ধ্যাড়ধেড়ে একঘেঁয়ে জীবনটায় আর রসকষ বলে কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। সব পেয়ে বসা রস ছাড়া এই কষটে জীবনে একটু আনন্দের খোরাক যোগায় এমন ঘটনাও বিরল। টিভির মেগা সিরিয়ালের মত মিঠেহীন চুইংগাম চিবানোর মতই দিন-রাত পার করতে করতে ত্যাক্ত হয়ে অবশেষে ঘর ছাড়ার স্বিদ্ধান্ত নেয় শান্ত। বাবা-মা ব্যাস্ত শত কাজে। তাকে সময় দেবার সময় তাদের নেই। প্রয়োজনও বোধ করেনা হয়তো ছেলে বড় হয়ে গেছে ভেবে। ভাল রেজাল্ট করা নামি-দামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের তো বন্ধুর অভাব হবার কথা নয়!
চিকিৎসা মানুষের জীবন বাঁচায়,রোগ হলে মানুষ বাঁচার তাগিদে হাসপাতাল,ক্লিনিক এ যায় চিকিৎসা করাতে। কিন্তু এই রোগমুক্তির স্থান যদি হয়ে ওঠে প্রাণ হরণ এর আদর্শ স্থান তাহলে সত্যিই ভয় পেতে হয়……
কিছুদিন আগের ঘটনা। পহেলা বৈশাখ এর রাতে,সারাদিন বন্ধুদের সাথে অনেক ঘোরাঘুরি করার পর সন্ধ্যার সময় যখন বাসায় আসলাম তখন রীতিমত ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। তাই গোসল করে আর দেরি না করেই শুয়ে পড়েছিলাম।
[ এই লেখাটার পেছনের উদ্দেশ্যটা বলছি, বেশ কিছুদিন আগে খুবই কাছের একজন আস্তিক বন্ধুর সাথে কিছু বিষয়ে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথার প্রসঙ্গ বিবর্তনবাদের দিকে গড়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী বন্ধুটি কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, তখন তার কিছু সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম, খুব সহজ ভাষায় ব্যাপারগুলো বর্ণনা করতে পারছিনা, বিবর্তন নিয়ে পড়ার পরেও সহজ ভাবে সেটি সেদিন বন্ধুকে বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছিলাম, তারপর থেকেই
[justify]
১
এই লেখা সভ্যতা নিয়ে। সভ্যতার অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় দরকারী খুব দরকারী চারটি উপাদান আছে। এগুলো ছাড়া সভ্যতা অচল, সভ্যতা সভ্যতা নয় অসভ্যতা।– শিশ্ন যোনী সঙ্গম ধর্ষণ।
একসময় যাত্রা পালা গ্রাম বাংলার একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম ছিল। গভীর রাত এ আরাম্ভ হয়ে ভোররাত অবধি গ্রামের সবাই উপভোগ করত গানের - নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা নানান কাহিনী। এখন দিন বদলের হাওয়ায় গ্রামের মানুষদের বিনোদনের মাধ্যমও বদলে গিয়েছে। সবার বাসায় টিভি ,ডিশ এর লাইন। আগে যে যাত্রা পালার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকা তার আর দরকার পড়েনা, চ্যানেল ঘুরালেই শীলাকি জাওয়ানি দেখা যায় । যাত্রাতেও লাগে দিন বদলের হ
গল্প উপন্যাসে আর সিনেমায় কিছু মেয়ের দেখা মিলে যারা একসাথে দুই নায়ককে ভালোবাসে, দুইজনকেই তীব্রভাবে চায়। তাদের হৃদয় থাকে দ্বিখন্ডিত। আমার অবস্থা ঐ নায়িকাদের মতো, আমার নায়ক দুজন! আমি সংসার আর ক্যারিয়ার দুটোই ভালোবাসি, দুটাই চাই।
দুই বান্ধবীর ফোনালাপ চলছে।
১ম বান্ধবী (পেশায় চিকিৎসক) ঃ জানিস, মনটা ভীষণ ভারি হয়ে আছে। আজ তিনজন রোগী পেলাম। তিনটাই রেপ কেস। তাও আবার নিজের স্বামীর দ্বারা।
২য় বান্ধবীঃ তাই নাকি? এটা কীভাবে সম্ভব?
১ম বান্ধবীঃ হুম। তিনজনেরই বিয়ের প্রথম রাতের ঘটনা এটা।
২য় বান্ধবীঃ মেয়েগুলো স্বীকার করল সে কথা?
হালকা হালকা বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলগুলো দুলছে, আকাশেও সাদা সাদা মেঘ, বছরের এই সময়টা খুব ভালো লাগে হৈমন্তীর| মাটিতে শুয়ে আনমনে কি সুন্দর আকাশটা দেখা যায়, কখনো কখনো মেঘ দিয়ে কি সুন্দর হাতি-ঘোড়া, আরও কতকিছু যে তৈরী হয়ে যায়, সবাই কি তা বোঝে? যখন বিলের ধারে ঘুরঘুর করে তখন হঠাৎ কখনো একটা সাদা বক সাই করে উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে, আর ঠিক বিলের মাঝখানটায় টুক করে বসে খপ করে একটা মাছ ধরে নেয়| কত মজার মজার জিনিস দেখা যায় নদীর কাছের জঙ্গলটায়, যে না গেছে সে কি করে জানবে? একটা বড় গাছ অনেক দিন হলো ভেঙ্গে গেছে, অর্ধেকটা পাড় এর জল ছুইছুই, সেটার উপর বসে একলা একলা পা দোলাতে ভালই লাগে| হৈমন্তীর এই ভালো লাগা গুলো ওর মা বুঝলে তো|
বন্ধু সমেত ছোট ভাই জাবেদের ফোন পেয়ে জানতে পারলাম বন্ধু বর তাজুর মা আর নেই। খবরটা শুনেই আমার বুকটা কেন জানি কেঁপে উঠলো। কখন যেনো আমাকেও এ নিষষ্ঠুর খবরটা শুনতে হয়! বাবার কবরেতো মাটি দেয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এ যে কত বড়ো যাতনা, যার জীবনে ঘটে গেছে এ মরমন্তুদ নিষঠুরতা সেই কেবল উপলব্দি করতে পারে।