প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষের জন্য সহজলভ্য ও মৌলিক চিকিৎসাসেবাই সাধারণভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলে পরিচিত। সহজ কথায়, মানুষ যেসকল উপকরণ ও কৌশল অবলম্বন করে দৈনিন্দন স্বাস্থ্যরক্ষার ব্যবস্থা করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলা যায়।
হ্যারি হুডিনি! পৃথিবী বিখ্যাত জাদুকর। একবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়ে পুরু ইটের দেওয়ালের এপাশ ভেদ করে ওপাশে গিয়ে শার্লক হোমসের জনক স্যার আর্থার কোনান ডোয়েলকে নির্বাক করে দেন। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে অসাধারণ এক বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিলো, যদিও এই বন্ধুত্বের শেষটা খুব হৃদয় বিদারক ছিলো। হুডিনি নিয়ে এই লেখার ভূমিকার কারণ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিমানে হুডিনিকে নিয়ে দেখা দুই পর্বের এক মিনি টিভি সিরিজ। তন্ময় হয়ে যাত্রার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখছিলাম!
সবাই বলে চোর, চোর। কিন্তু চুরিটা করে কে? ওই পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করে যে বলে বেড়াচ্ছে দুর্নীতি ধরতে হবে, বাসায় এসে সে বলে, তাজউদ্দীন ভাই, আমার খালু ধরা পড়েছে, ওরে ছেড়ে দেন। যদি বলি, তুমি না বক্তৃতা করে এলে? তখন উত্তর দেয়, বক্তৃতা করেছি তো পার্টির জন্যে, এখন আমার খালুকে বাঁচান। --সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রান--সুহান রিজওয়ান।
এই লেখাটি উদ্দেশ্য চিকিৎসকদের উপর একটি সীমাবদ্ধতার দায় চাপিয়ে দেয়া নয়।
এই লেখাটির উদ্দশ্য একটি সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনা করা এবং সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পথ খোঁজা।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাম আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু মেডিকেল কলেজ ক্লিনিক কথাটা কি কেউ শুনেছেন?
এই লেখাটা যখন লিখেছি তখন ইবোলা ভাইরাস এবং ইভিডি'র অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লেখাটিতে সেই সময়ের সব থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেয়ার। ইবোলা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ইবোলা সম্পর্কে আমরা অনেক 'নিশ্চিত' তথ্য পেয়েছি। সেই সকল তথ্য দিয়ে এই লেখাটিকে "আপডেট" করা হচ্ছে না। সেইজন্য সকল পাঠককে জানিয়ে রাখছি, এই লেখাটিতে দেয়া ইবোলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সাম্প্রতিক (এবং সেই হিসেবে সঠিক) নয়।
অনেকে প্রশ্ন করেন, জানতে চান ইবোলা ভাইরাস বিষয়ে। একটা ব্লগে সকলের প্রশ্নের জবাব দিলে সুবিধা।
এই ব্লগটির দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনারা যা জানতে চাইবেন সেসব প্রশ্নের জবাব দেব। দ্বিতীয় অংশে ভাইরাস, জৈবনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খানিকটা ব্লগরব্লগর করতে পারি হয়ত।
মাসের শেষের মিটিং এ বসেছি ডায়ালাইসিস রুগীদের সাথে, এর নাম কেয়ার প্ল্যান মিটিং। যেসব রুগীদের ডায়ালাইসিস সংক্রান্ত বা অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা থাকে, যেগুলো গড়পড়তা ভিজিটের সময় ঠিক সামলানো যায় না তাদের কে নিয়েই মাসের শেষে এই মিটিং। এটা কম্প্রিহেন্সিভ মিটিং, ডাক্তার, রুগী, রুগীর পরিবার, নার্স, ডায়ালাইসিস ক্লিনিক ম্যানেজার, ডায়েটিসিয়ান, এবং সোশ্যাল ওয়ার্কার সহ সবাই থাকে। এবারের মিটিং এ সবশেষ হলো, বিলি, এর সমস্যার অন্ত নেই। বেশির ভাগই সামাজিক সমস্যা যা মূলত ড্রাগ এডিকশন থেকে উদ্ভূত। বিলির সাথে আমার বেশ একটা ইতিহাস আছে, এখনও ক্লিনিকের সবাই মনে রেখেছে, আমি এবং বিলি তো বটেই। মনে পড়ে গেল আবার।
১৯৯৯ সালের এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে এই অঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচির উপর একটি নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশ বাদে এই অঞ্চলের দেশগুলো হল ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।
১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে ব্যাংককের বৈঠকে তারা নীতিমালার প্রাথমিক মানদণ্ডগুলো নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশের ঔষুধ শিল্পের মান ও উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে গতপর্বে কিছুটা অালোচনা করেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এই পর্বে সরকারী ঔষুধ উৎপাদন, ঔষুধ সেবন, বাংলাদেশের ঔষুধ শিল্পের ভবিষ্যত, ঔষুধ সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতা আর উদাসীনতা সহ প্রাসঙ্গিক নানান বিষয় নিয়ে আলোকপাত করবো।
পানির অপর নাম যদি জীবন হয় তাহলে জীবনে বেঁচে থাকার অপর নাম হবে ঔষুধ। ঔষুধ এর প্রয়োজনীতা কিংবা এর গুরুত্ব কতটুুকু তা নতুন করে বলার কিছু নেই। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে ঔষুধের কাছে অসংখবার মানুষের সাহয্য নিতে হয়। আর একটা নিদিষ্ট বয়সের পর তো সেটা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়। কিন্তু জীবনরক্ষাকারী এই ঔষুধ ও মৃতুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন সেটি ভেজাল কিংবা মানহীন হয়। আমাদের বঙ্গদেশে প্রায় শোনা যায় ঔষুধে কারণে রোগীর ম