বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে যেই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে রামু,পটিয়া,উখিয়া এই অঞ্চলগুলোতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, এটি নির্দ্বিধায় বলা যায়। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন সোচ্চার হয়েছে, তখন অন্য সকল ঘটনার মতো এই ঘটনাতেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুযোগসন্ধানী একটি গোষ্ঠী। যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভশক্তি ও মানবিকতার উত্থানের প্রশ্নে আ
অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।
নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।
ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।
মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-
ড.ইউনূস অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন মানুষ হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার পর শান্তির একজন দূত হিসেবেই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত পান। কিন্তু নিজের গ্রামীন ব্যাংক এবং হালের সামাজিক ব্যবসা ছাড়া তাকে বিশ্ব শান্তির কোন বিষয় নিয়েই সরব দেখা যায় না। বিশ্ব শান্তির কথা না হয় বাদই দিলাম দেশের শান্তি যখন বিনষ্ট তখন কেন তাকে সক্রিয় দেখা যায় না - বর্তমানে এ প্রশ্ন সবার।
বাংলাদেশে একে একে নানা জায়গায়-অনেক জায়গায় হিন্দু মন্দির-বৌদ্ধ বিহার এবং হিন্দু-বৌদ্ধ্ব-আদিবাসী নামক সকল কাফেরদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে- তাদের প্রার্থনার স্থান ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে- বিতাড়িত করা হচ্ছে এদেশের মাটি থেকে। অনেকে মায়াকান্না কাঁদছেন, অনেকে বলছেন ওরাও(!) মানুষ, অনেকে বলছেন তাদেরও(!) অধিকার আছে, অনেকে বলছেন এগুলা হিজবুতিদের কাজ-জামাতিদের কাজ!
বাংলাদেশে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে জঙ্গি তৎপরতা। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন অংশকে আশ্রয়স্থল হিসেবে বানিয়ে দুর্ধর্ষ জঙ্গিরা নিজেদের প্রশিক্ষণ ও সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ জোরেসোরে। কিছুদিন আগে গোপন বৈঠকের সময় একইসাথে ১৬ জন জঙ্গি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় গুরুত্বপূর্ণ এবং আঁতকে উঠার মতো কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে, আর তার ফলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মায়ানমারের অস্থিতিশীলতার সু
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফেরত এসেছে বিশ্বব্যাংক। গত এক বছর ধরে এই ইস্যু নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, অনেক জল ঘোলা হয়েছে, অনেক রকম গুজব ডালপালা মেলেছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় সব পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক সব পক্ষই খুশি। বিশেষ করে বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটি হাফ ছেড়ে বাঁচার মত খবর।
এয়োদশ সংশোধনী আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে উচ্চ আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশিত হল। এর অর্থ হল বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর থাকছে না। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে হতে বাধা নেই। তবে কেবল নির্বাচিত সংসদ সদস্যেরাই সেই সরকারে থাকতে পারেন।
জলপাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সহজ হয়ে উঠবে বলে আমরা চিরকাল আশা করে থাকি। আমরা খুব আশা করে থাকি রঙ বদলানো গিরগিটির নোংরামি দেখতে হবে না বাংলাদেশ জুড়ে।
আমাদের আশা পূরণ হয়না। একটি পরাজিত জাতি হয়ে ওঠার জন্য যতোরকমের গণিত মেলানো প্রয়োজন, সব মেলাতে থাকে বিক্রী হয়ে যাওয়ার পোকার দল।
সরকারের শেষ সময়ে এসে মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়ান হল। মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসও করা হল। সরকার বলছে এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক। অন্যদিকে বিরোধী দল বলছে এটি ডুবন্ত নৌকা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
-বাবা, পার্কের বই আছে?
-জ্বী স্যার।
-মেডিকেল সায়েন্স- সায়েন্স না আর্টস?
-স্যার, সায়েন্স।
-সায়েন্স তো বাবা নিজের ভাষায় বানিয়ে বললে হবে না, আর্টস বানিয়ে বলার বিষয়; আর সায়েন্স কীসের বিষয়?
-জ্বি স্যার, মুখস্থের।
-হ্যাঁ, এইবার ঠিক আছে, যাও।