এই বিশাল জীব-বৈচিত্র্য দেখে যখন আমরা খোদার কেরামতির উপর ভক্তিতে গদগদ হয়ে যাই, তখন আজাইরা জীববিজ্ঞানীরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, বাছা! কুয়ার ব্যাঙের মতো ফাল পাইরো না। একটু শোনো। তারা শোনাতে চান, সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগে প্রাণের উৎপত্তির সূচনা থেকে আজ অবধি প্রকৃতিতে উদ্ভব হওয়া ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিকাশের সাথে সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে আছে দশভাগেরও কম। ভিন্ন প্রজাতির কথা বাদ দেই। নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির দিকে তাকালেও ঠিক একই ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে। আপনার নিকটবর্তী আম গাছে লক্ষাধিক মুকুল থেকে কয়টি আম ধরে? দশভাগ বললে তো বোধ হয় বেশি হয়ে যাবে। খোদা সবকিছুতে সর্বশক্তিমান হলেও সৃষ্টিতে তাঁর হাত কাঁপে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর' এর মাধ্যমে একটি ভালো প্রজাতির উদ্ভব ঘটানোর জন্য তিনি বিনা গ্লানিতে হত্যা করেন অসংখ্য।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রগতির কারণে গত কয়েক দশকে সভ্যতা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে তথ্য সংগ্রহ, এবং যে কোনো হাইপোথিসিস পরীক্ষা করে দেখার মতো একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যেকোনো অনুসিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আরও বেশি কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মুসলমানের অধিকার আছে তার ধর্মকর্ম পালনের। তেমন হিন্দুর আছে অধিকার তার নিজের ধর্ম পালনের। আহমদিয়াদেরও সে অধিকার সমানই আছে। হিন্দু বা মুসলমানের চাইতে কম নাই। কিন্তু বাউলের কি হবে? তার কি এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অধিকার নাই? নামাজ পড়ার অধিকার মুসলমানের আছে মানে কি নামাজ পড়ার অধিকার খালি মুসলমানেরই আছে?
স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে
হাতে কলম নিয়ে কতদিন ভেবেছি তোমায় নিয়ে কিছু লিখব । কিন্তু লেখা হয়নি । না গল্প, না কবিতা, না একটি ছোট্ট অনুকাব্য । তুমি রয়ে গেছো হৃদয়েই, কখনো ভাষায় প্রকাশ করা হয়নি । কখনো বলতে পারি নি, কতটা ভালোবাসি তোমাকে । তবুও কেন যেন বড্ডো বেশি ইচ্ছে করে বিশ্বাস করতে যে, তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি । তুমি জানো তোমার ছোঁয়ায়, তোমার স্বপনে, তোমার ভাবনায় আমি কতটা আলোড়িত হই । কতটা অনুপ্রাণিত হই যখন তোমায় স্বপ্ন দেখি । আর তাই হৃদয়ের বদ্ধশিকল ভেঙ্গে ঠিক করেছি তোমায় নিয়ে লিখবই আর চিৎকার করে বলবই, “হে বঙ্গজননী, আমি তোমাকে ভালোবাসি, অনেক অনেক ভালোবাসি ।”
গণহত্যা সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না, বিচার হয় হত্যার প্রকৃতি দিয়ে। বাংলাদেশের গণহত্যা, সেই ২৬ মার্চেই ইয়াহিয়াও অস্বীকার করে বলেছিলেন, জনা পঞ্চাশেক মানুষ মারা পড়তে পারে; তার উত্তরসুরী শর্মিলা বসু তো এভাবেই ভাববেন। কিংবা রুবাইয়াতের মাথায় তো পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের চেয়ে ভালবাসাবাসিটাই মুখ্য হয়ে যাবে।অনেকদিন ধরেই দেখছি ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা কিছু সংখ্যক ল
কী যেন বলে অনুভূতিটাকে? নস্টালজিয়া। যতবারই বাঁশির সুরে শুনি ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে...’ ততবারই অব্যর্থ ভাবে আক্রান্ত হই নস্টালজিয়ায়। এইতো গতকালই চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে হঠাৎ চলে গেলাম বিটিভি তে। সেখানে হচ্ছে ‘মাটি ও মানুষ’। আমার ছোটো বোন, এই সেইদিন যার জন্ম হলো, সেও নাকি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত, এর সূচনা সংগীত শুনে! বিটিভিতেই থিতু হলাম তাই। এবারের পর্ব মধু চাষীদের নিয়ে।
[justify]
১.
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরের একটি লেখা ছাপা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রস্তাব নেওয়া উচিত’ শিরোনামে।
পঁচিশে মার্চ রাত ১১.৪৫ মিনিটে শুরু হল আমাদের অপারেশন। মুখর প্রত্যয়ে সারারাত জেগে থাকার প্রাণবন্ত আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ-স্মৃতি বেদিতে সেই কালরাত স্মরণে আমরা শ’দুয়েক তরুণ-যুবা-প্রৌঢ় জড়ো হয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যয় ও উদ্যমের সাথে একাত্ম হতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক প্রফেসর রফিকউল্লাহ খান, প্রফ
…
সালেক খোকন
দিনাজপুরের একপ্রান্তে এক চৌরাস্তার মোড়। সবার কাছে এটি চিরিরবন্দর মোড়। মোড় থেকে সোজা পূর্বদিকে চলে গেছে পিচঢালা একটি রাস্তা। দুপাশে প্রহরী বেশে দাড়িয়ে বড় বড় সব গাছ। গাছগুলোর অবয়বই বলে দেয় এরা শতবর্ষি।