উইপোকার খাদ্য তালিকায় বই জিনিসটা কতোটা উৎকৃষ্ট জানি না। বাসা বদলের সময় নতুন বাসায় অতিথি হিসেবে কিছু পুরোনো উইপোকা বইয়ের ভাঁজে চলে এসেছিল। তাদের ভয়ে বইগুলো ব্যাপক ঝাড়পোছ করে নতুন বুক শেলফে তোলা হয়েছিল। উইপোকা মুক্ত বুকশেলফে বইগুলোকে অবমুক্ত করতে পেরে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। সাতফুট বাই আটফুটের নতুন বুকশেলফটা বানানো হয়েছে শিপব্রেকিং দোকান থেকে কেনা পুরোনো জাহাজভাঙ্গার প্লাইউড দিয়ে। জাহাজের জিনিসে কেন যেন
দ্বিতীয় পর্ব : বিষণ্ণ গোধূলি
আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?
১৮ই জানুয়ারী। রোজ বুধবার। বেলা বারোটা।
পাঠক নিশ্চয়ই খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। ভাবছেন, এইদিন এই সময়ে বুঝি লেখকের জীবনে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে গেছে। প্রিয় পাঠককে হতাশ করে বলতে হচ্ছে, অধমের জীবনে এ্যাডভাঞ্চারাস বা থ্রিলিং কিছু সচরাচর ঘটে না। কুয়োর ব্যাঙ হলে যা হয় আর কি।
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণঃ বিশা-আ-আ-আল পোষ্ট। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় থাকলে, নিজ দায়িত্বে অগ্রসর হউন।
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
দু'সপ্তাহের বেশি হতে চলল এই নতুন বছরের।
সেটা ‘আর্লি নাইন্টিজ’, কলকাতার ভিআইপি রোডের তখন কিশোর বয়স, আর বয়সোচিত মাখনের মত ত্বক। বরিশালে আমাদের দ্যাশের বাড়ি থেকে এক কাকা এলো বেড়াতে, বাবা তাকে স্কুটারে করে ওই রাস্তায় একপাক ঘুরিয়ে আনার পর মন্তব্য এসেছিল, “Zhaকুনি লাগে!”
এ ঘরে মন ফিরে না। তাই ঘুরে ঘুরে ফেরা, ঘরে ফেরা। ফেরার কোন কারন নেই, তবুও ফিরে ফিরে আসা। এ ঘর আমার নয়, এ চারদেয়াল আমার জন্য নয়। এ শরীর আটকে রাখে, আমায় ধারন করে না কোন কারনে ই। তবু অন্যের ঘরে চুপিসারে ঢুকে যাই আমি, ফিরে আসি আমি। দুটুকরো মাংসের টানে প্রতিদিন অন্যের ঘরে ফিরে আসা। এর গন্ধে ভুলে যাই সারা দিনমান বয়ে বেরানো পেন্ডুলাম মনের কথা।
হেটে হেটে গোলোক ধাধায় হারিয়ে ফেলে যখন আলোর দেখা মিললো, বলল ভালবাসা। সেই আলো চোখে মেখে নিমিলিত আখি সামনে দেখে বেশ্যা
মা গ্রামে যাবে।
প্রায় বছর চারেক বাদে। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বা মা’র কারোই ওদিকে যাওয়া হয়নি।
সকাল ৬টার বাস।
ইদানীং আমার কি হয়েছে কে জানে, রাতে ১০টা-১১টা বাজলেই ঘুমে চোখ ডুবে যায়, কোনকিছু দিয়েই চোখের পাতা খোলা রাখতে পারি না। আর ঘুম ভেঙ্গে যায় ৩টা-৪টার দিকে।
ঘুম ভেঙ্গে গেলে মাকে ডেকে তুললাম।
সব গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হতে পাঁচটা বেজে গেল।