অনেক দিন আগে বঙ্কিমচন্দ্র চটোপধ্যায় বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলেছিলেন- "আমার একটি কথা জিজ্ঞাসার আছে, কাহার এত মঙ্গল? হাসিম শেখ আর রামা কৈবর্ত্ত দুই প্রহরের রৌদ্রে, খালি মাথায়, খালি পায়ে এক হাঁটু কাদার উপর দিয়া দুইটা অস্থিচর্ম্মবিশিষ্ট বলদে, ভোঁতা হাল ধার করিয়া আনিয়া চষিতেছে, উহাদের কি মঙ্গল হইয়াছে? . . . . . . .
বাংলাদেশে প্রতিবছরই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নদের স্ট্রাইক পরিলক্ষিত হয়। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টার্নদের স্ট্রাইকের কারণ “কর্তব্যরত চিকিৎসকদের লাঞ্ছনা এবং নিরাপত্তার অভাব।” আমাদের দেশের মিডিয়া সবসময়ই অত্যন্ত একপেশেভাবে এই স্ট্রাইকের খবর দেয় এবং প্রায় সবসময়ই ডাক্তারদের খলনায়ক বানিয়ে রোগীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরার একটা জনপ্রিয় প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এটা প্রায় কখনোই লেখা হয় না য
মোটামুটি জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর ষাটের দশকের শেষাংশ থেকে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে দেখে আসছি আমাদের গ্রামটিকে। এই সময়কালে গ্রামটির প্রাকৃতিক ও ভৌত কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু আমুল পরিবর্তন এসেছে এ গ্রামের অধিবাসীদের যাপিত জীবনে। আবহমান কাল থেকে চলে আসা রীতিনীতি, নিয়মকানুন, কর্মপদ্ধতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রযুক্তি, সর্বোপরি মানুষের জীবনাচরণে এসেছে দৃশ্যমান ব্যাপক পরিবর্তন। পিছু ফিরে দেখলে ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না যে এভাবে বদলে গেছে এ গ্রামের এতকিছু। শত শত, কিংবা হাজার বছর ধরে যা ছিল প্রায় অপরিবর্তনীয়, কালের এই ক্ষুদ্র পরিসরে তার আমুল পরিবর্তন ঘটলো আমারই চোখের সামনে। এক অর্থে এ আমার পরম সৌভাগ্য যে আমি এ পরিবর্তনের সাক্ষী, তবে এতে প্রাপ্তির আনন্দ যেমন আছে, হারাবার বেদনাও আছে অপরিসীম।
লেখকরা অনেক সময়ই লেখার প্রয়োজনে একটি ঘটনা বর্ণনার সময় মূল ভাব ঠিক রেখে নিজের মত করে রং তুলির আঁচরে লেখাটাকে ফুটিয়ে তুলেন। এখানে তা করা হয়নি। একটি সত্য ঘটনা কোনরুপ পরিবর্তন না করে উপস্থাপন করা হয়েছে)
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে ব্যাহত করার যাবতীয় চেষ্টা করছে । যা জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার আশঙ্কা হয় । যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এ ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে রক্ষা করার প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে । উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে আ
আর কতো লাশ দেখবো আমরা?
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বেদনাদায়ক ইতিহাস আছে । আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । বাংলার ইতিহাস সুপ্রাচীন । বাঙালির অতীতগাথা অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আমাদের ভাষারীতি উঁচুমানের । বাঙালির আরও আছে শিল্পকলা আর সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা । তবুও আমাদের একটি বড় অপ্রাপ্তি ছিল, স্বাধীনতা নামক এক মুকুটমণির অভাব ছিল । প্রায় দু’শ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙলা তথা ভারতমাতা বৃটিশদের হাত থেকে মু
খেলোয়াড়দের জন্যঃ
১। সরকারি চাকুরীজীবিদের মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের স্থান স্থায়ী করতে হবে। কোন অবস্থায় দল থেকে বাদ দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে পেনশানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
২। সবসময় দেশের বাইরে খেলতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় দেশে খেলা হতে পারবে না।
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যারা ব্যক্তি হিসেবে বা কোন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখে তাদের পরিশ্রমের প্রথম ফলটি পেয়েছেন। এটি হল কাদের মোল্লার ফাঁসী, ১৬ কোটি মানুষের বহুআকাংখিত ন্যায়বিচার। ১৯৭১ সালে যারা এই দেশে শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যার একটি চালিয়েছিল, যারা অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছিল তাদের ভিকটিমদের যে প্রাপ্য ন্যায়বিচার এটি কিন্তু একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। সেটি
মানুষের সকল দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রন করে মূলত ২২ জোড়া জিন। যা বংশানুক্রমিক ভাবে পিতা-মাতা থেকে সন্তানের মাঝে বাহিত হয়। কিন্তু মানুষের মনোজগত, মানুষের বোধ, ভালোলাগা টুকু থাকে সতন্ত্র. এগুলো জিনগত বৈশিষ্ট্য নয়, এগুলো আনিত বৈশিষ্ট্য.