০।
ক্যাম্পাসে এই নিয়ে ছয় বছর হয়ে গেল। এই ছয় বছরের আগের আঠার বছর, তের ফেব্রুয়ারি মানে ছিল বছরের আরেকটা দিন। তাই ফার্স্ট ইয়ারের তের ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার ক্লাসে এসে যখন দেখলাম প্রায় সব মেয়েই রঙ্গিন সব শাড়ি পড়ে ক্লাসে বসে আছে
[justify]আমি আস্ত একটা ভীতুর ডিম। ছোট থাকতে অতি তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে আমি ভীত হতাম, শংকিত হয়ে কাঁপতাম। কিন্তু বেজায় লাজুক হওয়ার কারণে আমার ভয় কাউকে বুঝতে দিতাম না। একমাত্র আম্মুর চোখে মাঝে মাঝে ধরা খেয়ে যেতাম। বড় হলে নাকি ভয়-ডর আস্তে আস্তে কমে যায়। কিজানি কী কারণে নিয়মের হেরফেরে আমার হলো এবং হতে থাকলো এর উলটো। উদ্ভট উদ্ভট সব কারণে আমি ভীত হতে থাকলাম।
বাসায় একটা টিভি কেনার জন্য বাবার সাথে কতবার অভিমানে গাল ফুলিয়েছি ঠিক নেই। ১৯৭৯ সালে মাসখানেকের জন্য একটা বারো ইঞ্চির সাদাকালো ন্যাশনাল টিভি বাসায় এসেছিল। কিন্তু মাত্র ১টা চ্যানেলের ৫ ঘন্টার প্রোগ্রামের কারণে পড়াশোনা 'উচ্ছন্নে' যাচ্ছে বলে ওটা বিক্রি করে দেয়া হয় শীঘ্রি।
[justify]শিশুকালে দাদুবাড়িতে থাকতে “মেলা” বলতে আমি একটা জিনিসকেই বুঝতাম। সেটা হলো গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দিনে হরেক রকম বাহারি জিনিসপত্রের বিশাল হাট। সপ্তাহের হাটের দিনে যেভাবে গ্রামের বাজারে ঢাকে করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবজির পসরা বসে ঠিক সেরকমভাবে ফেরিওয়ালারা ময়দানের পরিসীমা জুড়ে ছড়িয়ে বসতো। আর এই মেলার প্রধান লক্ষ্যবস্তুই ছিলাম আমরা মানে শিশুরা। শিশুদের আকর্ষণের জন্যে ফেরিওয়ালাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকতো না। খেলনার আর মিষ্টি জাতীয় খাবারের বৈচিত্রে ভরপুর হয়ে থাকতো পুরো ঈদবেলায় সেই ময়দান।
চতুর্থ পর্বঃ কবি ও শিক্ষক ...............
হুমায়ুন আহমেদের প্রকাশনী যেমন 'অন্যপ্রকাশ' তেমনি হুমায়ুন আজাদের 'আগামী'। দুই লেখকের অবস্থান অনুযায়ী মেলায় গত দুই প্রকাশনীর অবস্থানগত দূরত্বেরও সামঞ্জস্যতা ছিলো। কিন্তু এবার অন্যপ্রকাশ যে গলির শেষ মাথায় সে গলির মধ্যভাগে আগামী। গতকাল আগামী প্রকাশনীর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ছোটভাইয়ের জন্য হুমায়ুন আজাদের 'কিশোর উপন্যাস সমগ্র' কিনবো বলে। একটু দূরে অন্যপ্রকাশে উপচে পড়া ভিড়, আগামী ফাঁকা ফাঁকা। আরাম
বিজ্ঞান শাখার ছাত্রী না হয়েও আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা নীতি ভালোই বুঝেন কনকচাঁপা। শুধু ভালো জানাতেই শেষ নয় তিনি অনুভবও করেন আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিক্স। অনুভবেই শেষ হতে পারতো বিষয়টা। কিন্তু কোনো কিছুই আসলে কোনো কিছুতে গিয়ে শেষ হয়না। কনকচাঁপা তাই উপ-সম্পাদকীয় লিখেন। সেখানে তিনি আপেক্ষিকতা নিয়ে জ্ঞান কপচান, হিগস বোসন কণা নিয়ে জ্ঞান কপচান, তারপর আরও অনেক অনেক বিষয় নিয়ে। সত্যেন বোস প্রসঙ্গ
সকালবেলা যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন ভার্সিটি যাবার সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের যখন মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতে দেখি তখন আগের দিনের এই সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয়, কিভাবে ১২টা বছর সকাল ৮টায় ক্লাস করতাম! অবাক লাগে ভাবতে। দেখি, ছোট ছোট মানুষ, কাঁধে বিশাল বড় বড় ব্যাগ!
আইডিয়াল স্কুলে পড়তাম। বাচ্চা ক্লাসে থাকার সময় স্কুলে কোনো অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রণ পত্র বিতরণ করা হতো ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে। মজার ব্যাপার ছিলো, আমন্ত্রণ পত্র দুই প্রকারের। একটা বেশভুষাহীন সাধারণ প্রিন্ট করা কাগজ, আরেকটা সাদা খামে মোড়ানো হার্ডকাভারে প্রিন্টেড। উন্নতমানের আমন্ত্রণ পত্র 'ডোনেশন' দিয়ে ভর্তি হয়েছে যারা তাদের জন্য। দপ্তরি পত্র বিতরণে এসে প্রথমেই ডোনেশনে ভর্তি হয়েছে যারা তাদের হাত উঁচ
১.
এবার বাসটা পিষ্ট করলো শিশু পালোমার কোমল শরীর!! কেমন লেগেছে চালক রহিজুল ইসলামের? কেমন লেগেছিল সীতাকুন্ডের মফিজুর রহমানের? একের পর এক মানুষ চাপা দিয়ে কেমন অনুভুতি হয় আপনাদের? আপনাদের সন্তানেরা কি চাপা মুক্ত থাকবে চিরকাল?