পারলো না বাংলাদেশ
টাইগারেরা হতাশ করলো আবার। তীরে এসে তরী ডুবলো। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জয় এখনো রয়ে গেলো অধরা।...
জয়টা বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিলো। শেষ চার ওভারে ৩১ রান দরকার ছিলো ইংরেজদের, হাতে ছিলো দুই উইকেট মাত্র। এডি মরগান অভিষিক্ত বলার ট্রেডওয়েলকে নিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে দেবেন- এটা আশা করা ছিলো অনুচিত। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের শেখা...
রঙ-এর আজকের ছুটিটা অন্যরকম।
সেবার ক্লাস নাইনে রঙ স্কুলে যায়নি একদিন। জ্বর এসেছিল কি আসেনি মনে পড়ে না তার। সম্ভবতঃ এসেছিল, না হলে স্কুল ফাঁকি দেয়ার ছেলে সে নয়। তবে স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে যে একদমই ছিল না, একেবারে নিঃসন্দেহ। মুরুব্বিদের ভাষ্যমতে পাড়ার ঐ অভদ্র আর বখাটে ছেলেগুলোর সাথে মার্বেল খেলে সেদিনের সকালটা কাটিয়েছিল সে। দুপুরটা পার করেছে ঘুমিয়ে। আর বিকেলে গিয়েছিল পাশের গ্রাম ...
১
--
বিগত এক দশকে প্রতি ২-৩ বছরে জায়গা বদলে বদলে এমন অভ্যাস হয়েছে যে কোথাও ২ বছর হলেই মনে হয় বাব্বা: কত্তদিন হয়ে গেল এখানে! তা পুণেতেও নয় নয় করে আড়াইবছর হয়ে গেল৷ এ শহর ভাল লাগে আবার লাগেও না৷ পাহাড় আমার বড় পছন্দের বিষয়৷ এ শহরের এদিক ওদিক থেকে উঁকিমারা পাহাড়দের তাই বড় ভাল লাগে৷ শহরের লোকগুলো এমনিতে শান্ত নিরীহগোছের, কিন্তু সাধারণভাবে বড্ডই অলস আর গোঁড়া মানসিকতার৷বসবা...
সে দিন বরাবরের মতো বিকালে টিউশনিতে গেছি। রাত প্রায় ৯টা বেজে গেছে। হঠাৎ করে আমার ছাত্রের আব্বা এসে বলল, "স্যার, তাড়াতাড়ি হল এ চলে যান। ঢাকা ভার্সিটিতে নাকি গোলমাল চলছে।" বললাম কেন এবং কিভাবে? উনি আমাকে তেমন কিছু বলতে পারল না। আমিও মনে করলাম আরে এটা আর কি? তখন দেশের যা অবস্থা তাতে কিছু গোলমাল হতেই পারে। পরে হলে এসে শুনলাম, যে সেনাবাহিনীর লোকজন এর সাথে ছাত্রদের কি যেন খেলার মাঠে সমস্যা ...
আমার ঘরে একটা টিকটিকি আছে।এটা এমন কোন ব্যাপার না।বাংলাদেশের সব বাসায় অন্তত গোটা বিশেক থাকে।কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি আমার এই টিকটিকিটা অন্য রকম।সারাদিন সে কই থাকে জানিনা,সন্ধ্যার সময় আমি যখন পড়তে বসি( অথবা আম্মুর ভয়ে পড়ার ভাব ধরি) ঠিক তখন তার আগমন ঘটে।আমার সন্দেহ ব্যাটা দিনভর ঘুমায়।ইশ....আমি যদি পারতাম..যাই হোক,আমার দুঃখে কারো এই লেখা পড়ার আগ্রহ জাগবে না,তাই আগের বিন্...
এই পৃথিবী এক অচিনপুর । জীবন এক অপার বিস্ময়, কখন কোন বাঁকে যে কি লুকিয়ে রাখে কেউ তা জানে না । হঠাৎ কখনো সামনে এসে যখন দাঁড়ায় সেই বিস্ময়, তখন আপ্লুত না হয়ে আর উপায় কি ? সাড়ে সাত বছরের নির্ঝর নানীমনির মৃত্যুর পরে যখন মায়ের সঙ্গে দেশে গেল তখন সেও জানতো না তার জন্য কি অপেক্ষা করেছিল । ওর মা ওকে সব সময় বলে স্বপ্নের দেশ বাংলাদেশের কথা । বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা সবুজ ব-দ্বীপটি যে শুধু প্রকৃতির ...
মঙ্গলবার ২৩.০২.২০১০
[justify]আবারো জঘন্য আবহাওয়া। সেই ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে এক্কেবারে এই সপ্তাহান্তের শুরু পর্যন্ত টানা তুষারপাত আর বদখৎ শীতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম ঠিক। রবিবার নাগাদ তুষারপাত থেমেছে, তাপমাত্রা বাড়ছে, বরফ গলছে এগুলিও সব ঠিক। সমস্যা হচ্ছে বরফ গলবার সাথে সাথে গুরফগুলিও হিমবাহের আগের তাজা চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে। সাড়ে ষোলকলা হিসাবে গতরাত থেকে শুরু হয়ে...
১। সচলের সাথে ঠিক কবে পরিচয় তা আর দিনক্ষণ হিসাব করে বলতে পারবো না তবে আনুমানিক ২০০৭ এর শেষভাগ কিংবা ২০০৮ এর প্রথমদিকে । তখন 'অভ্র'র সহায্যে নতুন নতুন নেটে বাংলা লিখতে শিখেছি আর গুগুলে যেয়ে বিভিন্ন বাংলা 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে সার্চ এর ফলাফল দেখছি, কিছুটা উত্তেজনা আছে ব্যাপারটায় কারণ তখন পর্যন্ত আমার সাত বছরে নেট ব্যাবহারের অভিজ্ঞতায় এটা(নেটে বাংলা লেখা) একেবারে নতুন সংযোজন । যাইহোক বা...
খুব বেশি দিন হয় নাই আমার বিদেশ আসার।ভাগ্যের অশেষ কৃপায় হোক আর নিজ কর্মের গুনেই হোক, বাংলাদেশ থেকে বি এস সি (Engg.) শেষ করে ভর্তি হলাম বেশ নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা কিনা আবার পৃথীবির শ্রেষ্ট বসবাস যোগ্য শহর এ অবস্থিত। নুতন পরিবেশ, নুতন মানুষ, নুতন শহর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু মাস্টার'স প্রোগ্রাম এ পড়া, তাই প্রথম থেকেই একটা ধরনা ছিল যে, পড়া শেষ না করে বুঝি আর দেশে যাওয়া হব...
সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁ ...