কপালফেরে রাণীর রাজ্যে আমার বর্তমান নিবাস। তবে যেখানে থাকি সেখান থেকে লন্ডন বেশ খানিকটা দূরে বলে অলিম্পিকের উত্তাপ এখানে ওভাবে আসেনি। তবে অলিম্পিক আসছে- এমন একটা শোরগোল চলছে অনেকদিন ধরেই। এপ্রিল যখন শেষবার লন্ডন গিয়েছিলাম তখন অলিম্পিক ভেন্যুগুলো দেখে এসেছিলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার পর সেটার একটা রিভিউ লিখতে বসে গেলাম।
২০০১ এর জুন থেকে আমি দেশান্তরী। ২০০৭ এর নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিরতে পারিনি। প্রথমে বাংলাদেশ থেকে জাপান। জাপান থেকে আমেরিকা। আমেরিকা থেকে কানাডা। এক দেশ থেকে আরেক দেশ। লম্বা জার্নি। জীবনটা কাটছিলো মোটামুটি দৌঁড়ের ওপর। কতো কতো প্রিয় জিনিস যে ফেলতে ফেলতে গেলাম! কতোজন যে আমার হাতছাড়া হয়ে গেলো! কতোজন যে আমার হাতটি ছেড়ে দিলো! কিন্তু একজনের সঙ্গে সম্পর্কটা আমার ছিন্ন হলো না। তিনি হুমায়ূন আহমেদ।
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ হলো, মেঘলা আকাশ, একটু পরপর অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। শহুরে বৃষ্টি আমার কাছে রোমান্টিক নয়। সকাল বেলাতেই কাক-ভেজা হয়ে একটা রিকশা কিংবা সিএনজি এর জন্য অপেক্ষা করাটা কষ্টকর, তাও যদি গোড়ালি পর্যন্ত কাদা থাকে রাস্তায়। হঠাৎ একটা বড় গাড়ি সাই করে পাশ দিয়ে কাদা-জল ছিটিয়ে বেরিয়ে গেলো। অন্যমনস্ক থাকায় শেষ মুহূর্তে পেছাতেও পারলামনা। শালা @#@#বাচ্চা, অশ্রাব্য একটা গা
০১
সারা সপ্তাহ নানাবিধ মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রমের পর ঢাকা শহরের বাইরে যাওয়াটা একরকম জরুরী হয়ে পড়েছিলো। মহামতি ওডিনের সাথে কথাবার্তা বলে দেখা গেলো উনার চিন্তাভাবনাও কাছাকাছি- গতকাল সকালেই তাই আমি, মহামতি ওডিন, মহাকবি তারেক রহিম আর মহামতি ওডিনের বন্ধু সুমন ভাই মিলে বালিয়াটি আর পাকুটিয়ার জমিদারবাড়িতে গেলাম।
শুভ জন্মদিন তোমায় মাহদিন
“Anything that can go wrong, will go wrong” – মারফির সূত্র
১। দিনের স্বাভাবিক শুরু
ঘুম থেকে ওঠার পনেরো মিনিটের মাঝে পরের বাসটা পাওয়া মানে হচ্ছে একটি সুন্দর দিনের সূচনা, যা শুরু হতে পারে সকাল দশটা কি দুপুর বারোটায়। শনিবার জুড়ে চলে বাস নীরবতা, তাই ঘুম থেকে ওঠার দেড় ঘন্টার মাঝে কোন বাস নেই। ফেসবুকে রাজা-উজির মেরে সময় কাটাই। সপ্তাহখানেক ধরে ক্ষেপে থাকা সূর্যের নীচে সাইকেল ঠেলে বাসস্টপে পৌঁছালাম, তারপর সাইকেল বাসে ঝুলিয়ে ডিপার্টমেন্ট। দুই মাসে তিন বার বাসে সাইকেল ফেলে আসার পর সাইকেল না ভুলে যাওয়াই সাফল্যের নতুন মাপকাঠি, টানা এক সপ্তাহ জুড়ে সেই সাফল্য ধরে রাখি।
"তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কোলকাতার ট্রামে হারিয়ে ফেলেছিলেন অদ্বিতীয় “অদ্বৈত মল্ল বর্মন”। তীর্থের কাকের প্রায় সম্পূর্ণ লেখাটা খোয়া গেছে আগের ল্যাপটপ সারাতে গিয়ে। সচলে যতটুকু দেয়াছিল তার পর থেকে আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। লেখা জমা রাখার নিরাপদ জায়গা সচলায়তনে আজকের লেখা পর্বটি জমা রাখছি। বিরতির কারণ যাই হোক; যারা তীর্থের কাক পড়তেন তাদের কাছে এই অনাকাংক্ষিত বিলম্ব এবং অনিয়মিতির জন্য ক
যাচ্ছিলাম আম কিনতে। খবর পেয়েছি ফরমালিন মুক্ত আম এসেছে এক জায়গায়। যেতে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম এতদিন বিষযুক্ত আম খেয়েছি, এখন বিষমুক্ত আম খেলে বদ হজম হবে কিনা। কিন্তু গিয়ে আমের দাম শুনে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হলো। বিবেকের কাছ থেকে সমাধান এলো ওই দামের বিষমুক্ত আম খাওয়ার চেয়ে খানিকটা বিষ সয়ে নেয়া ভালো। শরীরের নাম মহাশয়, যতটুকু সওয়ানো যায়, ততটাই .....।
বৃষ্টিতে যখন ডুবে যাচ্ছিলো চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান সর্বত্র...
বাড়ছিলো মৃতের সংখ্যা...
তখন কেবলই মনে হচ্ছিলো কেমন আছে দুরন্ত দুষ্টু থুই হ্লা খিয়াং? কেমন আছে মাতৃময়ী মেরী? দিপালী, মাইকেল, সোহেল, আশিক, সিমসন, ব্যানসন, উ মং খিয়াংরা?