Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সমাজ

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে শোন শোন পিতা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৮/২০১৭ - ১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শোক দিবসকে আক্ষরিক অর্থে কারবালা বানিয়ে ধারালো অস্ত্রে বুক-পিঠ চাপড়ে হায় হোসেন অবলম্বনে হায় মুজিব কমেডি করে শোক দিবসকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছে কিছু ভাঁড়। হায় মুজিব অবস্থাই বটে! আসুন, এই কমেডি পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন একটু পড়ে দেখি- সেটাই শোক দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে টুঙ্গিপাড়ার সমাধি পরিনত হতে পারে তাজিয়ায়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন খুব কম, বাগ্নী হিসেবে বলে গেছেন অনেক কিছু। অনুভূতিময় এই উদ্ভ্রান্ত সময়ে সেই কথামালা পাঠ করেও যদি তাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায়, অনাগত কোনও অন্ধকারে হয়তো সেটিই কাজে দেবে। মানবিক আবেগহীন এবং দর্শনবিমুখ যান্ত্রিক অনুভূতির অর্গলে বঙ্গবন্ধুকে বেঁধে রাখলে তিনি ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে উবে গিয়ে লালুসালু মোড়া পীরের আসনে গিয়ে বসবেন। এই সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধুর পঠন-পুনর্পঠন হোক জোরেশোরে। ব্যানারের ম্লান ছবি হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসুন ব্যাবহারিক দর্শনে।


পালাবেন না, প্লীজ!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৩/০৭/২০১৭ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!


মরার বাড়ি - মৃত্যু নিয়ে কিছু আদিম বিশ্বাস : শেষ পর্ব

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/০৭/২০১৭ - ৪:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হত্যার প্রতিশোধের মতই মৃতের জন্য শোক প্রকাশ করাটাও আদিবাসীরা খুব জরুরি বলে মনে করে। অসুস্থ হবার সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর পর তার জন্য যথেষ্ট শোক প্রকাশ করা না হলে মৃতের আত্মা ভাবে তার আত্মীয় স্বজন তাকে যথেষ্ট ভালোবাসতোনা সুতরাং ক্ষুব্ধ আত্মা তখন তার জীবিত আত্মীয়-স্বজনদের জীবনে নানান ধরণের দুর্বিপাকের সৃষ্টি করে। অসুখ বিসুখে শিশুরা মারা যায়, পর্যাপ্ত শিকার মেলেনা, মাছধরায় ভাগ্য মন্দ যায়। সুতরাং কার


মরার বাড়ি - মৃত্যু নিয়ে কিছু আদিম বিশ্বাস : দ্বিতীয় পর্ব

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০২/০৭/২০১৭ - ৭:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুধু স্বপ্নই নয় আদিবাসীরা বিশ্বাস করে মানুষের দেহের অতিরিক্ত আত্মা বলে যে আরেকটা পদার্থ আছে তার প্রমাণ মাটিতে পড়া মানুষের ছায়া আর জলে প্রতিবিম্বিত হওয়া তার প্রতিফলন। এখন এই ছায়াশরীর হলেও আদিবাসীদের বিশ্বাস মৃতের আত্মাও ক্ষুধা-তৃষ্ণা থেকে একেবারে মুক্ত নয়। অস্ট্রেলিয়ার দিয়েরি ট্রাইবের মানুষেরা মৃতের কবরের ওপরে খাবার রেখে আসে। মৃতব্যক্তি ক্ষুধার্ত হলে যেন খাবারটা কাছেই পায় সে কারণেই এই ব্যবস্থা। শুধ


মরার বাড়ি - মৃত্যু নিয়ে কিছু আদিম বিশ্বাস : প্রথম পর্ব

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১০/০৬/২০১৭ - ১০:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িকে সেই মৃত্যুরদিন বা ঠিক তার পরের দিন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় মরার বাড়ি বলে । অন্য অঞ্চলেও সম্ভবত তাই বলে, অথবা অন্য কোন শব্দবন্ধে এই ভাবটাই হয়তো প্রকাশ করা হয়। বলার কথাটা হলো এই মরার বাড়ির অভিধাটা থাকা পর্যন্ত সে বাড়িতে রান্না নিষেধ। প্রথাটা এখনও অনেক জায়গাতেই পালিত হয়। আমার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে এই প্রথাটা বরাবরই পালিত হতে দেখেছি। আমার বাবা মারা গেলে আমাদের বাড়িতে দ


‘ডাক্তারদের ফেইসবুক’

তারানা_শব্দ এর ছবি
লিখেছেন তারানা_শব্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২২/০৪/২০১৭ - ১১:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তো কোন এক শুক্কুরবারে ঘরে বসে কাশতে কাশতে আমি ভাবছিলাম যে আমার কপালটা এতো ফুটা কেন?


মৃত্যু নিয়ে আদিবাসী মিথ

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৭/০৪/২০১৭ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আফ্রিকার জুলুদের দেবতা উনকুলুনকুলু গিরগিটিকে ডেকে বললেন, গিরগিটি তুমি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বলো তারা মরবেনা, তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে কিন্তু মৃত্যু হবেনা তাদের। কিন্তু অলস গিরগিটি চললো ঢিমে তালে পা ফেলে, তার উপর পথের মধ্যেই উবুকুয়েবেজানি গাছের পাকা বেগুনি রঙের ফল দেখে তাই খেতে শুরু করলো পেট ভরে। শুধু তাই নয় গাছের মগডালে চড়ে বসে নরম রোদে শরীর মেলে দিয়ে পড়লো ঘুমিয়ে। এদিকে দেবতা উনকুলুনকুলু ব্যাপারট


নকল, প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষার সর্বনাশ এবং শুধুই শিক্ষকের গলায় ফাঁস : তুলসী পাতা কারা ?

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৪/২০১৭ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আবারও মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে রাখাল রাহার এক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান অনেক বিস্ময় ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একবার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রশ্নফাঁসবিরোধী বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে চাননি, আবার পরে তা অস্বীকার করে বিবেকের দায় মিটিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম প্রশ্নফাঁসের দায় আবারও শিক্ষকদের কাঁধে চাপান