Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

দিনপঞ্জি

রাজশাহীনামা-০৫

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: শনি, ১০/১২/২০১১ - ৬:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রেড ড্রাগন

আমাদের ছোটবেলায় খুব বেশি রেস্টুরেন্ট-টেন্ট ছিল না, আর মানুষের মাঝে বাইরে খেতে যাবার মানে যাকে বলে eating বা dining out এই প্রবণতাটা ছিল দুর্লভ। এখন যেমন অনেকেই রুচি বদল করতে বা ছোটখাটো উদযাপনে রেস্তোরাঁয় যান মাঝেমাঝেই, পনের-কুড়ি বছর আগে সেরকম চিন্তাভাবনা মধ্যবিত্তের মাঝে বেশ কম দেখা যেত। একটা কারণ মনে হয় সে সময়ে সাধ্যের মাঝে ভালো ভালো খাবার জায়গা ছিল কম, স্কয়ার ফিট মাপা অ্যাপার্টমেন্ট বাড়িও ছিল কম, কাজেই বাড়িতে দাওয়াত দিলে অতিথিদের স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা হবে এমনটা কেউ ভাবতে পারতো না। ছোটখাটো অনুষ্ঠান তো বটেই, বিশালাকার বৈবাহিক যজ্ঞও সকলে নিজের বাড়িতেই সুসম্পন্ন করতেন।


খাঁচার ভিতরে পাখিদের কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৯/১২/২০১১ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক্ষণ ধরে বসে আছি এই হাসপাতালে, একাকি। নাহ, আরো অনেক মানুষই আছে। কিন্তু আমি যোগাযোগহীন। হয়ত ভাষার জন্য, হয়তবা বয়স বা বর্ণ, অথবা আমি নিজেই। পাখি গুলো কথা বলতে থাকে। খুব সুন্দর চড়ুই এর মত দেখতে অনেক গুলো পাখি। আটকে আছে দুটো দেয়ালের মাঝখানে। এখানে আসা বৃদ্ধ রোগিদের বিনোদনের জন্য। আমিও এসেছি এক বৃদ্ধকে নিয়ে। আমার বাসার কাছেই থাকেন তিনি। আমেরিকার এই ছোট গ্রামে অল্প কয়টি বাঙালির আমরা এই দুই জন।


নতুন-বৌ রকস্ !

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/১১/২০১১ - ১০:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্বশুরবাড়ীর সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটির অত্যাচারে সেই প্রথম দিন থেকেই আমার জীবন ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেল। সবকিছু সে মহানন্দে তছনছ করে, সারাক্ষন পায়ের কাছে পড়ে থাকে, গায়ের সাথে লেপ্টে থাকে, পিঠ বেয়ে কাঁধে চড়ে, কাঁধ থেকে মাথায় উঠে বসে। মাথায় বসে এখনও যে পেশাব করে দেয়নি, এতেই আমি ‘শুকুর আলহামদুলিল্লাহ’। ও আমার বড় ননদের ছেলে ‘নোটন’; নিজেকে সে তোতোন বলেই পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মাত্র দুই বছর বয়সি এই শিশুটি আ


আমার ক্যামেরা চুরি যাওয়ার কাহিনি ও একটি ভ্রমণের গল্প।

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/১১/২০১১ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ বড় লেখা পড়তে যাদের অনীহা তারা লেখাটা এড়িয়ে যেতে পারেন।]
নীল দানিয়ুব আর কাল দানিয়ুবের সঙ্গমস্থল


তীর্থের কাক ১৩

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ২৮/১১/২০১১ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীর পথে : চীনের দিনলিপি ০২

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/১১/২০১১ - ৪:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীর পথে : চীনের দিনলিপি
http://www.sachalayatan.com/nebula/42101

২০ নভেম্বর ২০১১

লাগেজ চেকিং এর ঝক্কি পোহানোর পর যাত্রীদের আগমনের পথ ধরে বেরিয়ে এলাম। দেখি, সেখানে আমার নাম লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মিঃ লি অপেক্ষা করছেন। তাঁর হাসিমুখের পরতে পরতে বিনয় লেপটে আছে ছড়িয়ে যাওয়া ক্ষীরের মতো। বিনয়ের মধ্যে কিছুটা অপরাধ বোধের ছায়া দেখতে পেয়ে আমিও লজ্জিত হলাম।


মন খারাপের একটি দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/১১/২০১১ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. চাকুরীতে জয়েন করার পর মাঝে মাঝে কেন্টিন অথবা ট্রাম স্টপেজে একজন পাকিস্হানি বিভিন্ন সময় হাই-হ্যালো বলতো। ধীরে ধীরে কি ধরনের কাজ করি, কোথায় থাকি, এইসব ব্লা ব্লা'র উত্তরে শুধু হু, হ্যা করেই পাশ কাটাতাম। পরবর্তিতে জানলাম ও একই কোম্পানীতে প্রায় ১৫/১৬ বছর থেকেই আছে। আমাকে বিভিন্ন সময় জার্মানী ছেড়ে ইউ.কে তে একই কোম্পানীর অন্য ব্রাঞ্চে জয়েন করতে বলতো। যা যা করার সবই উনি করবেন। আমিও যতোটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে চাইতাম। একদিন ইউ.কে থেকে মেইলের উত্তর প্রিন্ট করে এসে দিয়ে বল্লেন, তুমি যদি যেতে চাও ওরা তোমাকে ঐ ব্রাঞ্চে নিতে প্রস্তুত। এবার না বলে পারলাম না যে, আমি আপাতত এখানেই ক্যারিয়ার গড়বো। উনি ক্ষ্যান্ত দিলেন। গতবছর চারসপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে এসে মেইল চেক করতে গিয়ে ইউনিট ম্যানেজারের একটা মেইল পড়ে পুরো থ। লোকটা মারা গিয়েছে। মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ছিলো তাই দেখা হতো খুবই কম। বয়স তো খুব বেশী ছিলো না।


একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/১১/২০১১ - ৩:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।
আট প্রহরের কান্না-হাসির শব্দে সুরে,
কাঠপাথুরে শহরতলীর বৃষ্টি,রোদে,ধোঁয়ায়,ধুলোয়,
সাদায়-কালোয়,
আলোয় কিংবা অন্ধকারে ...
একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।

সেই চিঠিটা পৌছে যাবে তোর জানালায় -
যখন আমার ধূসর আকাশ লাটাই বিহীন একটা সাদা ঘুড়ির শোকে নীল হয়ে যায়,
যখন আমার পাতার মত সবুজ বুকে কয়েক বিন্দু আষাঢ়-শ্রাবণ,
যখন আমার একটা দু'টো বিষণ্ণতার আলতো কাঁপন -


পৃথিবীর পথে : চীনের দিনলিপি ০১

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২১/১১/২০১১ - ১:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নভেম্বর ১৯, ২০১১


বাসা বদল

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১১/২০১১ - ৭:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বারান্দার এককোনার জবা ফুলের গাছটির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর অতনুর চোখ দিয়ে আপনা আপনিই কফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল। ফুলগাছটায় এখনও একটা ফুল বিকেলের সবটুকু আলোকে ম্লান করে দিয়ে হেসে হেসে এদিক ওদিক দুলছে। পরম মমতায় গাছটার গায়ে, পাতায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে অনেক কথা বলে যায় সে। সেই কবে এক শীতের ছুটিতে ডিসি হিল পার্কের বাহাদুর নার্সারি থেকে ছোট্ট একটা চারা কিনে এনেছিল, সেদিনের রোগা গাছটা আজ