পঙ্খীরাজ ঘোড়া তৈরির চিন্তা আমার মাথায় তৈরি হয় সম্ভবত একটা রুপকথার গল্পের অনুপ্রেরণা থেকে। তবে এই জিনিসের সাধারণ যে রূপকথা আমরা জানি সেই গল্প থেকে নয়। রাজপুত্তুর পঙ্খীরাজে চড়ে গিয়ে রাক্ষস মেরে রাজকন্যাকে উদ্ধার করল সেই চিন্তা কারো কাছে শিশু বয়সেও বাস্তব (সম্ভাব্য) মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে গল্প পড়ে মনে মনে ভেবেছিলাম, ঘটনাটা সত্যি হলে মন্দ হতোনা, সেটা অন্য গল্প। কে লিখেছেন অথবা আদৌ সেটি কোনো প্রচলিত রুপকথা কিনা জানা নেই। কেবল মনে আছে গল্পটা।
সময় এসেছে গণআন্দোলনকে Twitter-এ নিয়ে যাওয়ার। আগ্রহীদের জন্য কিছু প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করছি এখানে। এটি খুব, খুব সহজ একটি মাধ্যম। কয়েক মিনিটের বেশি লাগবে না বুঝে নিতে।
[justify][justify]বাংলাদেশে এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সবার কাছে সুলভমূল্যে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া। দেশের পচিশ মিলিয়ন পরিবারের মধ্যে মাত্র চার মিলিয়নের কাছে এখন পর্যন্ত আমরা বিদ্যুতের সংযোগ দিতে পেরেছি।১ বাকি যে একুশ মিলিয়ন (দুই কোটি দশ লাখ) পরিবার বাকি থাকলো, তারা যে অচিড়েই বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে, অবস্থাদৃষ্টে
‘ঘটনাটা কাশিপুরের জঙ্গলের। কাশিপুর চিনলি না! আঃ মরণ। আকাট মুর্খদের নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।’ ভাষা-আন্দোলনের গল্প শোনাতে গিয়ে কাশিপুরের জঙ্গলের গল্প ধরেছেন কানাইলাল পণ্ডিত। সেখানেও নাকি একটা ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কানাইবাবু কাশিপুরের লোক কিনা, তাই গল্পটা তিনি জানেন।
‘শোন রে হতভাগার দল।’ কানাই বাবু তাচ্ছিল্যভরেই গল্পটা শুরু করলেন। ‘কাশিপুর হলো সেই কাশিপুর। কোন কাশিপুর? আরে যেখানে শরৎবাবুর এক মামার বাড়ি সেখানে। কী বললি, শরৎবাবুকেও চিনলি না? আরে অকর্মার ঢেকিরা! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুঝলি। এবার ঠিক চিনেছিস তো? ভাগ্যি তোদের, নইলে ঘাড় মটকে দিতাম। ওই কাশিপুর আবার গফুরেরও কাশিপুর। মহেশ গল্প পড়িস নি? কাশিপুরে মহেশ আর আমিনাকে নিয়ে ছিল গফুরের সংসার। ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিংবা চিত্রা এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা চলে যাও দর্শনা। সেখান থেকে বাসে জীববন্নগর। তারপর রিক্সা-ভ্যানে চড়ে চলে যাও কাশিপুর। বুঝেছিস রে হতচ্ছাড়ার দল?’
কানাইবাবু ছাত্রদের গল্প শোনাতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ঘুরে আসি কাশিপুরের জঙ্গলে।
কাশিপুর জঙ্গলে রাজা হলো রগচটা বাজপাখিটা। প্রকাণ্ড একটা শেওড়াগাছে তার রাজপ্রাসাদ। আগে অবশ্য এই বনে রাজা-মন্ত্রী বলে কিছুই ছিল না। দুষ্টু বাজপাখিটা ষড়যন্ত্র করে রাজা সেজে বসে আছে। অবশ্য তার পাইক-বরকন্দাজও কম নয়। হাজার খানেক কাল-কেউটে সাপ পুষে রেখেছে চতুর বাজটা। এরা তার পুলিশ বাহিনী। দাঙ্গাবাজ স্বভাবের ফিঙেরদল তার সেনাবাহিনি। এছাড়া এক শিয়াল পণ্ডিতকে উৎকোচ দিয়ে দলবলসহ তাকে পুষে রেখেছে উপদেষ্টা হিসাবে। শিয়ালের দল ছাড়াও আছে একদল বনবিড়াল। কেউটেদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই গুইসাপ কিংবা বেজিদের বনের ধারে ঘেঁষতে দেয় না রাজা বাজপাখি।
বিচারপতি নিজামুল হক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কথোপকথন এবং মেইল হ্যাক হওয়াতে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তার প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে। যদিও বিচারপতির বক্তব্য এবং ইমেইল হ্যাক করার জন্য সম্ভবত খুব উঁচু মানের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়নি। বরং তাদের কোনো একজনের কম্পিউটারে ফিজিক্যাল অ্যাকসেস ছিলো,এমন কেউই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। কিন্তু ঘটনা যেভাবেই ঘটুক না কেন, সাবধান হওয়ার এখনই সময়। আমরা যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি, খুব স্বাভাবিকভাবেই এর নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের খুব ভালো ধারণা নেই, এবং থাকলেও অনেকসময় তা মেনে চলি না। আমি নিজে কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশারদ না। মোটামুটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা,আগ্রহ এবং কর্মসূত্রে কিছুটা জ্ঞান লাভ হয়েছে। তার সুবাদেই এই ব্লগটাতে আমি নিরাপত্তার কিছু সাধারণ ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করবো।
একটা গোলক, সিলিন্ডার বা বাক্সের গায়ে ছবি বা লেখা দিলে সেটাকে সামনাসামনি সমতলে থাকা ছবির চেয়ে ভিন্ন দেখাবে এ তো জানা কথাই। তবে সেটা করার পদ্ধতিটাও যে বেশ সহজ তা পরের টিউটোরিয়ালটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। টিউটোরিয়ালটা একটা এনিমেটেড gif ফাইল। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ মিনিট।
যেহেতু কৃষি আমাদের প্রধান অবলম্বন, তাকে শিল্পেরও প্রধান অবলম্বন বানাতে পারলে আমাদেরই লাভ। আমাদের রাসায়নিক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃষি ও শিল্পের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন হতে পারে একটি উৎকৃষ্ট পন্থা। এই যোগসূত্র স্থাপন হয়তো সব শিল্পের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের অন্যতম প্রধান যে শিল্প – ইউরিয়া সার – যার উপর আমাদের কৃষি এতটা নির্ভরশীল, সেই নির্ভরশীলতাকে যদি উভমুখী করা যায় তাহলেই কিন্তু আমরা সার শিল্পে অনেক এগিয়ে যেতে পারি। এই লেখা সেই সম্ভাবনাটি নিয়েই।
পুরাতন কিছু সিরিজ শুরু করে শেষ করা হয় নি। দায়দায়িত্ব পুরোপুরি আমার আলসেমির। এখানে আমার কোনো দোষ নাই। অনেক দিন হয়ে গেছে, তাই ওগুলো নিয়ে আবার শুরু না করে এখন কি করছি তার উপরে ভাবলাম কিছু লিখি। তড়িৎ প্রকৌশল আমার কাছে অনেকটা জাদুর মতন মনে হয়। পেছনের কার্যকলাপ কিছুই আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়না (সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে) কিন্তু শেষে গিয়ে ঠিক মতন ব্যবহার করলে লাইট বাল্ব জ্বালানো থেকে শুরু করে কম্পিউটার চালানোর মতন চমকপ্রদ সব ঘটনা ঘটানো সম্ভব।
ডিসক্লেইমার : এই লেখা একান্তই রসকষহীন এবং বোরিং হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (এখানকার মানুষজন এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায়) আমার খুব বেশি একটা নেই, কাজ করার অভিজ্ঞতাও বেশ সীমিত। তবে যতটুকু শিখেছি চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব নির্ভুলভাবে তুলে ধরবার।
বছর সাতেক আগে প্রথম যখন টেলিটকের সিম বাজারে ছাড়া হলো, আমার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই প্রায় চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সিম সংগ্রহ করেছিল। এমন না যে সেই সময় মোবাইল ফোন একটা দূর্লভ বস্তু ছিল, বা অন্য অপারেটরদের কল-রেট অনেক বেশি ছিল। তবে টেলিটকের একটা সংযোগ কেনার জন্য কেন এত ব্যাকুলতা? ফ্রি টিএন্ডটি ইনকামিং, অতিরিক্ত চার্জ না দিয়েই টিএন্ডটি আউটগোয়িং ইত্যাদি নানা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটি সবচেয়ে বড় কারন মনে হয়েছিল তা হচ্ছে "এটা আমাদের ফোন!" সম্পূর্ণ দেশি এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিজেদের ফোন! নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম নিয়ে আমরা সহসাই প্রশ্ন তুলি। কিন্তু সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল স্বার্থের পাশাপাশি দেশপ্রেমও একটা বড় কারন এই রাতভর অপেক্ষার!