আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।
গত কয়েকবছর ধরে, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে, অনেক মানুষের জীবনের একটি বড় সময় গেছে দেশের বাকি মানুষদের কিছু সহজ সত্য জানাতে। কি সহজ সত্য?
আমার লেখক হবার শখ কোনো কালেই ছিলনা আজও নাই। আমার চারপাশে(বৈদেশিক জীবনে)বেশ কিছু শিক্ষিত/অশিক্ষিত বাংলাদেশীদের পাকিস্তান/পাকিস্তানিদের প্রতি প্রেম দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা মাত্র এটা। অনেকেই(যারা নিজেদের অতিরিক্ত উদার মনের অধিকারী মনে করে, কিন্তু নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে। কিভাবে পড়ে?
আমার লেখা এক পর্ব "মাসুদ রানা"
মন চাইলে পড়তে পারেন...
১
মনে আছে একটা সময় ছিল কম্পিউটারে বাংলা লেখাকে মনে হতো এভারেস্ট জয়ের সমান! বাসার কম্পিউটারে বিজয় ইনস্টল করা ছিল, বাংলা দুইটা কি-বোর্ডের লে-আউট প্রিন্ট করে রাখা ছিল। বাংলা অক্ষরসহ কি-বোর্ডও কিনতে পাওয়া যেতো। কখনো দরকার হলে, অনেক কষ্টে দেখে দেখে বানান করে করে বাংলায় লিখতাম। খুব জরুরি আর বড় কিছু হলে নীলক্ষেত থেকে কম্পোজ করিয়ে প্রিন্ট করিয়ে আনতে হতো!
শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারিই নয়, আমার মতে একজন প্রথম প্রজন্মের প্রবাসীর জন্য তার প্রতিটি দিনই মাতৃভাষা দিবস| ব্যাপারটি হয় দু'ভাবে| যদি মাতৃভাষা দিবসটিকে আমরা মাতৃভাষার উপর তার অধিকারকে বুঝে থাকি তাহলে অন্য ভাষার সাথে তার যে দ্বন্দ্ব হয় সে দ্বন্দ্বের স্বরূপটি দু'রকমের...প্রথমটি নিজের সাথে এবং অপরটি তার পরবর্তী প্রজন্মের অর্থাত্ তার সন্তানদের সাথে|
একটা কাটা দাগের চিহ্ন মুছে যেতে কতদিন সময় লাগে? কিংবা আদৌ কি মুছে যায়?
শেষ নির্বাচনের রিপোর্ট এখনও ওয়েবসাইটে আসেনি। কাজেই ২০০৮ সাল পর্যন্ত তথ্য নিয়েই এই লেখা। আমি হিসেব করে দেখলাম স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কমপক্ষে বাইশটি বামপন্থী দল পেয়েছি। তাদের বেশির ভাগের মধ্যে একটি মিল আছে। সেটি হল প্রতি নির্বাচনেই তাদের ভোট মোট দেয়া ভোটের যে শতাংশ হয় সেটি সাধারণত: একটি ভগ্নাংশ। খুব কমই দেখা যায় এটি এক শতাংশের বেশি। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে কয়েক দশক হয়ে গেল। দলগুলোও তো কম প
সেই ছোট্টবেলা থেকেই শুনে আসছি যে দেশে 'সাইন্সের স্টুডেন্ট' এর সংখ্যা নাকি বাড়ছেই! কারণ 'সাইন্সে' পড়লে সব সাবজেক্টেই সুইচ করা যায়, তাই অনেক চাকরিও পাওয়া যায়!! কী আনন্দ!!! কিন্তু আনন্দটা বিষাদে পরিণত হল বড় হয়ে যখন জানতে পারলাম সংখ্যায় কিছুটা বাড়লেও বিজ্ঞানপড়ুয়াদের অনুপাত দিনদিন আসলে কমে যাচ্ছে। এরকম একটা বাস্তবতাতেই দু'হাজার বারোতে কাজ শুরু করে 'শিক্ষা দেশের জন্য'।