দেশ, খুঁটি, মাটি। খুব অদ্ভুত রকম শক্তিশালী এক ধারনা। দেশ ছেড়ে দূরে সরে যাওয়া যায়, দেশের সাথে সকল সংস্রব ত্যাগ করা যায়, শুধু যায় না দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা অস্তিত্বটুকু অস্বীকার করা। যত দূর পথ হাঁটি না কেন, যত উচ্চতায় আরোহণ করি না কেন, শিকড় তো আমাদের ছোট্ট দেশেই পড়ে আছে। বিদেশে এসে এই বোধটুকু প্রায় সবার মাঝেই অনেক গভীর হয়। বিশেষ করে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়গুলো এলে।
কাব্যের মলিন পাতা খুঁজতে খুঁজতে জীবনের একটা করে অধ্যায় পার হয়ে যায়। চারিদিকে কত কোলাহল। কত তুচ্ছ বিষয় নিয়েই না মেতে আছি কতকাল। কতদিন হল শুভ্রের বন্দনা করিনা, খেয়োখেয়িতে বিষ কামড় বসিয়েই ডাস্টবিনে লড়ে যাচ্ছি অবিরাম। মন্দিরে মসজিদে চার্চে গুরুদোয়ারায় গিয়ে মাথা ঠেকায় ধর্মপ্রাণ মানুষ। কিন্তু সেই নিষ্প্রাণের জন্যই আবার অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরে এটাই তো সময় - আসেন আমরা সবাই পশু হই!!!
[এই পোস্টের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশে যেসব ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিংবা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত হয় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, এসব পণ্য বা প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলে কিংবা ব্যবহার না করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারতীয় বানিজ্যিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত করার এবং স্বদেশী পণ্য ব্যবহার করে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করার পেছনে ভূমিকা রাখা যায়| কোনো ধরনের ধর্মীয় কিংবা ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো এই পোস্ট
বাঙ্গালীর জীবনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবেদন নিয়ে, বিভিন্ন উদযাপন করার উপলক্ষ্য নিয়ে। সে উপলক্ষ্য হতে পারে সাংস্কৃতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে এর বাইরেও। এই শেষ শ্রেনীভুক্ত বর্তমান প্রজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়টি হল ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে।
আজ সকালে মেইল চেক করার সময় বন্ধু চ্যাটে এল ও জানালো আজকের দিনের বিভীষিকাময় খবরটি - সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও টিভি রিপোর্টার মেহেরুন রুনীর নৃশংস হত্যাকান্ড । সে বলছিল "গতকাল রাতেই সাগরকে একটি প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছিলাম - আজকে সেটাই হাতে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে আছি।"
এইতো একদিন আগেও যারা ছিলেন সুখী দম্পতি, আজ শুধুই স্মৃতি আর ছবি। সারাদিন ফেসবুকে সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে সাগর-রুনী নিয়ে শোকগাথা ও স্মৃতিচারণ, তাদের ছেলে মেঘকে নিয়ে নানা কথা পড়তে পড়তে ও ছবি দেখে আমরাও শোকাচ্ছন্ন ও ভারাক্রান্ত হই বইকি।
[justify]‘’রুট বিয়ার আছে?’’ একটা ফাস্ট ফুড শপে শোয়েবের এমন প্রশ্নে আমি তো থ! ও যেভাবে কথায় কথায় হাদিস শোনায়, তাতে তো এই ব্যাপারটা ওর সাথে যায় না। অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করি, ‘’তুই, বিয়ার খাওয়া শুরু করলি কবে থেকে?’’ শোয়েব আমাকে অভয় দেয়,‘’এই বিয়ারটা খাইতে পারস। এইটা হালাল। উইদাউট এলকোহল‘’। সেদিন কিঞ্চিত অবাক হলেও পরে আর হইনি; কারণ বিভিন্ন পার্টিতে শোয়েবের সাথে আমাকেও যে গলা ভেজাতে হয় কালে-ভদ্রে!
১)
গায়ের রং নিয়ে তীব্র মাথাব্যথা না থাকলেও ইদানিং বিভিন্ন কারণে কেমন জানি একটা চিনচিনে অনুভুতি মনের ভিতর উঁকিঝুকি দিয়ে যাচ্ছে । এই চিনচিনে অনিুভুতিটাই হঠাৎ সেদিন কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কাজের মেয়েটার কথায় । বেশ কয়েক বছর ধরেই মেয়েটা আমাদের এখানে আছে তবে তার কোনো কিছুর জন্য আবদার খুব একটা নেই । দিন কয়েক আগে টিভি দেখছিলাম । হঠাৎ একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমাকে বলল, আমার না খুব শখ এই জিনিসটা কেনার । আমি তার দিকে তাকালাম সে তা ভ্রুক্ষেপ করল না । কারণ গভীর মনোযোগের সাথে দৃষ্টি তার টিভির পর্দায় নিবদ্ধ ।
সকালবেলা যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন ভার্সিটি যাবার সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের যখন মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতে দেখি তখন আগের দিনের এই সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয়, কিভাবে ১২টা বছর সকাল ৮টায় ক্লাস করতাম! অবাক লাগে ভাবতে। দেখি, ছোট ছোট মানুষ, কাঁধে বিশাল বড় বড় ব্যাগ!