সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ১ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে আমরা প্রথম বারের মতো ভারত বনধ কর্মসূচি পালন করি। তারই ধারাবাহিকতায় এই ১৫ই মার্চের কর্মসূচি।
কোন বড় অর্জনই একদিনে আসেনা। তার জন্য প্রয়োজন, বিশ্বস্থ অঙ্গিকার, ত্যাগের মানসিকতা, দৃঢ় সংকল্প আর লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত্য কার্যকরভাবে লেগে থাকার ধৈর্য্য।
(এক)
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে বাংলাদেশি মানুষ নিগৃহিত হবার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশীদের ভেতর এখন ভারত বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ পালিত হলো ভারত বনধ্। আসছে ১৫ মার্চ আবারও ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে।
আমাদের দেশে চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি শঙ্কিত। সাধারণ মানুষের চেয়েও নব্য ডাক্তারদের এ ব্যপারে শঙ্কা বেশি, নব্য ডাক্তার বললাম এই কারণে যে যারা পুরানো হয়ে যান তারা প্রকৃতির নিয়মেই আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যান। যে কোন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ইন্টার্ন ডাক্তারের চেয়ে জনস্বার্থে নিবেদিত প্রাণ মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এ সমস্ত ডাক্তারদের একটা বড় অংশ আসে মধ্যবিত্ত , উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণী থ
টিউবওয়েল এর ব্যবহার নিয়ে প্রচার প্রচারণা হয়েছে, কারণ কেউ না কেউ এ থেকে টাকা বানাতে পেরেছে। সেখানে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট রাখলেই পানি ডাইরিয়াটাইপ জীবানু মুক্ত হয়ে যায়, এই কথাটি প্রচারিত হচ্ছে না। কারণ, এ থেকে টাকা বানানোর উপায় নেই[১]। ওদিকে টিউওয়েলের পানি ব্যবহার করতে গিয়ে আর্সেনিক সমস্যায় ভুগছে বিশাল জনপদ। একটা প্রযুক্তি আবিষ্কারের সাথে সাথে 'বাজারজাত' করাও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা
দু’দিন আগে আমার ঘুম আসছিলনা রাত চারটা পর্যন্ত, সময় কাটছিল একটা চিন্তায় মগ্ন হয়ে, যা আমাকে ঘুমের বদলে আরো সজাগ করে রাখছিল. উত্তেজনা কাজ করছিল আমার মধ্যে. আমি মনে মনে এরকম একটা বাংলা লেখা লিখে যাচ্ছিলাম, ফেসবুক কিম্বা ছদ্ননামি ব্লগের জন্য. আমি স্বপ্ন দেখছিলাম একটি মৌন আন্দোলন এর. একদমই অহিংস একটি আন্দোলন, একটি গণ জাগরণ.
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মানুষ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছুকাল আগে থেকেই দেশোদ্ধারের যে নেশায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম তা অনেক কিছু দেখেশুনে এত দিনের ব্যবধানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছিলো।
এই সুন্দর পৃথিবীতে অনেককাল কাটিয়ে আমি এখন প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে পৌঁছেছি। বৈষয়িক কর্মকান্ডে তেমন আর একটা জড়িত নই তাই আছে অখন্ড অবসর।
আমরা জাতি হিসেবে অনেক কৃতিত্ব এর দাবীদার, আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি, স্বাধীনতা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি, স্বৈরশাসক এর পতন ঘটিয়েছি তরুণ রক্ত দিয়ে, জাতি হিসেবে আমরা বীরের জাতি, এই দাবি করতেই পারি। কিন্তু একটা দাবি আমরা করিনা, সেটা কি?
তানভীর আহমেদ
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সরকারের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে মালয়শিয়া , চীন , কোরিয়া কিংবা ইংল্যান্ড পেয়ে বসেছে। বিশ্ব ব্যাংকের দাদাগিরি, শর্ত আরোপ, তথাকথিত প্রমাণহীন দূর্নীতির অভিযোগ ও সেতুর অর্থায়ন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়শিয়ার প্রস্তাব মেনে নিলে মোটা দাগে আসলে ক্ষতিটা হচ্ছে বাংলাদেশের।
দেশ, খুঁটি, মাটি। খুব অদ্ভুত রকম শক্তিশালী এক ধারনা। দেশ ছেড়ে দূরে সরে যাওয়া যায়, দেশের সাথে সকল সংস্রব ত্যাগ করা যায়, শুধু যায় না দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা অস্তিত্বটুকু অস্বীকার করা। যত দূর পথ হাঁটি না কেন, যত উচ্চতায় আরোহণ করি না কেন, শিকড় তো আমাদের ছোট্ট দেশেই পড়ে আছে। বিদেশে এসে এই বোধটুকু প্রায় সবার মাঝেই অনেক গভীর হয়। বিশেষ করে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়গুলো এলে।