“কিন্তু” অব্যয়টা আজকাল কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর সাথে অন্বয়যুক্ত হয়ে পড়েছে, কোন বাক্যে “কিন্তু” ব্যবহার করতে গেলে এখন নিজের মধ্যে একটা জাতির বিবেক ভাব চলে আসে। “আমিও বিচার চাই, কিন্তু…..” এর কাহিনী সবার জানা। ফেসবুকচারণার অভিজ্ঞতায় দেখলাম কোন স্ট্যাটাস বা মন্তব্য “আমি রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু…” দিয়ে শুরু হলে অবধারিতভাবে কোন না কোন জামায়াতি প্রপাগান্ডায় বা সুড়সুড়িতে শেষ হবে। এখন এসেছে নতুন আরেকট
বর্তমানে বাংলাদেশের একটি মানুষও আর হরতাল চায় না। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী, নাশকতা-নেশাগ্রস্তকে এই তালিকায় রাখছি না। আমার ধারণা যারা বিএনপি কিংবা জামাত সমর্থন করে তারাও এই ‘হরতাল’ নামক বিভীষিকা হতে মুক্তি চায়। আমিও আর একটি হরতালও চাই না। যদিও হরতাল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা, তবু আধুনিক হরতাল এখন কেবল গণতন্ত্র আর স্বাধিকার আদায়ের শানিত অস্ত্র নয়, এখন হরতাল মানেই জ্বালাও-পোড়াও আর ককটেল উৎ
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?
আমরা দিন শুরু করি ফেসবুকে কয়টা নোটিফিকেশন আসলো তা দেখে - ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে খবর পড়ি - শাহবাগীদের গালি দেই - অফিসে যেতে যেতে সরকারের কাজে হতাশ হই - অফিসে বসে বিএনপির নির্বুদ্ধিতায় নির্বাক হই - তারপর আবার বাসায় এসে মশামাছি মারি - আনন্দে ফেসবুকিং করি - টকশোতে রাজা উজির মারি - বান্ধুবান্ধবীদের হাই হ্যাল্লো বলি - প্রিমিয়ার লিগ আর লা লিগা দেখে স্ট্যাটাসের বন্যায় হোমপেজ ভাসাই - মাঝে মধ্যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে ভুড়ি দুলিয়ে একটা পাওয়ার ন্যাপ নেই - উইকঅ্যান্ডে মুভি দেখি - তারপর রাতের আড্ডাতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেশটা সম্ভাব্য কত প্রকারে রসাতলে গেল তা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেই - দিতে দিতে কখন ভোর হয়ে যায় - সেই খেয়াল আর থাকে না - এরপর ঘুমের স্বল্পতার জন্য আবার শাহবাগীদের গালি দেওয়া শুরু করি।
নাই বুঝি টু করার শক্তি? হাত পা বুঝি বাঁধা?
মানব বুঝি যা বলো তাই? ভাবছ বুঝি গাধা?
মাটিতে পা পড়ছে না তো, উড়ছ আকাশটাতে?
মনে রেখ ঘুড্ডি তুমি, লাটাই আমার হাতে।
উচ্চ থেকে লাগছে আমায় পিপীলিকার মতো?
জান না কি সদলবলে শক্তি তাদের কতো?
ঘোলটা দেবে আমায় খেতে সরটা তুমি খেয়ে!
ভাবছ বুঝি দেখব কেবল এসব চেয়ে চেয়ে?
কেউ আমাকে মারবে ছুরি মাঝ বরাবর বুকে
আমি কেবল পড়ে পড়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে?
এমন উত্তাল মহালগ্নে দেশে ১৮ দিনের সফরে কি দেখলাম, তা নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম; তার চেয়ে দেশ থেকে ফিরে এখানে যা দেখলাম সে প্রসঙ্গটিই আগে টানি। ফিনল্যান্ডে বসবাসরত বাঙ্গালীর সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। বড়জোর ৪ হাজার হবে। তার মাঝে অনেকেই রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে অনেক দূর দুরান্তে অধ্যয়ন কিংবা চাকুরীর নিমিত্তে বসবাস করে। রাজধানীতে প্রবাসী বাংলাদেশের বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব সম্ভবত হাজার দুয়েক। তাতে কি! এই হাতে গোনা দু’হাজারই বহু ভাগে বিভক্ত- আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন সমিতি, কয়েকটি ছাত্র সংগঠন; আর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন জামাত ইসলাম। অতি দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক হলেও সত্য যে অন্যান্য ফোঁড়ার মাঝে এই বিষফোঁড়ার স্থুলতাই সর্ববৃহৎ; তার কারণ বহু অনুসন্ধানে যা পেয়েছি তা পরে কখনও ব্যাক্ত করবো। আজকের এই লেখাটির উদ্দেশ্য ভিন্ন। যখন দেশ জুড়ে জামাত-শিবিরের তাণ্ডব চলছে, যখন ধর্মকে ঢাল বানিয়ে খুনি-ধর্ষকদের বাঁচাতে তারা এবং তাদের দোসর বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে; তখন এখানকার জামাত সমর্থকেরা ঘরে বসে চুপচাপ লাঠি লজেন্স চুষবে তেমনটা ভাবা অন্যায্য।
১।
আমার পরিচ্ছনতার ব্যারাম আছে বলে মনে হয়। তবে সেটা শুচিবায়ুগ্রস্থতার পর্যায়ে পৌছেছে বলে মনে হয় না। কারণ ..... লিমিট টানতে পারি, ধূলাবালি ভরা কীবোর্ডেও টাইপ করে যাচ্ছি, কিন্তু সচেতনতায় ধূলাবালির কথাটা বিস্মৃত হচ্ছে না। বাসে, সিএনজিতে ময়লা সিটে ভ্রমন করতে পারি, ড্রেনের উপরের সালাদিয়া হোটেলের পাশে দাঁড়িয়ে চা খেতে পারি।
পড়াশুনার জন্য উত্তর আমেরিকার একটি শহরে বসবাস করছি প্রায় তিন বছর। এই কয়দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের জনগনের জ্ঞান এবং আগ্রহ উভয়ই কম। যারা জানে তারা কেবল দক্ষিন এশিয়ার দরিদ্র দেশ যা ইদানিংকালে তৈরি পোশাক রপ্তানী করছে সেই টুকুই জানে। যারা আরও বেশি জানে তারা জানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। মুসলিম শব্দটির সাথে তাদের চোখে আমি একধরনের চিত্র দেখতে পাই, যা তৈরি হয়েছে আর