Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

দিনপঞ্জি

ভদ্র মানুষ

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৩/২০১২ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাল ফুলিয়ে আমার রুমে ঢুকলো ওশিন। একটু আগে তার মা তাকে বকেছে। মৃদু মারও দিয়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু মুখকে যতটা গম্ভীর করতে পারে, তার চেয়ে দ্বিগুন গম্ভীর মুখে ওশিন আমাকে বললো, জানো ফুফু, মা আর দাদু দোষ করেছে।
আমি বললাম, কী দোষ করেছে?
-- মা আমাকে বকেছে, মেরেছেও! আর দাদু মায়ের বিচারটাই করলো না!


আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর আয় বৃষ্টি ঝেঁপে। মন খারাপের বৃষ্টি তোকে দুঃখ দেবো মেপে...

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/০৩/২০১২ - ১২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চার মাস। পাক্কা চার মাস এই শহরে। দীর্ঘ পনেরো বছর পর এতটা সময় আমার এই শহরে। আজন্ম শৈশব এখানে কেটেছে আমার। তারপর সদ্য কৈশোর পেরিয়েই এই শহর থেকে অনেক দূরে। কখনো কোন নিরালা বসন্তের ছুটিতে খুব বেশী হলে এক সপ্তাহ কিংবা কখনো আরও দিন কতেক বেশী, বড় জোড় দিন পনেরো- এর চেয়ে বেশী গত দেড় দশকে কাটেনি এই শহরে একটানা।


২০১২ কথামালা

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৩/২০১২ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নতুন বছর আমাদের জীবনে নিয়ে আসে নতুন বারতা। ২০১২ নিয়ে সচলায়তনের আয়জন এই ব-e।


ঢাকামেট্রো ২৯-০২১২

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৩/২০১২ - ১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিট
সকাল কয়টায় রওনা দিলে মিরপুর থেকে বসুন্ধরা বারিধারায় আটটার আগে পৌঁছানো যাবে তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হয়ে গেছে গত ক’বছরে। বছর দুয়েক আগেও সাতটা বিশে বাসা থেকে বের হয়ে আটটার আগে পৌঁছানো যেতো, এখন সেদিন আর নাই। যাওয়ার পথকে ক্যান্টনমেন্ট-বনানী-গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট-শেওড়া-নদ্দা, ভাষানটেক-জিয়াকলোনী-এয়ারপোর্ট এরকম অনেকগুলো পারমুটেশন কম্বিনেশন করে নানান পথে গিয়ে দেখেছি ভীড় বেড়ে গেছে অনেক। গত ছ’মাস সকাল ছ’টা পঞ্চাশে রওনা দিলেও আটটায় পৌঁছানো যেতো, এখন তাও যাচ্ছে না। অগত্যা ছ’টা চল্লিশে বাসা থেকে বেরুলাম আজ।


সন্তাপ ০২

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০১২ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০৯.০৭.১২

প্রথম ঘন্টায় হিসেবে মিলেছে গত ঘন্টার কণ্ঠস্বর
দ্বিতীয় দিনে বলেছি গতকাল, এভাবে প্রতিদিন
পূর্ববর্তি দিনকে টেনে এনেছি …
অষ্টম দিবসে এসে আর 'গত' বলতে পারি না
বলতে হয় গত বৃহস্পতির আগের বৃহস্পতিবার!
হায়, এত দ্রুত তুমি দুরে সরে যাও
হায়, এত দ্রুত তুমি স্মৃতি হও!

শূন্যতা

কল লিস্ট থেকে তোমর নামটা উধাও
শেষবার দেখেছি ১৩৪ টা মিস্ড কল


রাতঘোটকী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০১২ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেমন যেন একটা খসখস শব্দ। ঘুম ভেঙে গেলো। অন্ধকারেই একটু স্পষ্ট করে দেখার চেষ্টা করি। কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে দরোজার কাছে। ভালো করে তাকাই। নাহ। কেউ নেই। চোখ বন্ধ করি। একটু পরে আবার সেই শব্দ। এবার একটু চোখ বড়ো করে তাকাই। হ্যাঁ। ওই তো কে যেন দাঁড়িয়ে ওখানে। শুধু অবয়বটা বোঝা যাচ্ছে। চোখ কচলে তাকাতেই দেখি নেই। ঘুম উধাও। চোখ বন্ধ করে ভাবছি, আসলেই কাউকে কি দেখলাম?


পাতালের জীবন আর রুশ দেশের রূপকথা

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ৮:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিস্কর্মা শেইদুল্লাকে মনে আছে তো? সেই যে কোন কিছু না করেই স্রেফ বসে বসে ধনী হয়ে যেতে চেয়েছিল, আর অবলীলায় হাতের কাছে আসা ধন-রত্ন পায়ে ঠেলে চলে যাচ্ছিল শুধু সামান্য পরিশ্রমের ভয়ে! শেইদুল্লাকে আইডল বানাতে চেয়েও কখনো পারিনি। আলদার কোশে আর শিগাই বাইয়ের গুনগুলি রপ্ত করতেই যেন ছুটে চলেছি দিন-রাত। বোকা ইভানের মত চুল্লির উপর বসে ব্যাঙের ছাতা খাওয়ার সাধ আমার বহুদিনের। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে তখন তেপান্তরের মাঠে গিয়ে চিৎকার করে ডাকবো সিভকা-বুর্কাকে। তার এককান দিয়ে ঢুকতে না পারলেও ক্ষতি নেই বিশেষ। জাদুকরী ভাসিলিসাকে পাওয়ার লোভে ব্যাঙের ঠোঁটে চুমু খাইনি কোনদিন। কি জানি, স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়েই হয়তো।


ভালোবাসার সংজ্ঞা: উদাহরণ সহ

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রেনু আর রতনের ব্রেকাপ শেষ পর্যন্ত হয়েই গেল। হবে না তো কি?! কট্টর মুসলিম খান্দানের মেয়ে আর রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের ছেলের মধ্যে যে এ প্রেম পাক্কা পাঁচ বছর ধরে মরে মরে হাঁচড়ে-পাচড়ে বেঁচে ছিল, এ-ই অনেক!


পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে মুল্লা মরলে জ্বলে না

লাল মিয়া এর ছবি
লিখেছেন লাল মিয়া (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ১২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সে বহুৎ পুরানা কাহিনী। বাংলা বোলগ জগতের অলিতে গলিতে তখন ছাগু আর ছাগাতুন্নেছা গিজগিজ করতেছে। কথায় কথায় গোলাম আজম-নিজামীগো মহান্নেতা কইয়া ন্যান্টা হইয়া নাচে। সেই কয়েকঝাঁক ছাগীর কাঁচুলি ছিঁড়া ঝুমুর ঝুমুর নাচের ঠ্যালায় যুক্তিটুক্তি কয়েকমাসের মধ্যে মাতায় উইঠা গেলগা। যুদ্ধবিজ্ঞানের খুব জরুরি শিক্ষা মনে পড়লো। শত্রু যে অস্ত্র চালাইতে পারে না সেই অস্ত্রে তারে ঘায়েল করো। খুব বেশী কিছু করা লাগলো না


এগারো ডিগ্রি আর কিছু অকারণ আনন্দ

দীপ্ত এর ছবি
লিখেছেন দীপ্ত [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ৮:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গতকালের আগের দিন আমার ভার্সিটি গিয়েছিলাম, বেশ কদিন পরে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আর যাওয়াই হয়নি। এখন আন্ডারগ্র্যাডদের ছুটি চলে, সবারই পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। তাই ক্যাম্পাসটা বেশ ফাঁকা। দুচারজন ছাত্র হেঁটে লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছে, অল্প কজন ক্লাস থেকে বের হয়েছে, সব মিলে বেশ শান্ত-চুপচাপ এক ক্যাম্পাস। এর মধ্যেই ভার্সিটিতে ঢুকতে না ঢুকতেই বাচ্চাদের চিৎকার- চেঁচামেচি কানে ভেসে আসে। ঢোকার মুখেই