[justify]
একটা বিশেষ দিনের ঘটনা দিয়ে শুরু করি-
৭ই জুন, ২০১২
তিন পুরুষ ধরে শহুরে মার্জিত, কেতাদুরস্ত ডাক্তার প্রসঙ্গক্রমে বলছেন- ' নারী স্বাধীনতা ফালতু কথা, সংসার একটা যুদ্ধেক্ষেত্র, এখানে পুরুষের একক কর্তৃত্ব থাকতে হবে; তা না হলে বিপদ অনিবার্য। আর একটা কথা মনে রাখবেন, সংসার ঠিক রাখতে হলে কর্তার রোজগার কর্ত্রীর চেয়ে একটু বেশি থাকা উচিত।'
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
এই লেখাটি যে খুব ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে অতোটা আস্থা রাখতে পারছি না। কিন্তু ভবিষ্যতের কাছে আমাদের যে দায় রয়েছে সেই দায় খানিকটা হলেও পূরণের চেষ্টা করতে এই লেখাটি লিখছি। বলতে ভালো লাগছে, দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এই লেখাটি আপনাকে লিখতে পারছি। স্বাচ্ছন্দ্যের কারণ আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। সেজন্য এই লেখাটিতে শিক্ষা কী, তা আপনাকে আলাদা করে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমি যে দেশের নাগরিক, যে দেশে আমি বেড়ে উঠেছি, কোনো অশিক্ষিত সামরিক শাসক অথবা অন্য কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তি সেই দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছে না, সেটা নিঃসন্দেহে দারুণ একটা অনুভূতি।
গত পরশু গিয়েছিলাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। সেখানে সারাদিন নৌকায় বন ও আশে পাশের দুই তিনটা গ্রাম ঘোরা শেষ হলে সন্ধ্যায় ক্যাম্প করলাম আলীনগর নামের এক ছোট্ট গ্রামে, গোয়াইন নদী ও বিলের মাঝখানে। আজকের গল্পটা হতে পারতো চমৎকার সেই ঘুরে ব্যাড়ানোর স্মৃতি গুলো নিয়ে , পানির নীচে তলিয়ে যাওয়া এক স্বর্গীয় বন, বনের সাপ, উল্লুক বা পাখিদের নিয়ে।
আজকাল মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব অসহায় লাগে। জাপটে ধরে নিরাপত্তাহীনতা। মনে হয় দিন দিন যেন বেঁচে থাকাটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন শুনতে হয় এদিক-ওদিক, খুচরো-বড়, চেনা-অল্প চেনা- অচেনা মৃত্যুর অথবা জীবনের বিপন্নতার খবর। ছোটবেলায় গাছপালা, পশুপাখি, দাদু-দিদা মিলিয়ে মিশিয়ে প্রাণের যে বি-শা-ল বৃত্ত ছিল, তা যেন ছোট হতে হতে আমাকে ফাঁস হয়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে। কি জানি হয়তো তখনও চারপাশটা এরকমই ছিল, শুধু আমার চোখে ছিল রঙ-চশমা।
অতি ভদ্র আর আত্মকেন্দ্রিক হিসেবে আমাদের চিকিৎসক সম্প্রদায়ের সুনাম গগনচুম্বী !
আমার কতো স্বপ্ন! কতো চাহিদা! শেষ হয় না আর... গত শুক্রবার এমনই এক স্বপ্নেরর প্রজেক্ট বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছিলো NAEM অডিটোরিয়ামে...যেখানে আমিই থাকতে পারি নি এবার। মনটা পড়ে ছিলো সেখানেই। সেদিন সারাদিন তাই স্মৃতিচারণ করলাম বসে বসে...
স্বপ্নের পথচলা...
বোলোনিয়া শহরের একজন নাম না জানা শাসকের মোজাইক দিয়ে নির্মিত পোর্ট্রেট। ছবিটি বোলোনিয়ার সিভিক মিউজিয়াম থেকে তোলা হয়েছে।
ধ্বংস স্তুপের নীচে কাটানো প্রতিটি মুহুর্তের মৃত্যুময় অন্ধকার,
মায়ের কোল হারা প্রতিটি শিশুর কান্না,
স্বজনের আহাজারি
আর নিঃস্পন্দ প্রতিটি লাশ ছুঁয়ে
আজ আমি অভিশম্পাত দিচ্ছি- ধ্বংস হ’ নরপিশাচেরা
যারা কেড়ে নিয়েছিস আমার ভাই, আমার বোনকে-
নিশ্চিহ্ন হ’ তোরা চিরতরে ।