আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া শুরু যখন আমি ক্লাস নাইন এ উঠি। ক্লাসে একটা ষন্ডা প্রকৃতির ছেলে ছিল। নাকের সামনে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ত। ওকে কিছু বললে মার খাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাই মাঝে মাঝে ধোঁয়া খেয়ে মেনে নেওয়া বা ওকে এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় পাইনি।
কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?
উত্তর একটিই: ভালো নেই।
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।
বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংষ্কৃতি বর্তমানে গড়ে উঠেছে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে লুটেরা শ্রেণীর চরিত্র পূর্নাঙ্গভাবে ধারন করেছে এ কথা আজ নির্মম সত্য। দূর্নীতি আজ সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শ্রেণী চরিত্র মূলতঃ একই হলেও এটা ঐতিহাসিক সত্য নয়। বিভিন্ন ধারার সবচেয়ে লুটেরা শ্রেনীর লোকগুলো সামরিক ও বেসামরিক আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগী মধ্যবিত্ত সাম্রাজ্যবাদের দালাল বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের শুরু থেকেই সংগঠিত হয়েছে। এরাই অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার রূপকার, ধারক ও বাহক যা এদের শ্রেণী চরিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য চরমভাবে অপরিহার্য। এরাই কৌশলগতভাবে সর্বহারা, শ্রমজীবি ও কৃষক ইত্যাদি নিন্মবর্গীয় শ্রেণী থেকে দালাল সৃাষ্টি করে এবং এইসব দালালদের অর্থনৈতিক শ্রেনী-উত্তোরণ ঘটায়। এসব দালালের মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদী নেটওর্য়াক নিন্মবর্গীয় মানুষের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে শোষনমূলক এক অসম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহমান রেখেছে।
[justify]বিবর্তনবাদ খুবই সংবেদনশীল একটি বৈজ্ঞানিক মতবাদ। আমি খুব সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে বিবর্তনবাদ সর্ম্পকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি। বিবর্তনবাদ আমার কাছে অর্থবহ তার কারন –
১। বিবর্তনবাদ বিজ্ঞান স্বীকৃত (অবশ্য বেশীরভাগ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মত এ তত্ত্বও কিছুলোক এর সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।)
পোস্টের সম্পূর্ণ বক্তব্যই আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডার কথা জানাতে এখানে আমার উপস্থিতি ভেবে থাকলে ভুল করবেন। সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম পোস্ট। আশা করি অল্প কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরিভাবে সচল হতে পারব।
- - - - - - - - -
পাপী
- - - - - - - - -
১.
দয়া করে আমার এই পোষ্টে খারাপ লেগেছে কিংবা দুঃখ পেয়েছেন এ জাতীয় মন্তব্য করবেন না। কারুর সহমর্মিতা অথবা সহানুভূতি চেয়ে মানবিক আবেদন জানানোও আমার উদ্দ্যেশ্য নয়। এ লেখার তাৎপর্য কেউ বুঝতে পারলেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পাবো। ধন্যবাদ।
সাবরিনা সুলতানা
অনেক আশা ছিল, অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক বিশ্বাস ছিল...এইবার নিশ্চয়ই জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে; এখন থেকে নিশ্চয়ই নিজেদের ভুল বুঝে ঠিক পথে চলতে পারবেন। কিন্তু আমরা আসলে গাধা, শুধুশুধু আশা করি, স্বপ্ন দেখি। আপনারা যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনি যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনাদের সমাজের সবাই আসলে একই রকমঃ কোন পরিবর্তন নেই...শক্তি থাকলে আর কিছুর পরোয়া করেন না!
কিছুক্ষণ আগে No One Killed Jessica ছবিটা দেখা শেষ করলাম। ছবিটি যারা দেখেননি বা এর কাহিনী সম্পর্কে যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি - ছবিটিতে জেসিকা নামের একজন মেয়েকে হত্যার পরের কিছু ঘটনা দেখানো হয়েছে যেখানে হত্যার ঘটনার সময় চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হত্যাকারীর বাবা একজন ক্ষমতাশালী এমপি হওয়ার কারণে অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে ঘটনার চাক্ষুষ সকল সাক্ষী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, যার ফলে জেসিকার হত্
রাস্তার পাশে এক টং দোকানে সিগারেট কিনছিলাম। পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু'জন খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ঘর্মাক্ত শরীর আর ক্লান্ত চেহারাই বলে দিচ্ছে প্রতিদিনের শ্রমিক তারা। কিন্তু তাদের কথোপকথন কানে আসতেই একটু সতর্ক হলাম, তুলনামূলক অল্প বয়স্ক লোকটি বলছে_
হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন – এ্যারা তিনজনেই নাকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের লাইগা মনোনয়ন পাইসিলো! এখানে দেখুন
হেদিন কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক কাইতাসিলো সে নাকি মাদার তেরেসা আর মিশনারিস অফ চ্যারিটিস-রে ব্যক্তিগতভাবে পসন্দ করে না। আমি তো হুইনা অবাক – এ্যাদ্দিন তো জানতাম নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার, অং সান সু চি – এ্যাগো নোবেল সব তর্কাতর্কির উপরে। সেই সাংবাদিক কয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিস-এর নাকি ঝামেলা আসে।