আজ সকালটা কেমন যেন এলোমেলো। রোববার। তেমন কোন কাজ নেই। শুয়ে-বসে-স্কাইপে কথা বলেই কাটানো। একটু আগে শাওয়ার নিয়ে এসে ল্যাপটপের সামনে বসতেই বন্ধু দিবসের পোস্টগুলো চোখে পড়লো ফেইসবুকে। সাথে সাথে সা. ইন ব্লগ থেকে ২০০৮ সনের এই লেখাটা বের করে পড়লাম। তারপর কিছু সময় চুপচাপ বসে রইলাম। কেমন যেন স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলাম।
অনেকদিন পর সাইকেল নিয়ে বের হলাম। সাইকেলের অবস্থা যদিও খারাপ। মাসখানেকের উপরে চালানো হয় না। হাওয়া বের হয়ে গেছে।
গরমে জীবন হাঁপিয়ে উঠেছে, আমিও জীবনের বাইরের কেউ নই। এর মধ্যে সাইকেল চালানো নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেওয়ার নামান্তর মাত্র। কিন্তু ক্যাড়া উঠলে কে আর বসে থাকে বলুন। আমিও বসে থাকলাম না।
মৃন্ময়কে গল্প বলি।
ঐ যে নীল পাহাড় ঘিরে আছে আমাদের শহর, কাছে যেতে যেতে সেটা ক্রমশঃ সবুজ হতে থাকে। সেই পাহাড়ের ঢালে বসতি মৃন্ময়ের বয়সী এক শিশু মনা। মনার মা-বাবা-দাদা-দাদী সবাই মিলে চাষবাস করে, মনা ও কাজ করে-গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আজ এই রাতে তমসা ছেঁয়েছে চারিদিকে। যেন আঁধারে গ্রাস করেছে ধরণী।তথাপি বিশাল আকাশের বুকে আধ-খানি চাঁদ ম্রিয়মান অস্তিত্ত্বে বিরাজমান।যেন কোন সম্ভবনার জানান দেয় সে।
সব চলে গিয়েছে ঘুমের দেশে।ঘুমপরীরা তাদের নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।হাজারো স্বপ্নের সমারোহ।লাল নীল স্বপ্নেরা ভীড় করে তাতে।
[justify]জীবনের প্রথম চিঠিটা পেয়েছিলাম যখন ক্লাস ফোরে পড়ি। ঠিক পেয়েছিলাম বলা উচিত না। চিঠিটা আমার শ্রদ্ধেয় ছোট মামাজানের হাতে পড়েছিলো, তিনি সেই সময় বিশেষ ক্ষমতাবলে আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তো যাই হোক, পাড়ার একটা ছেলের কোন কারণে আমার মত ডানপিটে বান্দর মেয়েটাকে খুব মনে ধরেছিলো কেন যেনো। বলার সাহস না পেয়ে, একদিন মেলা সাহস করে একখান একপাতার চিঠি লিখে বসে। তারপর দুরুদুরু বুকে ছুড়ে দিয়েছিলো আমাদের
মিউনিখ শহর আজকে লন্ডন হয়ে গেছে। সকাল থেকে টিপির টিপির বৃষ্টি। আকাশে সূর্যের ‘স’ও নাই। সব মিলিয়ে কেমন একটা বিষণ্ণ পরিবেশ। কিছু কাজ জমে আছে, যেগুলি আজকে শেষ না করলেই নয়। তারপরও কেন যেন ইচ্ছা করছে না। মেঘলা দিনের অলসতা আমাকে কব্জা করে ফেলেছে। এই কব্জায় আটকা পড়ে আমার যে খুব খারাপ লাগছে, তা না। কিন্তু অস্থির লাগছে। অস্থিরতা বিড়ালের বাচ্চা না যে কোলে নিয়ে পুষতে হবে। এটাকে তাড়াতে হবে। এক কাপ মিন্ট চা বানালাম খুব আয়োজন করে। চায়ের সাথে টা হিসেবে বাদামের কোটা। যেনতেন বাদাম না। বাদামের গায়ে ওয়াসাবি’র কোটিং। ওয়াসাবি হল জাপানিজ হর্সর্যাডিশ। চরম ঝাল। এই ঝালের কোনো মা-বাপ নাই। আমি আবার ঝালখেকো মানুষ। মিন্ট চায়ের সাথে ওয়াসাবি দেয়া বাদাম খেতে ভালোই লাগছে। কিন্তু অস্থির ভাবটা কমছে না। কিছু একটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেলে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম, বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি। শুনেছি জুনের এসময়টাতে ভূটানে বৃষ্টি হয় প্রচুর। ঠাণ্ডাও থাকে। ভূটান এমনিতেই ঠাণ্ডা, পারো আর থিম্পুতে যে হোটেলে ছিলাম কোনোটাতেই এসি তো দূরের কথা ফ্যানও ছিলো না। গরম ঠিক না লাগলেও ভেতরে কেমন যেন একটা গুমোট মতো ভাব। টিপ টিপ বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস মন্দ লাগছিলো না আমার।
সকালে উঠেই ফেসবুকে ঢু মারি। চারিদিকে সুখী আমেজ। জি.দাসের পেজে 'লাইক' দেয়া আছে। উৎকৃষ্ট কোটেশন গুলা তুলে নিয়ে আসে। চট করে পড়ে নিয়ে আরেকবার দায়সারা 'লাইক' দেই। বন্ধুবান্ধবদের কারও মন খারাপ, কেউ চমৎকার সব ছবি তুলে সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছে, ভেতরে একটু হিংসা ভাব চাড়া দিয়ে উঠলেও তা দমিয়ে লাইক বোতাম খুঁজি দ্রুত।
২/৭/১১
জীবন ছড়িয়ে আছে তোমার
এখানে সেখানে
জন্মমাত্রই পিতৃহীন, তারপর
জননীও দিয়েছেন পাড়ি অন্যভূবণে
মামা, চাচা, ভাই, কোথায়
না আশ্রয় খুঁজেছ তুমি! তোমার
স্মৃতিগুলো মুড়কির মতো
ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। আর
আজ সকল দুঃখবোধ জড়ো
হলো এই একাকী বাড়িতে…
পিতা আমার, চিরকালিন শিশু আমার
এইবার তবে বিদায়, অথবা চীর বসবাস
আমার বুকে, নিভৃতে…
২.
তেষট্টি বছরের পিতৃশোক!
কতটা ভার বুকে নিয়ে তুমি