আমার চার বছরের ভাগ্নী আদীবা। ও ডানো খায়, নাকি নিডো খায় সেটা আমার আপু ভালো বলতে পারবে। ডানো, নিডো কিংবা খাঁটি গরুর দুধ যেটার গুণেই হোক- তার কূটনৈতিক ক্ষমতা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। সে যদি কোন কিছু আদায় করতে চায়, হতে পারে সেটা একটা খেলনা, জামা কিংবা যে কোন কিছু; সে সেটা ছলে, বলে, কৌশলে আদায় করেই ছাড়বে। এহেন বুদ্ধিমতী ডিপ্লোম্যাট ভাগ্নীও আমার সেদিন ভেউ ভেউ করে কান্না ...
…
অর্থনীতির হিসাবে ওরা এসেছে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী রাষ্ট্রটি থেকে। জাপান। তারুণ্যে ভরপুর এদেরকে দেখলেই বুঝা যায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা সেদেশের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। উচ্ছল প্রাণ-চাঞ্চল্য সাথে নিয়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটিতে এসেছে বেড়াতে কিংবা কোন শিক্ষা সফরে, হয়তো অভিজ্ঞতা অর্জন বা কোন গবেষণা সন্দর্ভ তৈরির জন্য। এ-সবই ধারণা। কিন্তু ছবি যা বলে, তা হয়তো ধারণা নয়। স...
বিদ্যুৎহীন গাঁয়ে সন্ধ্যার পর পরই মনে হয় যেন গভীর রাত। সেই নিশুতি রাতে একটা গ্রামের শ দুয়েক লোক নিঃশব্দে এগিয়ে চলছে গহিন অরণ্যের দিকে- নিরাপত্তার খোঁজে। কিন্তু তার আগে পেরিয়ে যেতে হয় গাঁ ঘেষে চলে যাওয়া একটি পথ, যে পথই কিনা যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যেকোনো মুহূর্তে সেনাবাহিনীর লরি এসে হেডলাইটের আলোতে পুরো পথ আলোকিত করতে পারে। তাই সর্বদা আতঙ্ক থাকত, এই বুঝি সেনাসদস্যরা এসে পড়ল! ...
যাঁরা বিদেশে থাকেন কোনো দেশিঘন শহরে তাঁরা আমার আজকের আনন্দটা ঠিক বুঝবেন না হয়তো, কারণ তাঁদের কাছে এটা দুর্লভ ঘটনা নয়। কিন্তু যাঁরা ছোটো শহরটহরে থেকেছেন তাঁরা আশা করি বুঝবেন। সবার সাথে আনন্দ ভাগ করে নিলে আনন্দ বাড়ে, সেই উদ্দেশ্যেই লিখছি।
বিদেশে বসে আমি দেশকে ভয়ানক মিস করি এমনটা নয়। কলকাতাতে থাকতে খুব বেশি গ্রুপ থিয়েটার বা বাংলা গানের অনুষ্ঠান দেখতাম না, কাজেই ঐ জিনিসটা ...
অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। ঠিক কত দিন পর মনে নেই। তবে আমার ভিসতা মহাশয় তার ফ্রিকুয়েন্টলি ইউজড এপ্লিকেশন মেন্যূ থেকে ওপেন অফিস রাইটার সরিয়ে দিয়েছিল। তাতেই বুঝলাম বিরতীটা বেশ লম্বাই হয়েছে।
এমনিতেই আমার জীবন রোবটিক। সপ্তাহের পর সপ্তাহ আমি একই কাজ করে যাই। তবুও আমার কাছে এতটা রোবটিক মনে হয়নি যতটা এখন হচ্ছে। এটাকে ঠিক চাপ বলা যায় না। কেননা চাপতো চাপিয়ে দেয়া থেকে আসে। আমার চাপটা নিজে...
আগের পর্ব: রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: পূর্বাপরকথা
৫.
১৮ তারিখ রাতে রওনা দিই আমরা- আমি আর মামুন ভাই। মামুন ভাই একটি পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক, বয়সে আমার অনেক বড়, কিন্তু সম্পর্কটা অভিভাবক প্লাস বন্ধুত্বের মতো। একটা সময় ছিলো যখন প্রায় শনিবারে আমরা দলবেধে ঢাকার আশেপাশে কোথাও ঘুরতে যেতাম। কোনোদিন রাজেন্দ্রপুর, কোনোদিন ভাওয়াল গড়, কোনোদিন বা মাওয়া ঘাট। এসব ভ্রমণে মাঝেসাঝে ...
১
আমার রান্না-বান্না করতে খুব খুব ভালো লাগে। আর তারপর পরিষ্কার করতে ততোই অসহ্য লাগে। দেশে কী আরামেই থাকতাম, তাই না? এখানে ধোয়া-মোছা, কাটা-বাছা, সব কিছু নিজেকেই করতে হয়। এখন ঐসব কথা ভাবি, আর চোখের পানি ফেলি।
জীবনে প্রথম একা একা রান্না করি সোওয়াজিল্যান্ডে। ক্লাস ১১ এ পড়ি। আমাদের টিউটর এলেনের বাসায় দাওয়াত ছিল। ঐ স্কুলে সব শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো শিক্ষকের আওতায় সঁপে দেয়া হত। আবা...
১৷
এমনিতে বৃষ্টি নিয়ে আমার তেমন কোন অতিরিক্ত ভাললাগা নেই৷ রাস্তায় বেরোতে না হলে, বৃষ্টির শোভা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু বেরোতে হলে বৃষ্টি আমার দু'চক্ষের বিষ৷ এই বছর বর্ষার শুরুর দিকে তেমন বৃষ্টি টিষ্টি হল না, খরা হতে পারে এই সম্ভাবনায় সবাই যখন বেশ চিন্তিত তখনই হুড়মুড়িয়ে শুরু হল বৃষ্টি৷ জুলাই মাসটা বেশ জল চুপচুপে হয়ে কাটার পর গোটা আগস্ট মাসটা শুকনো গেল৷ এরই মধ্যে পুণেতে সো ...
দেখতে দেখতে শরতের সোনাঝরা প্রহরেরা আসে আর চলে যায় একের পর এক। মহালয়া এলো আর চলে গেল, ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেরিতে শুনলাম চন্ডীপাঠ।
পরদিন খেলার দিন ছিলো, প্রচুর তাঁবু পড়লো এদিক ওদিক। উৎসবদিনের রঙীন সাজে নাচতে নাচতে চলেছে কচি আর বড়রা। ধূসর গোধূলির কথা ভেবে যা থাকে কপালে বলে হাসিখুশী ছেলেমেয়েদের ছবি তুলে ফেলি।
এদিকে দিন গড়িয়ে যায়। মহাসপ্তমী পার হয়ে দেশে অষ্টমী পড়ে গেছে, গুজরাতিদ...
বাংলাদেশের যে কয়জন মানুষকে মাঝে মাঝে হিংসা করি বিপ্লবদা, আমাদের বিপ্লব রহমান, তাঁদের একজন। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এখন পর্যন্ত নানা ধরনের উপায় বা কৌশল বের করে, মস্তিষ্কের সকল উর্বরতা খরচ করে ক্ষুদ্রজাতিসত্ত্বা ও বাঙালিদের পরস্পরের কাছ থেকে পৃথক করা হয়েছে। শুধু পৃথকই নয়, শত্রু প...