেইম, এন্ড মেসড এভরিথিং"। আমার সাথে অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ান কারো সাথে দেখা হয়নি কখনো, তবে আন্দাজ করতে পারি, এই বিষয়ে তাদের কী বলার থাকতে পারে।
ধুম করে বিয়ে করে ফেললাম আমরা - একদম ধুম করে! পরিবারের গুরুজনেরা বেঁকে বসার সুযোগ পেলেননা তেমন একটা ! বাবা-মা রাজি হতেই বিয়ের কাজ সারা ! 'না'- বলবার সুযোগ কোথায় ! তারপর দুজনই বাইরে চলে আসি- অজানা একটা নতুন জীবনে - উচ্চ শিক্ষার তীব্র ইচ্ছা আর নতুন একটা অজানা শহরের ডাক | ফুল-অন এডভেনচার যেন একটা ! সেই থেকে লণ্ডনে বসবাস শুরু - অর্ধ যুগ পার করছি এবছর !
মানুষের মৃত্যু কতোবার হয়? কেউ কেউ বলেন, সাধারণ মানুষ একবার মরে, আর অসাধারণ মানুষ অমর হয়। অমরত্ব মানে কি বেঁচে থাকা মানুষের স্মৃতিতে লেপ্টে থাকা? নাকি বেঁচে থাকা মানুষের মনে কখনো কখনো জেগে ওঠা? সংবাদ শিরোনাম, টেলিভিশন কিংবা ছাপা কাগজে, নতুন হয় প্রতিদিন। থাকে কিছু চর্বিত চর্বন। সংবাদও কি মরে যায়?
মোটামুটি ভালোভাবেই রোযা প্রায় শেষ। অফিসে ঝামেলা কম। ছুটির মৌসুম তাই কলিগদের অনেকেই ছুটি কাটাচ্ছে। প্রায় মাসদুয়েক কোন মিটিং হয়নি তাই নতুন কোন প্রজেক্টে কাজ করতে হয়নি। পুরাতনগুলো ঝালাই হচ্ছে। কাজ কম এজন্য দেরী করে আসি, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি। ফলাফল, ঘন্টা জ্যামিতিক হারে নিম্মমুখী।
১৩. নুনখাওয়া ইউনিয়নে ঢোকার রাস্তাটা বেশ সরু। মাঝখানে আবার একটি কালভার্ট ভেঙ্গে আছে। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তার অবস্থা যাচ্ছেতাই। এক ভ্যানওয়ালাকে অনেক অনুরোধ করলাম, পাত্তাই দিলো না! আগেরদিন এরকম রাস্তায় বাটার জুতা পায়ে দিয়ে বেড়াতে গিয়ে নাকাল হয়েছি, রাতে কুড়িগ্রাম ফিরে ২৯০ টাকায় জুতা কিনলাম-বাটা, রবারের জুতা! তারপরও কয়েকবার মনে হলো আছাড় খেতে খেতে বেঁচে গিয়েছি; অথচ ছোটবেলায় এর চেয়েও কঠিন রাস্তা দাবড়াতাম খালি পায়ে! শহর আর গ্রামের মানুষের ফারাকগুলো এরকম ছোট ছোট, কিন্তু পরিমাণে অনেক।
১. কুড়িগ্রামে ছিলাম বেশ ক’দিন। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ করে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। মাঝখানে কয়েকটা দিন বিরতি দিয়ে এ মাসের মাঝামাঝি আবার নতুন করে বন্যার প্রকোপ বাড়ে। যে কাজে গিয়েছিলাম সেটি বন্যা-পরবর্তী-পুনর্বাসন বা ত্রাণ-সম্পর্কিত কাজ না হলেও আমার কাজের সাথে বন্যার একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে। ফলে বন্যাপ্রকোপ এলাকাগুলোতে প্রচুর ঘুরাঘুরি করতে হচ্ছে। এর আগে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জের চরে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। ওই এলাকাগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজকর্ম কীভাবে চলে তা দেখতে গিয়েছিলাম একবার। ভোর ছয়টায় রওনা দিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে যখন বিদ্যালয়ে পৌঁছতাম, অধিকাংশ দিনই গিয়ে দেখতাম বিদ্যালয়ের কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে। এভাবে দিনে ২৫ মাইলের বেশি হাঁটার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞতা একেবারেই বিপরীত।