ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে জন্ম নেয়া পাকিস্তানের মুখে ঝাঁটা মেরে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার চার দশক পরেও ধর্মীয় বিষে নীল। শুধু মুসলমান হয়ে না জন্মাবার কারণে বারবার ভিটেশূন্য হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। কখনো ভোটের দোহাই দিয়ে, কখনো বাবরি মসজিদে হামলার দায়ে, কখনো বা স্রেফ ফেসবুকে কোন ছবিতে ট্যাগ হয়ে যাবার অপরাধে বাড়ি-ঘর, উপসানালয় হারিয়ে ফেলছে তারা, কখনো বা সাধের প্রাণটাও বিদায় নিচ্ছে শরীর থেকে
গত রোজার ঈদের ছুটিতে সকল আত্মীয় স্বজনরা তখন গ্রামের বাড়িতে। আমার অনেকগুলো চাচা থাকায় চাচাত ভাইবোনের সংখ্যাও প্রায় দুই ডজনের মত। তাই ঈদের সময় আমাদের গ্রামের বাড়ি একটা বিয়ে বাড়ির মতই রূপ নেয়। মজা করার সকল আইডিয়াগুলাতেও আমরা বড় ছোট সবাইকে সাথে রাখি। সব বয়সীরাই এক হয়ে যায় আমাদের গ্রামের বাড়ি ঈদগুলোতে। গত ঈদ আগস্ট মাসে হওয়ায় চারদিকে তখন বর্ষার নতুন পানি। এখন এ পানিতে নেমে গোসল করতে ইচ্ছা না করলেও নৌকা ভ্রমন করতে নিশ্চয় কারো কোন সমস্যা নেই। প্রস্তাব করার সাথে সাথে বুড়ো থেকে বাচ্চা সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল। শুধু বাকি রইল যাত্রা করার!
(ব্রেকিং নিউজ: জামাতের রক্ষাকর্তারা এখন চাঁদা উঠাইতাসেন। দাদা-দিদিমনিদের প্রতি উনাদের অপার ভালোবাসা!)
ফকির বানামু তোরে এরপর ভিক্ষাও দিমু
তবেই আমারে লোকে ক’বে বেশ দয়ালু অপার
ভিখারী বানানো হবে ইশারায় রাতের আড়ালে
ভিক্ষা দেয়ার কালে যাবতীয় মিডিয়া সজাগ
হাতের শঙ্খ খোল, কপালের লোহিত সিঁদুর
ঘরের আগুণে পুড়ে হবে আরো টকটকা লাল
একেএকে পোড়া হবে, মালাউন, সবক’টা বাড়ি
আমাদের স্বাধীনতার কাব্যময় ইতিহাসের মহাকবির নাম শেখ মুজিব; ধ্রুপদী সেই মহাকাব্যের শিরোনাম “জয় বাংলা”।
“জয় বাংলা”— মধুরতম সেই স্লোগানের নাম। ছোট্ট এই স্লোগানের অপরিসীম শক্তিতে এক হয়েছিলো বাংলার সকল মুক্তিপ্রাণ মানুষ।
ভূমিকা: আজকের প্রথম আলো তে "কূটনীতি বনাম রাজনীতি" শিরোনামে হাসান ফেরদৌসের লেখা একটি মতামত প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটিতে হাসান ফেরদৌস পাকিস্তানের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক রাখার পেছনে
জয়-যুক্ত না হইয়া খন্দকার রাশিদ সাহেবের স্বপ্ন দুষ-যুক্ত হইলো: স্বপ্ন’র আগে এবং পরে।
কিন্তু এই স্বপ্ন তো শুধু খন্দকার রাশিদ (কেআর) সাহেবের একার হয়ে থাকে নাই। ‘স্বপ্ন’ নামক সংস্থাটি ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে কখন যে সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রের সমকক্ষ হইয়া উঠলো; তা কেআর সাহেব নিজেও টের পাননি। কিন্তু কীরূপে? তাহা জানিতে হইলে আমাদিগকে পিছনে যাইতে হইবে।
সুশীলের ত্যানাসমগ্র
আনু-আল হক
------------
১. “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই” বললেই বিষয়টা ‘রাজনৈতিক’, আর থামায়া দেয়াটা খুব অ-রাজনৈতিক!
হঠাৎ সভামাঝে হৈচৈ, মন্ত্রীর দৃষ্টি সরু, বর্শা ফেলি মেঝের প’রে পেয়াদারা তামাশা দেখিতে মগ্ন, উজির নাজির সেনাপতি সকলেই স্বপ্নাবিষ্ট যেন! সভাকবির মস্তিস্কে উদ্গিরিত হইতেছে একে একে বাক্যের ঝঙ্কার। পারিষদ মাঝে আসন আলোকিত করিয়া বসিয়াছেন স্বয়ং রাজাধিরাজ। বৃক্ষসাজে আসিয়াছে রাজসভায় একদল প্রজা, সঙ্গে ফরিয়াদ। এ জীবনে রাজা হেরিয়াছে বহু সাজ, বহু বেশ; বৃক্ষরুপী প্রজা দর্শনে আজি কৌতুকের নাহি শেষ!
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি এবং বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডার পেছনে যে অপশক্তি অনলাইনে তৎপর, বিশেষ করে ধর্মের ছদ্মাবেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যে বিশেষ গোষ্ঠী তৎপর – সেসব দাতাল শুওরদের কাজ কর্মের কিছু উদাহরণ দেখেছি আমরা এ লেখার গত পর্বে। আজ আমরা জানবো এসব শুওরছানাদের নিয়োগ, বিকাশ এবং অনলাইন প্রোপাগান্ডার কিছু নমুনা।
১।
২৩ বছরের একজন যুবক কেমন হওয়া উচিত? বুকভরা দেশপ্রেম থাকবে, মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকবে, নম্র হতে পারে কিংবা উদ্ধত। যেমনই হোক না কেন, ২৩ বছরের যুবক শুনলে আমরা কল্পনা করি দু’চোখ জোড়া বিশাল বিশাল স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণপ্রাচুযর্ময় একজন মানুষকে। আসুন আমরা দু’জন ২৩ বছরের যুবকের সাথে পরিচিত হই।