আয়েশ আর দুঃখ করে একটা সপ্তাহ কাটিয়ে দিলাম। তারপর কিভাবে জানি মনে পড়ে গেল চারদিন পর পনের নভেম্বর। না, বিশেষ কোন দিন না, ওইদিন একটা কোর্সের ফাইনাল প্রজেক্টের মিডওয়ে প্রগ্রেস দেখাতে হবে। সমস্যা সামান্য, প্রজেক্টটা এখনো শুরু করা হয়নি। এখন আর টেনশন করতে ভালো লাগেনা, এর চেয়ে একটা ব্লগ লিখা যাক।
আসার পর প্রায় তিনমাস হয়ে গেল। এখানের জুসটা দেশের জুসের মত মিষ্টি না, এখানের খাবারে মশলা নে ...
রাজতন্ত্রের দেশে এই প্রথম না, কিন্তু ভোটাভুটির গণতন্ত্র বিহীন রাজতন্ত্রের দেশে এই প্রথম বলা চলে। দেশে থাকতেও কোনদিন ভোট দেবার দরকার হয়নি, আর দরকার পড়লেও এক ছ্যাচড়া আর এক চোর-ডাকাতের মধ্যে একজনকে বেছে নেবার জন্য কষ্ট করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে কোনদিন যাব বলে মনে হয়না অদূর ভবিষ্যতে। এই দেশে সীমিত পরিসরে রাজাগজার তেমন প্রতাপ চোখে পড়েনা। তবে সর্ব ...
আমার ঘুমের মাঝে স্বপ্ন টপ্ন কমই আসে। তাও, হয়তো স্বাভাবিকতা রক্ষা করতেই কিছু কিছু স্বপ্ন দেখা হয়ে যায়। এর মাঝে আবার একটা কমন স্বপ্নও আছে, যেটা আমি একাধিকবার দেখেছি !!! একটা বিশাল গোলকধাঁধার মতো জায়গায় আমি আটকে গেছি, সারি সারি সেলফ্ সাজানো। সেলফ্ থেকে সেলফে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কিন্তু বের হবার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিনা ... স্বপ্নের শেষদিকে এসে আবিষ্কার করি ওটা একটা লাইব্রেরী (প্রতিবারই কেন ...
[০]
তিন বছর বয়সী বালিকাটি ফোনে আমার সাথে আলাপ শুরু করলো এক দিন, অ্যাই তুই কী করছিস?
- খাচ্ছি।
-কী খাচ্ছিস, জিব্রা? (আজকালকার বাচ্চারা আমাদের মতো জেব্রা বলে না, একেবারে z দিয়ে জিব্রা বলে, শুনে শুনে আমরাও শিখছি আর কি।)
- নাঃ, এই একটু জিরাফ খাচ্ছি।
এই শুনে সে হেসে কুটিপাটি। যেন জিব্রা খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু জিরাফ খাওয়াটা ঘোর বাজে একটা কাজ! তো সেখানেই আলাপ শেষ না, এরপর বলে, আচ্ছা তুই কি এক ...
মাহে আলম খান
দুই টাকা দাম, অফিস যাবার পথে – বাস এ, দুই ঘন্টার সম্পর্ক প্রতিদিন, (ভিন্ন কারণে) ভাল লাগা একটি দৈনিক পত্রিকা “বাংলাদেশ প্রতিদিন”।
গতকাল (৩রা নভেম্বর) দুই টাকায় প্রতিদিনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু পেলামঃ
* মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণমূলক লেখা – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কিছু সময়। তার বর্ণিত প্রতিটি স্থান আমি স্বচক্ষে দেখেছি, ২০০০ সালে (মহিলা ওয়ার্ড বাদ ...
ধুচ্ছাই, যুতসই একটি শিরোনামও মাথায় আসছে না। সচলায়তনে লেখা হয় না অনেকদিন। তাই এই গভীর রাতে ঘুমকে আগলে রেখে বসেছি লিখতে।
ঢাকায় ফিরেছি দুই সপ্তাহ আগে। বাবা-মার অসুস্থতার জন্যে দেশে ফেরার তাগিদ ছিল। গত জুনেই এ কারনে ঘুরে গেছি। এবারে একেবারেই ফিরেছি - তাই বেশ প্রশান্তি মনে। তার জন্যে সাহায্য করেছে নিয়তি। জুলাই মাসে আবেদন করেছিলাম ঢাকায় একটি চাকুরির জন্যে। সেটিই ত্বরান্বিত করল বা ...
এবং কোন এক শুভক্ষণে আমাদের "রিমোট কন্ট্রোলড মাউস" আমাদের কোড করা মুদ্রার তালে তালে ন্ত্য জুড়ে দিলো। আমরা রিমোটের "Channel+" বাটন প্রেস করলে সে সাঁই করে উপরে লাফ দেয়, আবার "Channel-" এ প্রেস করলে ভালো ছেলেটির মত নিচে নেমে আসে। "Volume+" এ প্রেস করলে সে খানিকটা ডাইনে সরে, অবশ্য "Volume-" এ চাপ দিলে ভোল পাল্টে বামপন্থী হতে ভুল করে না। রিমোটের ২ আর ৩নম্বর বাটন দুটি পরপর প্রেস করলে সে যে কোন ফাইল ড্র্যাগ করে আবা ...
“বারে ঢুকে একটা ড্রিঙ্কস ওর্ডার করে বসতেই আমার প্যান্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিলো পাশের জন”, ঠিক এভাবেই গল্প শুরু করলো ফিলিপ। “এরপর ছিটকে সরে আসলাম পরে সে জিজ্ঞেস করলো আমি তাঁর বাসায় যেতে চাই কিনা- আমি বললাম- দেখো- আমি ঠিক এমন না! এরপর সে জিজ্ঞেস করলো কেন তুমি জানতে না এটা পুরুষ সমকামীদের বার? বাইরে কিছু লেখা নেই, আমি কি করে জানবো! তবে ভিতরে ঢুকে প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলাম যখন দেখলাম শ-খ ...
-৪-
আমি এরকম কিছুই পাইনি, কমল পেয়েছে কড়ি,
শিশির পেয়েছে শঙ্খ, আর নীরা যা চেয়েছে তা-ই।
দেখে দেখে অবাক হয়েছি আমি,
এ যেন সমুদ্র নয়, স্রেফ কোনো পোষা হাতী,
কিংবা কোনো আলাদীন সার্কাসের বাঘ।
না কড়ি, না শঙ্খ, না শামুক,
আমার দু চোখে শুধু শস্যমগ্ন সমুদ্রের জল।
দ্যাখো- দ্যাখো কী সুন্দর অস্ত- বলতেই
পশ্চিমের সমুদ্রের ক্ষুধা গিলে খেলো পূর্বের সূর্যকে।
অমিত, শিশির, নীরা, আবছার, শাজাহান,
বন্দী হলো ...
-৩-
চাকমার পাহাড়ি বস্তি, বুদ্ধমন্দিরের চূড়া ছুঁয়ে
ডাকহরকরা চাঁদ মেঘের পল্লীর ঘরে ঘরে
শুভেচ্ছা জানাতে যায়, কেঁদে ফেরে ঘন্টার রোদন
চারদিকে। বাঁশের ঘরে ফালা ফালা দোচোয়ানি চাঁদ
পূর্ণিমার বৌদ্ধ চাঁদ, চাকমার মুখশ্রীমাখা চাঁদ!
নতুন নির্মিত বাড়ি সমুদ্রের জলে ঝুঁকে আছে।
প্রতিষ্ঠাবেষ্টিত ঝাউ, কাজুবাদামের গাছ, বালু
গোটাদিন তেতেপুড়ে, শ্রীতলে নিষ্ক্রান্ত হবে বলে
বাতাসের ভিক্ষাপ্রা ...