গতকাল শাহবাগ থেকে আসার পর সবগুলো পেপার পড়লাম। আর সাথে মিডিয়াতে খবরগুলো দেখলাম। শাহবাগের গণজাগরন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর টানা হেচরা ছিল চোখে পড়ার মতন।
মির্জা ফখরুল সাহেব জেল থেকে বের হয়ে বললেন এটা নাকি "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন", বিএনপি পন্থি কিছু ব্যারিস্টার বললেন ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দিতে আর খালেদা জিয়া ম্যাডাম তো পুরাই চুপ।
ইউনিভার্সিটি অভ ইলিনয় এট শিকাগোর (UIC) পক্ষ থেকে আমরা শিকাগো বাসীরা গতকাল এক হয়েছিলাম শাহবাগের সাথে কণ্ঠ মেলাতে। আমাদের সাথে যোগ দিতে, সচল জি এম তানিম, রানিয়া আর আসিফ এসেছিল ১৫০ মাইল দূরের শহর মিলওয়াউকি, উইসকনসিন থেকে। বাবার কোলে করে এসেছিলো এক বছর বয়সী নিভৃতিও।
"খুলনার মানুষ পৃথিবীর সবচাইতে শান্তিপ্রিয় আলসে জাতি।এরা বিক্ষোভ,আন্দোলন,মারামারি কিছুর ভিতরেই নাই"
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে মানুষ যেদিন শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে,এইটা সেদিন রাত বারোটায় দেয়া আমার একটা স্ট্যাটাস আপডেট।
কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধী সকল রাজাকারের ফাঁসির একদফা এক দাবিতে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে কয়েক শ’ সংস্কৃতিকর্মীসহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছে ছাত্র জনতা। রাত সাড়ে ৭ টায় বক্তব্যে জনপ্রিয় লেখক ও আমাদের প্রিয় শিক্ষক ড.
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে অগণিত মানুষ দিন-রাত সময় কাটাচ্ছেন শাহবাগের মোড়ে। তাঁরা পথে থাকবেন, সত্যিকার রায় নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। জীবনের তাগিদে দূরে বসবাস করলেও আমরা আত্মিক ভাবে তাঁদের পাশে আছি।
প্রশ্ন হলো, আমরা কি কিছুই করতে পারি না? পারি। খুবই জরুরী একটি কাজ করতে পারি। এই কাজটি দেশের মানুষগুলোর পক্ষে করা দুষ্কর, কিন্তু আমাদের জন্য সহজ।
জামায়াত-শিবির ও মুসলিম বিশ্বের নিরলস প্রচারণার ফলাফল হিসাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যাচ্ছেতাই সংবাদ প্রচার করছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আপনারা যাঁরা সশরীরে শাহবাগে যেতে পারছেন না, তাঁরা অনুগ্রহ করে নিচের তালিকা দেখুন, চেষ্টা করুন কিছুটা সময় খরচ করতে।
অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ঘৃণ্য ব্যক্তি কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে তার বিপরীতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়াই ছিলো একমাত্র এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত। সেই শাস্তি কেন দেয়া হলো না, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি সচেতন এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বহুবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা ক
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।
জে আলফেলডারের হিসাবমতে ২০১৩ তে সেনা অভ্যূত্থানের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। জে আলফেলডার আমাদের অনেকের কাছে অচেনা নাম হলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। ২০১২ সালে বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষককে অবাক করে দিয়ে মালি এবং গিনি বিসাউ এ সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপারে তার ভবিষ্যতবানী বাস্তবে রূপ নেয়।সেবার বাংলাদেশও তার তালিকায় ছিল। এবং ২০১২ সালেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ক্যু এর প্রচেষ্টা নস্যাৎ ক