[justify]প্রায় ২ বছরের শীতনিদ্রার পর আবারো আলোচনার টেবিলে টিপাইমুখ বাঁধ। ২০০৯ সাল ছিল টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনার বছর। সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি, ভিডিও, আর প্রতিবেদনের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন। ১৯৫৪ সালে যে পরিকল্পনার শুরু, ১৯৭৪ সালে তার বাস্তবায়নের স্থান নির্ধারণ, আর ২০০৯-এর দিকে এসে তার নির্মাণ কাজ শুরুর কথা ছিল। আমাদের সংসদীয় কমিটি ভারত সফরে থেকে ফিরে এসে সে সময় মন্তব্য করেছিলেন,
আমার ফটুকবাজি শুরু হয় ফিল্মি । যুগে। ছবি তোলার পর ফিলম শেষ হলে পরে ডেভেলপ করো, এই করো, সেই করো তারপর দেখতে পাব কি ছবি আসলো। ফিল্মের র ASA কমবেশি হলে পরে তার সাথে অ্যাপারচার, সাটার স্পীড মিলানোর নানা ঝামেলা। তাও কেন জানি ছত্রিশটা স্ন্যাপ নিতে যত মজা লাগত, তত মজা পাইনা ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলে। এখন শুধু ক্লিক ক্লিক তুলেই দেখ কেমন ছবি আসলো। একই ছবি দশটা তোল কি বারটা কোন সমস্যা নেই।
জনৈক অতিথির মন্তব্য থেকে আজ জানতে পারি সচলায়তনের প্রথম পাতায় যে মাত্র ১০টা সাম্প্রতিক লেখা দেখা যায় সেটা নাকি বিরাট লজ্জার ব্যাপার। এটা কিভাবে লজ্জার ব্যাপার হতে পারে, তা অবশ্য মাথায় আসেনি কিন্তু লজ্জাবতী গাছের মতন কেউ যদি নিজে থেকে লজ্জা পেয়ে যায় তাহলে তো আর আমার করার কিছু থাকেনা। নীড়পাতায় চাইলেই যতখুশী লেখা দেখানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করা যায়, কিন্তু তাহলে সার্ভারের উপরে যেমন চাপ পড়ে, তেমন
সকালে জগিং করতে বের হই আজ রোজকার মত। হাতের ব্যান্ডে আইফোন। পডকাস্ট শুনতে শুনতে এক ঘন্টা, দৌড়াই বা জোরে হাঁটি। সাথে একটা নোকিয়ার ফোন থাকে যেটা ওয়াই-ফাই হটস্পট হয়ে আমার আইপড টাচকে ইন্টারনেট কানেকশন দেয়। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে আইপড বন্ধ হয়ে গেল। আইপড বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটু আগে যে পডকাস্টটিতে আগের রাতে ডাউনলোড হওয়া সংবাদ এপিসোড শুনছিলাম তাহল, স্টিভ জবস নেই। আই-গোত্রীয় হার্ডওয়্যার এবং সাথে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের জনক তিনি, এর আগে ম্যাকিন্টস বিপ্লব ইত্যাদির নির্মাতা তিনি। আইপডটা বেশ কয়বার অন করার চেষ্টা চালালাম। একি! আইপডটা ভিজে উঠছে কেন! রুমাল দিয়ে মুছে নিচ্ছি, তাও বার বার ভিজে যাচ্ছে। আর অনতো হচ্ছেই না।
আইপড, আইফোন, আইপ্যাডের সেদিন ছিল শোক দিবস। তাদের জনক স্টিভ জবস দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আজ কোন কাজ করবে না। প্রতিটি ডিভাইসই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়ায় তারা একত্রে এই সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছে।
দিনগুলো অসহ্য মনে হচ্ছে অলির। বেশ অনেকদিন হোল মেয়েটির সাথে সরাসরি কথা বলতে চাচ্ছে, কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে তার বাসা-কলেজ, কলেজ-বাসা, বাসা-কোচিং, কোচিং-বাসায় যাতায়াত। এই ব্যূহ ভেদ করে কলির কাছে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। মনের ভাব অবশ্য এতো বাঁধা বিপত্তি মানতে বাধ্য নয়। একটু চোখাচোখি, ঠোঁটে হাল্কা হাসির রেখা, লজ্জায় রাঙ্গা অবনত মুখ, অনেক আগেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল অপর প্রান্তে।
কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
[ এই লেখাটার পেছনের উদ্দেশ্যটা বলছি, বেশ কিছুদিন আগে খুবই কাছের একজন আস্তিক বন্ধুর সাথে কিছু বিষয়ে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথার প্রসঙ্গ বিবর্তনবাদের দিকে গড়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী বন্ধুটি কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, তখন তার কিছু সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম, খুব সহজ ভাষায় ব্যাপারগুলো বর্ণনা করতে পারছিনা, বিবর্তন নিয়ে পড়ার পরেও সহজ ভাবে সেটি সেদিন বন্ধুকে বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছিলাম, তারপর থেকেই
লিনুস টোরভাল্ড নামক একজন দুষ্টু ছাত্র সেই সময়ে জানতো না যে তার এই দুষ্টামীর ফলে বৈপ্লবিক কিছু ঘটে যাবে ২০ বছর পর। সে এটাও জানতো না যে 'ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ' নামে একটি দুষ্টু সংগঠন ২০১১ সালে তার দুষ্টামীর জন্মদিন পালন করার নিয়ত করবে। ঐ দুষ্টু লোকটি আরও জানতো না যে সেই জন্মদিন আবার রোজা রমজানের দিনে পড়বে। জানলে নিশ্চয়ই ঈদের পরের কোন তারিখে সেই দুষ্টামি রিলিজ দিত। অবশ্য তাতেও শেষরক্ষা হত না, কারণ কোনো না কোনো বছর সেটা রোজা রমজানের দিনে পড়তোই, কারণ আরবী চন্দ্রবর্ষ ধরে যেই ক্যালেন্ডার সেটা প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে সাধারণত ১১ দিন কম থাকে - তাই প্রতিবছরই রোজা বা ঈদগুলো ১১ দিন করে এগিয়ে আসে।
ইন্টারনেট জগতের বিপ্লব সাধনকারী ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন আজ একসাথে।পারস্পরিক যোগাযোগ, মতামত বিনিময়, সম্পর্ক ও জনমত তৈরি, ব্যাবসার প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম। ভার্চুয়াল জগতে আপনার পরিধি বৃদ্ধি করলেও বাস্তবিক অর্থে ফেসবুক ব্যাবহারে রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এসব নিয়েই আজকের এই লেখা।
[justify]এলএনজি বাণিজ্য প্রধানত চুক্তিনির্ভর। এলএনজি চুক্তিগুলোকে মূলত Sales and Purchase Agreement (SPA) বলা হয়। এই চুক্তির একপক্ষ হচ্ছেন এলএনজির জোগানদাতা, বিক্রেতা বা রপ্তানিকারক। দ্বিতীয়পক্ষ হচ্ছেন ক্রেতা বা আমদানিকারক। এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভালো যে, এই পক্ষগুলি হতে পারে কোনো রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান, কিংবা কোনো কোম্পানি। বাংলাদেশ সরকার এলএনজি আমদানি করার অভিপ্রায়ে যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করেছে তার অপরপক্ষও একটি রাষ্ট্র, কাতার।