গত এক যুগ ধরে সঞ্জয়ের সেলুনে চুল কাটাই। এই লম্বা সময়ে চুল কাটানোর চার্জ বেড়েছে চারগুণ, কিন্তু সঞ্জয়ের বয়স যেন বাড়েনি। ঠিক একই রকম আছে গত বারো বছর ধরে। সেলুনের দেয়ালে ঝুলছে সঞ্জয় হেয়ার ড্রেসিং সেলুনের পুরনো ক্যালেন্ডার, ২০০৮ সাল, তাতে বড় করে সঞ্জয়ের ছবি আর গোল্ড স্টার শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন। সঞ্জয়ের সেলুনে আরো ৪ জন কাজ করে, এরা বয়সে সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণ। কাজের মাঝে তারা অনবরত কথা বলে, খুনসুটি ক
গত কয়েকদিন খুব ভাল ছিলাম। নিজের মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছিলাম বেশ। প্রায়ই সবাই বলতো বাংলাদেশ হল অমানুষদের জায়গা। বাংলাদেশের সব লোক দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ফেসবুকে-ব্লগে-পত্রপত্রিকায় আমি শুধুই মানুষ দেখছিলাম। অনেক মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ। সবাই মানবতাবোধে ভর্তি উপচে পড়া ভালবাসা দেখাচ্ছিল- ঠিক আমার মত। আজকালকার দিনে আমাদের অবশ্য প্রায়ই ভেক ধরে থাকতে হয়- কখন নাহলে আবার ছ
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে সামার ভ্যাকেশন চলছে, সকালে যানজট একটু কম।
(অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে লেখা। ভুল ভ্রান্তি থাকাই স্বাভাবিক)
এক
টাপুরটুপুর মন ভালো নেই
সকালটা আজ ভোরবেলাতেই
মেঘের সাথে ভাব করেছে, যাচ্ছে ঝরে, যাচ্ছে ঝরে...
জানালাটা পাতার ভিড়ে আনমনা মন
প্রাপক বিহীন পত্রগুলো জলের মতন
কোথায় কখন কার কাছে যায় কার কাছে যায়, এমন করে!
পাতায় পাতায় জলের ফোঁটা সূত্রবিহীন সুতোর টানে
কেবল ঝরে কেবল ঝরে --- আকাশ জানে
মেঘ জানেনা জলের খবর,
জল জানে কি!
খুব দেখেছি
গন্ধ-সোঁদা জলের বহর
মৃত্তিকাতে ঢেউ গুনে যায় সব-প্রহরে;
এইডাই হয়, হঠাৎ চাইট উডে আর চাট্টি-বাট্টি গুলগাল কইরা রওনা দিয়া দেই। মাইনষে কয় - তারা দেহি খালি গুপুনে যায়-আসে, কাউরে লগে নেয়না, কাউর লগে ইডা লয়া কুনু কতা কয়না, এক্কেরে লেপচা লুকজান !!! আমরা এমনই, সন্ধ্যায় কতা কইতে কইতে মনে হইলো ঢাকা থাকন যাইবো না, অন্য কুথাও ঘুইরা আসিগা।
ভুতে কিলায় নাই। সুখে কিলাইছে। তাই জনগণের পেটের ভেতর ট্যাকসোর হাত যতদূর ঢুকানো যায় তার চেয়েও একটু বেশী ঢুকিয়েও তারা হাসে। আরেকটু ভেতরে গেলে জনগণ বমি করে দিতে পারে কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হইলেও কিছু করার নাই। সরকারকে সাবধান করা আমার কর্ম নয়, আপনারও না। আমরা বরং বাজেট নিয়ে কয়েকটা গতানুগতিক ঢেকুর তুলি সংক্ষেপে। বলা বাহুল্য এটা কোন বাজেটালুচনা নয়, তবে কেউ চাইলে এটিকে শুধুই আলু বলে বিবেচনা করত
ঊননব্বুই-নব্বুই সালের কথা। আমার মেয়ে নদী তখন র্যাংকিন স্ট্রিটের ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা নামে একটা কিন্ডারগার্টেনে কেজি ওয়ানের ছাত্রী। বেশিরভাগ সময় ওর মা শার্লিই ওকে স্কুলে আনা-নেয়ার দায়িত্বটি পালন করে। মাঝে মধ্যে আমি ওকে নিয়ে যাই। আমাদের হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা খুব একটা দূরে নয়। হাঁটা পথে পাঁচ সাত মিনিটের দূরত্ব। একদিন সকালে নদী বায়না ধরলো—আজ বাবাই তাকে নিয়ে যাবে স্কুল
এই লেখাটা শুরু করেছিলাম ২২শে নভেম্বর ২০১১ তে। আজ ৯ই জুন ২০১২। কত তাড়াতাড়ি সময় বয়ে যায়। হঠাৎ ল্যাপটপের “হাউস কিপিং” করতে গিয়ে অসম্পূর্ণ লেখাটা পেলাম। এরই মধ্যে চাকরীটা পাল্টেছি, মেঘাও বেশ বড় হয়ে গেছে।
সেদিন দুনিয়া কাঁপানো সাইরেনটা যারা শুনেছেন তাদের বলছি ছোট্ট ঘটনাটা।
লোকের কথায় কান না দিয়ে সে নিজেকে নিজেই বড় মনে করতে শুরু করলো। সময় হলে সে তার ল্যাপটপ নিয়ে বসে যায়, সাথে একটা অপটিক্যাল মাউস, ছোট্ট মোবাইল সেট, আর অতি অবশ্যই সানগ্লাস। ল্যাপটপ চালাতে সানগ্লাস কেন লাগে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগতে পারে আপনার। আমার চোখে চশমা আছে বলে সহজে বুঝেছি ব্যাপার।