ছোটবেলা থেকেই একটা কথা শুনি,‘দেশের বাড়ি’ ।
ব্রেকিং নিউজ, সাতসকালে দেশশুদ্ধ রটে যে
খালেদা আর শেখ হাসিনা একসঙ্গে কটেজে,
গলায় গলায় হেঁটে বেড়ান কক্সবাজারের তটে যে।
এক বিষয়ে মিল হয়েছে দুই নেত্রীর মতে যে,
সবার সাথে বয়স তাঁদের বাড়ছে যেমন সতেজে,
এই পৃথিবী আর কতদিন, ফিরতে হবে খ’তে যে।
আমরা বাংলাদেশিরা ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ বিপ্লবীঃ ব্যক্তিগত জীবনে সেই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ বাথরুম ইচ্ছামত নোংরা করে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে উড়োজাহাজের চাকায় চড়ে সাতসমুদ্র পাড়ি দেয়া সবকিছুতেই বিস্তৃত। আগে এই ধরনের বিপ্লবীদেরকে তাদের কাছের লোকগুলো ছাড়া তেমন কেউ চিনতো না- কারণ সত্যিকারের বীর সবার চোখের আড়ালে রয়ে যায়; ইনারা সত্যিকারের স্বদেশপ্রেমী- একদম নন্দলালের মতোই ইস্পাত-কঠিন এদের প্রত
১. গোলামের রাজত্বঃ
আমি হতভাগা প্রজন্মের প্রতিনিধি। আমার জন্ম ১৯৮০-র দশকের শুরুতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে আমার জন্মের ১১ বছর আগেই। এমন তাৎপর্যবহ যুদ্ধ শত বছরেও একবার আসে না। সেই যুদ্ধ দেখতে না পাওয়ার চেয়েও দুর্ভাগ্য আমাদের প্রজন্মের। আমি ও আমার প্রজন্ম হতভাগা, কারণ আমাদের যুগে এসে যুদ্ধের শিক্ষা হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে।
বছরের শুরুতেই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে কোঁকাচ্ছিলাম, আমার ফ্লোরমেট খোঁজ-খবর নিয়ে যাচ্ছিলো হরদম। তো একবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম তার এই খোঁজ-খবর করার মাহাত্য কী! উত্তরে সে জানালো, আমি এর মধ্যে মরলাম কীনা, এটা নিশ্চিত হতেই সে বারবার এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে!
মিনমিনে ম্যাৎকারধ্বনি শুনতে পাই, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর হাতেই লিখিত হয়। ইতিহাসের এ মহাপন্ডিতরা কি ভুলে গিয়েছে বিজয়ীর হাতে লিখিত এ ইতিহাসের খলনায়কদের কি পরিণতি হয়? দু:খ আমাদের এটাই- পলিমাটির দেশে জন্মানো নরম বাঙ্গালী ইতিহাসের সে দ্বিতীয় অধ্যায়টিই লিখতে পারলনা চল্লিশ বছরে। আজ এই বরাহছানারা চার্চিলের বরাত দেয়, ‘History is written by the victors’.
এই স্বল্প জানার পরিধি নিয়েও এমন একটা লেখা ফেঁদে বসার কথা আমার নয়। কিন্তু গত কালকের একটা ঘটনা মনে হলো একটু আলোচনায় আনতে পারলে অন্তত কে কি ভাবছে সেটা জেনেও নিজের দুর্বলতা কিছুটা দূর হবে। লেখাটিকে কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করবেন না আশা করি।
[justify]
মহিউদ্দিন আহমদ ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে “টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি” শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বলতে দ্বিধা নেই তথ্যগত ও ভাষাগত বিচারে নিবন্ধটিকে আমার অত্যন্ত একপেশে মনে হয়েছে। আমি এই নিবন্ধে তার বক্তব্যের অযৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।