১
পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল অবশেষে। ভেবেছিলাম পরীক্ষার পরে অনেক কিছু করব, কিন্তু ঘুমের কাছে কাবু হয়ে আপাতত সবকিছুই স্থগিত। খুব অদ্ভূত লাগে, যখন কিনা আমার পড়ার কথা, সেই সময়টায় দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে আগ্রহের কমতি থাকেনা, প্রতি আধা ঘন্টায় সচলে ঢু মারা, মাঝে মাঝে আমু/সামু। অথচ পরীক্ষা শেষের পরে দুদিন হতে চলল নির্বিকার আমি। আজকে তাই শুরুই করলাম নীড়পাতার ৫ম পৃষ্ঠা থেকে, খুব ভাল লাগছিল ধারাবাহি...
ছোট শহরে থাকলে অনেক কিছুতেই সরাসরি অংশ গ্রহনের সুযোগ মিলে বা অনেক কিছুতেই জড়িয়ে পড়তে হয়। বুঝতে শেখার পর থেকে শহীদ মিনারে যাই। একটু বড়ো হয়ে রাতের প্রথম প্রহরে যেতে শুরু করেছি। তারপর কোন ফাঁকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সহায়তাকারী হয়ে গেলাম। হিসাব করলে দেখি সেও ১২ বছরের অধিক। গ্রুপের কাজ থাকে। সেসব নিয়ে বিস্তর দৌঁড়ঝাপ দিতে হয়। তাই কয়েকদিন ধরে সেভাবে নেটেই বসা হয় না। রাতে কিছু...
বুয়েটের সাথে কাগজে-কলমে সম্পর্কচ্ছেদের আয়োজন চলছে। আইনী প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। আপাতত সাময়িক তালাকনামার আশায় সকাল-সন্ধ্যা ধর্না দিতে হচ্ছে বুয়েটাদালতে। সকাল ১০ টার দিকে হয় হল, নয়তো ব্যাংক অথবা ই এম ই। সকালের অধিবেশনের পাট চুকে যায় ১১ টার মধ্যেই। বাড়ি ফেরার তাড়া থাকেনা। চাকুরিদাতারা এখনো আমাকে খুঁজে পাননি, তাই তাদের সময় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বুয়েট, টি এস সি কিংবা ডি এম সি ...
দিনগুলি মোর আজকাল মোটামুটি দৌড়ের উপর কাটে, কাজেই "দিনগুলি মোর" নামক সিরিজটা ছাড়া আর কিছু লেখার মতো চিন্তাভাবনা করার অবকাশও জোটে না। কলেজ স্ট্রীট বহু দূরের বস্তু, উপন্যাস লেখার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা করা প্রায় অসম্ভব আপাতত, কাজেই এই সব খুচরো মাল দিয়েই কাজ চালাই।
এই ঘোর শীতের মধ্যে হর হপ্তা যাই সুদূর উত্তরের মিনিয়াপোলিসে। এটি শীতকাতুরেদের জন্য নয়, যেরকম হরর ফিল্মের পোস্ট...
আজ সকালে ঠিক করেছি আমার কৈফিয়ত মার্কা একটা পোস্ট যে করেই হোক লিখবো। আসলে অনেক দিন ধরেই ভাবছি যেকোনো ভাবেই হোক আমাকে সময় করতেই হবে কিন্তু কোনো ভাবেই সময় করে উঠতে পারছিলামনা। ব্লগে আমার আনাগুনা এমনিতেই সীমিত ছিল কিন্ত বছর দুয়েক আগে থেকে মনে হচ্ছে আমার মত ব্যাস্ত আর কেউ নেই! ব্লগে আমার শুরু জুবায়ের ভাইয়ের অনুপ্রেরণায়। আমাদের যখন আড্ডা হতো, যখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার ঝর উঠতো তখন...
কিছু গীবত করার জন্য এই পোস্ট, লাইন ভালো না বলে সংক্ষেপেই লিখছি। আপ করতে পারবো কিনা অথবা আপ করলেও এক পোস্ট ৭ বার আপ হবে কিনা, এই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। মডারেটররা অনুগ্রহপূর্বক একটু সক্রিয় হবেন, বেশিবার আপ হলে বুঝবেন, তা ইচ্ছাকৃত নয়, সুতরাং দয়া করে তা যতো দ্রুত সম্ভব ডিলিট করে দিবেন।
কমরেড বরুণ রায়ের মৃত্যু বিষয়ে আজকের প্...
[justify]
মানুষ একসঙ্গে কটা দিকে মনোযোগ দিতে পারে ??
আমি বাপু এ দলে নই,যখন যেদিকে ছুটি--- পুরো দুনিয়া হাতের মুঠোয় পুরে ছুটি। একে তো বাচাল মানুষ (মুখ বন্ধ করে থাকতে পারিনা), তার ওপর একরোখা (নিজে যা বুঝি তাই করি)। ইহজীবনে যদি কোন অভাগার কপালে এই "পেইন " প্যাকেজ জোটে, বেচারার কি দশা হবে ভেবে আমি নিজেই দু-একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দি!
...
‘বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান’। সাতসকালে পত্রিকাগুলোর হেডলাইন দেখেই চমকে উঠলাম ! মেরুদণ্ড বেয়ে একটা শিনশিন ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেলো নিচের দিকে। নিজের জন্য নয়, আমাদের সন্তানদের ভবিতব্য চিন্তা করে। সেই উনিশশো একাত্তরেও নাকি এভাবে একবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন বিশ্বের কিছু মানবহিতৈষী ব্যক্তি। সেটা যে কতো...
কথা বলতে খুব ভালোবাসতেন বিপ্লবী বরুণ রায়। এমনকি ডাক্তারের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বলে গেছেন অনর্গল। বয়েস কালের অযথা আলাপ নয়, প্রতিটি কথাই ছিল সুচিন্তিত এবং প্রজ্ঞার প্রকাশ। অথচ হাজার হাজার মানুষ এখন তার চারদিকে, শত শত ফুলের ডালায় সজ্জিত তিনি। নিরব।
কাল শেষকৃত্য, এখন সুনামগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে রাখা হয়েছে মরদেহ...
[justify]
জানালাটা অনেক বড়। পর্দাটা দু’পাশে সরিয়ে রাখলে অনেকখানি প্রকৃতি ধরা দেয়। ন্যাড়ামাথার গাছপালা, পাশের রাস্তা ধরে ছুটে চলা চারচাকার হেডলাইটগুলো আর সবুজ মাঠ। কিন্তু সব কিছুই বড্ড অস্পষ্ট। আকাশটা যে কেঁদেই চলেছে অবিরাম। অনেকটা ছোট বাচ্চাদের আহলাদী কান্নার মত; কিছুতেই কান্নার শেষ নেই। বোধকরি, আকাশের সাথে আজ ঈশ্বরের অনেক রাগারাগি হয়েছে। দু’জনেই কাছাকাছি থাকেন কী না। তাইতো এই ...