শুভ নববর্ষ । সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। গতকালের সারাদিন ধরে ছিঁচকাদুনে বৃষ্টির পরে আজকের একেবারে ধোয়ামোছা চকচকে নীল আকাশ আর সোনালি রোদ একেবারে উপহারের নীলসোনালি মোড়কের মতন লাগছে।
সন্ধ্যা হলেই শুরু হয়ে যাবে নিউইয়ার্স ইভের বাজি পোড়ানো, গাছে গাছে টুনিবাতি তো ইতিমধ্যেই জ্বলছে। সেতো ধন্যবাদ-দিবসের থেকেই জ্বলছে, জ্বলবে কাল অবধি।
আকাশে তারাদের অনির্বাণ টুনিবাতির নিচ...
২৭-১২-০৯
অদ্ভুত এক বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে। এম্নিতেই আমার প্রতিদিনকার কাজের লিস্ট অনেক ছোট, যেচে কিছু করব সেই আগ্রহ কখনই নেই। দায়ে না পড়লে আর মাথায় সমস্যা না হলে আমি আমার হাতপা নাড়াতে নারাজ। পিসিটা নষ্ট হওয়ায় প্রতিদিনের লিস্ট থেকে তিনটি অত্যাবশ্যকীয় কাজঃ ফেসবুক, সচলায়তন আর বিডিজবস বাদ পড়ে গেছে।
অতি দরকারী কিছু কাজ যেমন খাওয়াদাওয়া, গলির দোকানটা থেকে চা-বিড়ি আর প্র...
[justify]
অনেকদিন লিখি না আমার প্রবাস জীবনের হিজিবিজি দিনলিপি। নিরর্থক মনে হয়। শেষ লিখেছিলাম অনেক আগে, এর মধ্যে অনেক কিছু টুকিটাকি আর বড়সড় ঘটনা ঘটে গেছে, সেগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণের ইচ্ছেও হয় না।
ফার্মভিল খেলতাম মাঝে খুব, বলাইনী একদিন এসে উঁকি মেরে দেখে নাক সিঁটকে "এগুলি কী খ্যালেন?" বলে চলে যাচ্ছিলেন, তাকে একটা ইনভাইটেশন পাঠালাম। কয়েকদিন পর দেখি তিনি স্নানাহার বাদ দিয়ে ফার্মভিল খেলছে...
বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল জাকার্তা শহরে। ইন্দোনেশিয়াকে একটু একটু করে ভাল লাগতে শুরু করেছে। কারণ দেশটির মূল সৌন্দর্য রাজধানীর বাইরে এবং ইতিমধ্যে জাকার্তার আশে পাশে বেশ কয়েকটি সুন্দর জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সেইসব সম্পর্কে লেখা ও ছবি পরবর্তী পর্বের জন্যে তোলা রইল। আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে লিখছি।
আগেই বলেছিলাম যে জাকার্তার সাথে বাংলাদেশের অনেক মিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বাংল...
আগে লিখার জায়গা ছিলো লিখতে আলস্য লাগতো, এখন লেখার জায়গা নেই তবে বাঘের দাত পরে গেলোও যেমন কামরানোর স্বভাব যায় না , সিগারেট ছাড়লেও যেমন মনের ভুলে সুখটান দিয়ে ফেলা হয় -- তেমনি কোন চিন্তা মাথায় আসলে লিখতে ইচ্ছে করে ।
চুলকানির মতো -- লিখছি একটু আরাম লাগছে ।
১।
গতকালকে কল্কির "অবতার" দেখলাম । রিভিউ পড়ে ভেবেছিলাম অনেক বাজে হবে -- টাইট্রনিক টাইপ কিছু একটা হবে (টাইটানিক দেখার পর থেকেই ডি ক্যা...
১।
একটু আগে এমন এক বৃষ্টি হয়ে গেল যে আমার ঘরের চালে ক'টা টুপটাপ শব্দ হল একটু খাটলে বলে দেয়া যেত। অথচ মেঘ ক'রে এসেছিল ভালোই। ভাবখানা, আবিদজান ভাসিয়ে না নিতে পারলে মেঘদল তার নাম পালটে শিরোনামহীন করে ফেলবে। অথচ কিসের কী, একটু পরই সেই চিরচেনা সূর্য একই প্রতাপে দেখা দিল। আফ্রিকার আকাশ, মেঘ আর সূর্যের সাথে বাংলা মায়ের ও তিনখানার কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি, শুধু সূর্যটা হালকা একটুখানি বেয়...
কীভাবে যে উড়ে যায় দিন,
সাথে নিয়ে কয়েকটি ভুলে থাকা ঋণ।
মুঠো মুঠো সাদা কালো জমে শুধু এলবামে,
আমাদের সব ছবি আজকে রঙীন।
আমরা হাসতে গিয়ে একসাথে
আমরা হাঁটতে গিয়ে একসাথে
আমাদের নিঃশ্বাস একসাথে গেয়ে ওঠে,
আমাদের মায়ার হরিণ।
স্বপ্নেতে ঘোরাঘুরি, প্রতি দানে হাজারটি ভুল।
তবু আমাদের সঙ্গে আকুল,
তিনটি বছর জুড়ে ফুঠে ওটা আমাদের লাল নীল ফুল।
-------------
২২/১২/০৯
মেরিল্যান্ডের রকভিল ওয়াশিংটন ডি সির কাছে, শীতকালে ঠান্ডা পড়লেও মারাত্মক কিছু হওয়ার কথা নয়। মানে স্বাভাবিক হিসেবে ধরলে। কিন্তু তা হলে কী করে হয়, আমি যখন যাচ্ছি তখন হাড় জ্বালানো ব্যাপারস্যাপার না হলে চলবে কেন? নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের কথা জানতাম, কিন্তু স্রেফ আমাকে উত্যক্ত করার জন্য এক স্নিগ্ধস্বভাবের ভদ্রমহিলা যে নিজের শহরে বরফের বান ডাকবেন তা জানা ছিলো না। যাক ...
বই পাঠক মাত্রই জানেন নতুন বই নেড়েচেড়ে দেখা, নাকে নিয়ে বুক ভরে গন্ধ নেয়া কত বড় একটা নেশা। এই নেশায় পড়ে আমি প্রায়ই নীলক্ষেত যাই, পকেটে টাকা থাকুক আর নাই থাকুক। না পড়া বই উলটেপালটে দেখি, খামাখাই দামাদামি করি আর দামে যখন বনে না তখন এমন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি, বইওয়ালাকে(বইয়ের ক্ষেত্রে দোকানদার বলতে কেমন কেমন লাগে) বুঝিয়ে দেই, কত বড় পাঠককে সে নিরাশ করেছে।
তাই পকেটে টাকা নে...
১.
রাত চারটায় ঘুমটা বেরসিকের মতো ভেঙে গেলো। অবশ্য এটা এখন আর নতুন কিছু না, প্রায়ই হচ্ছে এমন। বাকি রাত আর দু'চোখের পাতা এক হবে না, অবশ্য সমস্যাও নেই তেমন, কাল ছুটি। একটু ক্ষিদেও পেয়েছে। শেলফে দেখি, কী পাওয়া যায়। বাহ, মুড়ি দেখা যাচ্ছে। একটা চানাচুরের প্যাকেট কয়েকদিন আগে কোথায় যেন উকিঝুকি মারতে দেখেছিলাম! এইতো পাওয়া গেছে! বেশ, বেশ, একটা অ্যাডভেঞ্চার হয়ে যাক!
"মুড়ি ছিলো, চানাচুরও, ব্যাকর...