১.
গত কয়েকদিন আগে সুন্দরবন গেছি। ঠিক বনে বলা যায় না, বনের মাঝ দিয়ে খাল ও নদীতে বজরা নিয়ে ঘুরাঘুরি করাটাই মূল কাজ। বজরার ছাদে আরাম করে বসে গল্প করছি, এ সময় এক বড় আপা জিজ্ঞেস করলেন,"আপনার বাচ্চাকে কোন স্কুলে দিলেন?' আমি হেসে উনার ভুল ভাঙ্গালাম, 'বাচ্চার বয়েস মাত্র সোয়া দুই বছর, তিন বছর পার হলে স্কুলে দেব।' উনি বুঝলেন, কোথাও গড়বড় হচ্ছে। বললেন, 'আগামী বছর স্কুলে দেবেন মানে? আগাম ...
এ যেন ঠিক কোনো নির্দিষ্ট সৈকত নয়, বালি-ফেনায় মাখা গর্জনের নির্জনতায় এক ফালি সময়। তা লেখাও হয়েছিল সে সমুদ্রতটের কিশোরীবেলায়, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, ফলে এখনকার সঙ্গে হয়ত কোন মিলই নেই সেই অর্জনটুকু ছাড়া। এই সমুদ্র গায়ে মেখে জলপরী হয়ে যাই আমি, এই প্রথমবার৷
---------
হাওয়ায় উড়ুক চুল
জলোচ্ছাসে দেহের বল্কল
হোক এলোমেলো।
অন্তহীন অপেক্ষার শেষে
না হয় সমুদ্র আজ
...
কদিন ধরে আয়নায় চেহারাখান দেখছিলাম। চুল, কাঁচার সাথে এক দুটা পাকা দেখা যায়, দাড়ির অবস্থাও তথৈবচ, ডেন্টিস্টের সাথে মারপিটে করে একাধিক দাঁত হতাহত, চোখের পাওয়ার সিকির ওপরে আটকে আছে অনেক দিন ধরে। এই অবস্থায় দুনিয়াদারী নিয়ে লম্বা চওড়া কিছু একটা করার চিন্তা করাই মুশকিল, ফলাফল দিনপাঁচেক হল মক্কায়। টুকটাক কিছু শেয়ার করছি…
প্রথমেই ইন্টারনেট। অন্য শহরের ...
[অ্যালেন গিন্সবার্গ এর ‘After Lalon’ এর অনুকরণে ]
এক.
বড় বেশি পার্থিব হয়ে গেছি। ছোট বেলায় পরিবার পরিজনেরা সবাই বলতো পার্থিব হতে, বড় হতে, গাড়ি ঘোড়া চড়তে। লালন বলতো ভিন্নকথা, বলতো তাঁর ভাষায়- “সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তাঁর...মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার”, “পার্থিব মায়ায় আবদ্ধ হয়ো না”। বড় হওয়া কি জানি ...
গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছি বেশ কিছুক্ষণ। ও এখনো আসছে না। ফোনে যোগাযোগ করেছি, ও আসছে। আরো কিছুক্ষণ পেরিয়ে যাবার পর হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা, ও আমাকে দূর থেকে দেখে আবার পালিয়ে গেলো না তো। একবার হয়েছিলো এরকম। আমার কাজের সাথে রিলেটেড একজন ফোনে যোগাযোগ করলো। কথা হলো। সেই যোগাযোগ মোটামুটি নিয়মিত হয়ে দাঁড়ালো। ঘটনাক্রমে যখন তার সাথে দেখা হয়ে গেল, সে বেচারা আমাকে দেখে এতো শকড হলো যে পাক্কা নয় ম ...
অক্টোবর এসে গেছে । উত্তর থেকে বয়ে আসা বাতাসের গায়ে শীতের কোমল কাঁপন । গাছের সবুজ পাতারা ঝরে পড়ার আগে নানান রংয়ের ঝাঁপি খুলে বসেছে । ঘন সবুজ পাতারা প্রথমে হালকা হলুদ, তারপর গাঢ় হলুদ, কমলা, লাল, সবশেষে মরিচা রংয়ের হতে হতে গাছের গা থেকে আলগা হয়ে টুপ করে ঝরে পড়ছে । গাছতলায় জমে আছে ঝরা পাতাদের স্তূপ…সবুজ ঘাসের জমিনের ওপর ঝরা পাতাদের আচ্ছাদন…দু’পায়ে মাড়িয়ে গেলে মচমচ শব্দ করে ওঠে শুকনো প ...
শুরুতে স্নুজ বাটন চেপে চেপে ঘুম চালিয়ে যেতাম, এখন আর ওই কষ্ট করিনা। অ্যালার্ম বেজে ওঠা মাত্র বন্ধ করে দেই, তারপর যেসময়ের পর ঘুমালে ক্লাস বা মীটিং মিস হয়ে যাবে সেইসময়ে জেগে উঠে ব্রাঞ্ছ সেরে পিঠের ঝোলায় ল্যাপটপ আর বই পুরে হাটা দেই বাস-স্টপের দিকে। এভাবে দিন শুরু হয় সকাল দশটায় কি দুপুর একটায়।
ছোট শহর, হেটেই পুরোটা পাড়ি দেয়া যায়। ফ্রী বাস, আর রাস্তা যতই সুবেশা () বালিকাতে পরিপূর্ণ থাক ...
ঋতুবদলের সাথে এখন আর বদলায় না জলবায়ু। আশ্বিনে চৈত্রের গরমে পুড়ছে আমার ঘরের ছাদ, দেওয়াল আর আমি। বাইরে থই থই রোদ্দুর, নিস্তরঙ্গ দুপুর। কাক-পক্ষীও ডাকে না কোথাও। ফ্লাইওভারের মাঝখানে শুধু ক্রমশ উচ্চতায় বাড়তে বাড়তে অতিকায় এক দানবের চেহারা নেওয়া বাড়িটায় লোহা-লক্কড়ের ঠুক-ঠাক, যন্ত্রের ঘরর ঘরর ঘরর ঘরর শব্দ ভেঙে দিতে থাকে এই নৈঃশব্দকে। এই ক’দিন আগেও বারোমাস এখানে পাখিদের ডাক, তাদের গা ...
“ঠিক এক বছর আগে এই সময়টাতে একটানা ১৫ দিন আমরা মাঠে তাবু টানিয়ে কাটিয়েছি! প্রতিটা মূহুর্ত গিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে। এরমধ্যেও আসছিল নানান মজার মজার খবর” এভাবেই বর্ননা করছিল ইকো।
১২ মে, ২০০৮ রিকটার স্কেলে ৮মাত্রার এক ভূমিকম্পে ধ্বংশ হয়ে গেছে শিচুয়ান প্রভিন্সের এর ওয়েনচুয়ান সিটি। ধ্বংশযজ্ঞের মধ্য থেকে জীবিত, মৃত মানুষদের উদ্দ্বার ও নানা রকম সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে পৃথিব ...
অ.
ধানমন্ডি ৩২ নং এ, বঙ্গবন্ধুর বাড়ির উল্টোপাশে চা বিক্রি করতো একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা, এখন করে কিনা জানি না। বাড়ির ঠিক সামনেই না, ওখানে তো বসতে দেয় না, তাই একটু পশ্চিমে সরে গিয়ে বসতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেই কি বসতেন? সম্ভবত না, কারণ বঙ্গবন্ধুকে তিনি ভালোবাসতো, এটা সত্যি, তবে বসতেন মনে হয় পেটেরই টানে।
মাঝে মাঝেই গল্প হতো। তিনি যে পঙ্গু এটা জেনেছি অনেক পরে। জানার পর থেকে “চাচা একগ্ ...