আজ সকালে খুব অদ্ভুতভাবেই ঘুম ভেঙ্গেছিল, টেক্সটের শব্দে। ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম এক ক্লাসমেট বাংলাদেশের খবরটা বিবিসিতে দেখে উৎকণ্ঠা জানিয়েছে, জানতে চেয়েছে দেশে আমার পরিবার নিরাপদে আছে কিনা!
বিল্ডিং নির্মণ নিয়ে আমাদের হাতে আইন আছে দুইটি। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এ্যাক্ট ১৯৫২ এবং টাউন ইনপ্রুভমেন্ট এ্যাক্ট ১৯৫৩। আমার জানা মতে ২০০৬ সালে বিল্ডিং কনস্ট্রাশন এ্যাক্ট ১৯৫২ তে একটা সংশধনী এনে ১৮-এ অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। এই আইনের শুরুতেই বলা হচ্ছে
An Act to provide for the prevention of haphazard construction of
buildings and excavation of tanks which are likely to interfere with the
মাঝে মাঝে সামাজিক আড্ডায় শুনি, “ব্লগারদের মুখ খুব খারাপ। কোন শিষ্টতা নেই, শালীনতা নেই। আন্তর্জালের এই যুগে কেউ কারুর মুখ দেখে না তো, তাই যা ইচ্ছে তাই লিখে। বর্বরদের মতো ভাষা। ব্লগতো না, আগের দিনের পাড়ার “রক” আর কি!
১।
হাসনাত আবদুল হাই বিষয়ে প্রথম থেকেই একটা তিক্ত ধারণা মনের ভেতর ছিল। একবার এক সাহিত্য পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, হাই সাহেবের জুনিয়র একজন সহকর্মীকে কেন তার সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হলো এই নিয়ে তিনি ভয়ানক ঝগড়া করে সেই কলিগকে নানাবিধ "....বাচ্চা...." টাইপের নানান চূড়ান্ত বাজে গালি দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি সামান্য বসার আসন নিয়ে এইরকম করতে পারে, সে যে আসলে আস্ত একটা ছোটলোক তাতে কোনও সন্দেহ নাই। গালাগালির শিকার হয়েছিলেন যে সরল মানুষটি, তাঁকে আমি চিনতাম, তাঁর কাছে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা শুনে দুঃখই লেগেছিল। পরে আরেকটি কান্ড জানতে পারি। হাই সাহেব "নভেরা" উপন্যাসটি লিখে খ্যাতিমান, আমাদের চেনাজানা অনেকেই এই উপন্যাসের ভক্ত। তো যাঁকে নিয়ে এই উপন্যাস রচিত, সেই অসামান্য শিল্পী নভেরা আহমেদকে ফ্রান্সে আমাদের খুব চেনা একজন সিনিয়র অভিনেতা বইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন, নভেরা সেই বই একটুখানি পড়েই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, "এই বইয়ের কথা যে বলবে বা এই বই যে সাথে নিয়ে আসবে সে আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না, কেননা গোটা বইটাই অসত্য আর মনগড়া কথায় ভরা।" এবং, পরে বইটার কিছু তথ্য নিয়ে পরিচিত কিছু সূত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখেছি, কথা ঠিক, হাই সাহেব মনগড়া বাক্য লিখতে ওস্তাদ।
শেলফের একটা বড় অংশ জুড়ে আধিপত্য বিরাজ করে আছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলামের ঐতিহ্য, ইসলামি মুল্যবোধ, দীনের আলো মার্কা বিভিন্ন বই । টিউবলাইটের এই মৃদু আলোতেও তাদের সোনালী / রুপালী রং এর জলে খোদাই করা আরবী অক্ষরগুলো যেন দম্ভ সহকারে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। । এদের উপরেই ভাতৃত্ব্যসুলভ সৌহার্দে অবস্থান করছে হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল আর আনিসুলেরা । শেলফের একেবারে নিচের তাকে, টিভি স্ট্যান্ডের আড়ালে প্রায় ঢাকা পড়ে যাওয়া অংশ থেকে ধুলো বালি আর অযত্নের অত্যাচার সয়ে লাজুক ভাবে উকি দিচ্ছে হুমায়ুন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর গোটাকতক কবিতার বই । এই রাম রাজত্বে এরা যেন অনাকাংক্ষিত অসুর । লুকিয়ে থাকতে হয় অন্ধকারে ।
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশন শুরু হওয়ার পরে মানুষজনের শাহবাগ যাওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি দেখিনি । আমার এক বন্ধুর (নাম বলতে চাচ্ছি না) সাথে এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি অফিস থেকে ফেরার পরে ।
[justify]সমাজের মূল স্রোতের বাইরে একদম প্রান্তিক অবস্থানে কিছু মানুষ, দল কিংবা সম্প্রদায় থাকে যাদের অস্তিত্ব টের পাওয়ার বেলায় আমাদের ভেতর একটা অস্বস্তি কাজ করে। একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে সমাজ যাদেরকে অস্পৃশ্য হিসেবে দূরে সরিয়ে রাখে তেমন মানুষদের কাজ করার সুযোগ ঘটেছে আমার; এই সুযোগ ঘটার কারণেই আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা পরিবর্তন এসেছে এটা আমি নিজেই টের পাই। বাংলাদেশে সাধারণভাবে একজন মানুষের এমনকি
ভূমিকা বা ভণিতাহীন...
আমার আয়নায় প্রতিবিম্বিত চরিত্রগুলো -
পার্ল এস. বা্কের মা
চেজিরা, টু উইমেন, আলবার্তো মোরাভিয়া
দীপার সাতকাহন
গর্ভধারিনী জয়িতাঃ
জীবনটা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়া উপন্যাসের কোন চরিত্র না। তারপর... (ভূমিকায় আর কথা না বাড়াই!)
আমার আয়নায় প্রতিবিম্বিত চরিত্রগুলো -
পার্ল এস বাকের মা
চেজিরা, টু উইমেন, আলবার্তো মোরাভিয়া
দীপার সাতকাহনঃ