মার্কিন মুলুকে যারা গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট (graduate student) তাদের জন্য শুক্রবারটা সপ্তাহের আর ছয়টা দিনের চাইতে আলাদা। পাঁচ দিনের খাটুনির পরে দুদিনের বন্ধের শুরু হিসেবে শুক্রবার রাতটা একটা অন্যরকম আবহাওয়া নিয়ে হাজির হয়। বেশিরভাগ জায়গাতেই যেখানে জনাকয়েক বাংলাদেশী ছাত্র আছে সেখানে শুক্রবার রাতটা একটা উৎসবের মত। রাতে পছন্দের কোন খাবারের দোকানে ভরপেট খেয়ে বসা হয় কারো বাসার ছোট্ট বৈঠকখানায়। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসে সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ। এসবের মাঝে যেটা ইদানিং যেটি বেশ গুরুত্ব পায় সেটি হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা। অভিবাসীদের নিয়ে নানা ট্রাম্পের নানা মন্তব্যে আপনারা যারপরনাই চিন্তিত। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলে H1B, গ্রীন কার্ডের স্বপ্নটাকে বিসর্জন দিয়ে ক'দিনের মাঝেই পাততাড়ি গুছিয়ে দেশে ফেরত যেতে হবে ভেবে চিন্তিত আপনারা সবাই। ট্রাম্প সত্যিই রাষ্ট্রপতি হতে পারবে কি না অথবা ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলেও এসব ভয়ের কোনটা সত্যি হবে কি না তা এখনই নিশ্চিৎ করে বলা মুশকিল। তবে এ কথা সত্যি যে আপনারা সবাই চিন্তিত।
(এই পোস্টে উদ্ধৃত সকল তথ্য, উপাত্ত ও বিশ্লেষণ 'Institute for Energy Economics and Financial Analysis' থেকে প্রকাশিত 'Risky and Over-Subsidised: A Financial Analysis of the Rampal Power Plant' নিবন্ধটি থেকে নেওয়া। এই লেখাটি মূলত ঐ নিবন্ধটির কিছু উল্লেখযোগ্য অংশের অনুবাদ। আগ্রহী পাঠক যারা আরও বিস্তারিত জানতে এবং মূল নিবন্ধটি পেতে আগ্রহী তারা এই লিঙ্ক থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারেনঃ
[ জঙ্গীবাদের মতো এত অচেনা এবং ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। একের পর জঙ্গী আক্রমণের পর সেই উপলব্ধি থেকেই এই সিরিজের অবতারণা। নিজের মতামত দিয়েই শুরু হোক, পাঠক মন্তব্যে আলোচনা চালানো যাবে। ]
১
একটি গল্প বলি। উনিশ বছরের তৌহিদের গল্প। পড়াশোনায় খারাপ ছিলো না কোনো কালেই তবে মাধ্যমিকের পরে তার বাবার কাজের বদলিতে অন্য শহরে পাড়ি জমালে তাদের পরিবার সে একা হয়ে পড়ে, আগের বন্ধুবান্ধবদের হারায়, খানিকটা বিষণ্নতায় ভুগে, পড়াশোনায় তেমন মন বসে না। অথচ ছোটবেলা থেকে সে স্বপ্ন দেখতো সে “সুপারহিরোদের” মতো কিছুটা করে একদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
১.
গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলো, যাতে প্রাণ হারালো আইনপ্রয়োগকারী বাহিনির দুইজন সদস্যসহ ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক, আহত হলেন ১৩ জন, সেই ঘটনাটি বিস্ময়কর কিন্তু মূলত অকল্পনীয় কিছু নয়! তেমনি অবাক হওয়ার কিছু নেই ঈদের দিনে শোলাকিয়ায় পুলিশসহ চারজনের মৃত্যুতে।
গত ১ জুলাই ২০১৬ ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দেশি বিদেশি নাগরিকসহ আনুমানিক ৩৩ জনকে জিম্মি করে। জিম্মি ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম জঙ্গি হামলা যেখানে জিম্মিদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পাঁচ জঙ্গির পর
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেদিকেই তাকাই বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবাই নাকি হতভম্ব, শেল শকড, বিস্মিত । এ ঘটনা কল্পনাতীত ।
আমার মৌলিক প্রশ্ন ঃ আপনারা কি এতটাই নির্বোধ নাকি এটা আপনাদের ভন্ডামি ?
গত ২/৩ বছর ধরে দেশের ছেলেমেয়েদের কখনো নাস্তিক, কখনো ব্লগার, কখনো হিন্দু, কখনো খ্রিস্টান হবার অপরাধে দিনে দুপুরে রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয়েছে । তখন আপনি নিশ্চুপ ছিলেন । তাদের রক্তমাখা নিথর দেহ, সহধর্মিনীর সাহায্যের আকুতি কিছুই আপনাদের নীরবতার দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি । অনলাইনে মৃত ব্যক্তির চরিত্র সনদ খুজেছেন । বিভিন্ন নোংরা আস্তাকুড় ঘেটে বের করেছিলেন একেকবার একেক রকম অজুহাত । সেই সস্তা অজুহাতের কাছে নিজের বিবেক বিক্রী করে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল যখন পরিনতির দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই খবর পাওয়া যাচ্ছিল ইউরোপের জামার্নি অধিকৃত এলাকা গুলোয় অসংখ্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বহু ক্ষুধার্ত, বুভুক্ষু মানুষ বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর দিন গুনছে, অনাহারে তখনই মৃত্যুর কোলে যারা ঢলে পড়েছে সেই সংখ্যাটিও কম নয়। নেদারল্যাণ্ডস, গ্রিস, পূর্ব ইউরোপ, সোভিয়েত রাশিয়ায় অসংখ্য মানুষ অনহারে মৃত্যু বরন করছিল। ড.
হালের গরু বিকিয়ে গেছে, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে ধান ফলাবার এক টুকরো জমিটাও। শত্রুসৈন্যের হাতে পড়বে এই ভয়ে জেলেদের নৌকা গুলো পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে কাজ নেই, ভাতও নেই। ভিটে মাটিটা পর্যন্ত বিক্রি করেও চাল জোটানো দুস্কর। গেরস্থালীর বিগ্রহ গুলো পর্যন্ত অভুক্ত, দেবতার ভোগে দেবার মতও কিছু নেই। বাজারে চালের দাম চড়ে যাচ্ছে। উধাও হয়ে যাচ্ছে ধানের সঞ্চয়। কেউ বলছে সরকার সরিয়ে নিয়েছে জাপানীদের হাতে পড়বে
[justify]মেলাটার নাম রাঙতা। আয়োজনে এক ঝাঁক বোকাটে ক্ষ্যাপাটে পাগলাটে মেয়ে। এরা সবকিছুর সাথে রাজনীতি মিশায়। সুশীলতার খাতিরে এরা 'অতীত ভুলে মিলেমিশে' থাকে না, পাকিপ্রেমীদের সাথে 'সুইট করে কথা' বলে না। 'ম্যারি মি আফ্রিদি' আর 'পাকি লন' ঘরানার 'আপ্পি'দের দাবড়ানি দিয়ে এরা কীবোর্ড ক্ষয় করে