চৈত্রে বৃষ্টি হবার কথা না কিন্তু এবার তাই হলো। আর এখন বৈশাখ পার হতে চললেও বৃষ্টির দেখা নেই। রাজশাহীতে ব্যাপারটা বরাবর এরকমই হয়ে আসছে। দেখা যাবে আশেপাশে বৃষ্টিতে সয়লাব কিন্তু রাজশাহীতে একটা ফোটাও পড়বেনা। আবার জেলার চেয়েও এক কাঠি সরেশ শহরটা। প্রায়ই এমন হয়েছে রাজশাহী শহরের আশে পাশে দিব্যি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু শহর খটখটে শুকনো। আবহাওয়াবিদদের জলবায়ুবিদ্যা কি বলে জানিনা কিন্তু মোটের উপর ব্যাপারটা এই। এই ক
প্রায় বছর পাঁচেক কিংবা তারও আগে আগে আমরা কিছু পোঁদপাকা পোলাপাইন হল্লা করতাম এই বলে যে দেশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ঠেকে না, সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব দ্রুত ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে আগাচ্ছে। তখন সব মহলের গেছোদাদারা খুব রাগ করতেন। তাদের একটাই কথা, (তথাকথিত) অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের কোন স্থান নাই। (তথাকথিত) ইতিহাস নাকি সাক্ষ্য দেয় এই ভূখণ্ডে বহুবছর ধরে সবাই মিলেমিশে হেসে খেলে কাটিয়েছে। সমস্য
কেউ একজন জানতো, বলেনি। কয়েকজন খুঁড়ে তুলছিল একটা পোকায় খাওয়া বিপ্লব। আর তাদের ঘাম ঝরে ঝরে পড়ছিল বৃষ্টির মত। ওদের ঘাম শুকোবার আগেই মজুরী চুকিয়ে দিতে পাশেই দাঁড়িয়েছিল টুপি পরা একজন লোক, আতরের গন্ধে সে ভারি করে তুলছিল আশপাশের বাতাস। অক্ষরের পর অক্ষর বসে যাচ্ছিল নিজের নিজের মত। আকাশ থেকে কিছু নামার কথা ছিল। এমন একটা দিন আসবে বলেছিল ওরা যে দিনটায় অন্যদিন গুলোর মত ধুলোবালি থাকবেনা। আর সত্যি সত্যি আকাশ থে
আমার অর্ধ যুগের বেশি সময় ধরে এই উত্তর ইয়্রোপের দেশে বাস, এখানে পড়তে কিংবা বেড়াতে এলে মানুষের অন্তত একটা কাজ করে, সেটা হল ক্রুজ শিপে করে বাল্টিক সাগরের আশে পাশের দেশ গুলোতে ঢু মারা। সেটা ফিনল্যান্ড থেকে, এস্তোনিয়া কিংবা লাটভিয়া হতে পারে। এই সুইডেন থেকে অনেক দূরের দেশে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু কক্ষনো শিপে চড়া হলো না, যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝে আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে আমি কেন একবারও নাম মাত্র মূল্যে
১৯৪৯ সাল। ঢাকা থেকে মাহে-নও, মোহাম্মদী, নওবাহার নামের পত্রিকা ছাপানো হত।
অনেকদিন আগে ‘যখন পুলিশ এলো’ শিরোনামে কয়েক পর্বে আমি লিখেছিলাম পুলিশ সম্পর্কে একেবারে প্রত্যক্ষ কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা।এগুলো এতটাই বাস্তব যে অনেকের অনেক অভিজ্ঞতার সাথে হুবহু মিলে যেতে পারে। অনেকদিন পর আবার পুলিশ প্রসঙ্গে লিখতে হল। বাবুল মাতবর বা তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বা সিটি কর্পোারেশন কর্মকর্তা বিকাশ কিংবা তারও আগে বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্র খলিল (সম্ভবত) এমন আরও অনেকের ক্ষেত্রে পুলিশ যে পোশা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবার গিয়েই অবাক হয়েছিলাম পুরনো স্কুল-কলেজ দেখে। সেই উনবিংশ শতাব্দীর স্কুল-কলেজ- শিল্পকলা একাডেমিই বলে দেয় কতটা শিক্ষা ও সংস্কৃতিবান্ধব এই জনপদ। কতটা ঐতিহ্যবাহী এখানকার জ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ। বয়স-রহস্যও আমাকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল। স্থানীয় মানুষের চেহারা-অবয়ব দেখে যা বয়স আন্দাজ করি বাস্তবে তা অনেক বেশি, এতটা বেশি যে সন্দেহ জাগে, ঠিক বললো কি না !
কিছুদিন আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক অবসরে গেছেন। তিনি ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনাতে সস্ত্রীক এসেছিলেন। স্ত্রীকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন "ও এমন একটা দেশ থেকে এসেছে যেখানে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মিউজিশিয়ান জন্মেছে"। আমার এই অধ্যাপকের অনেক বয়স হয়েছে। এখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারণে কথা বলেন। ভেবেছিলাম বয়সের কারণে হয়ত সব ভুলেটুলে গেছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন বিদেশির এরকম ধারনা আছে
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা। অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়।
সাথে আমার দু-এক কথা, হয়ত মজা করে, হয়ত আরও তীব্রতায়, কিংবা কোন ভিন্ন দেখা থেকে।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য [url=http://www.aesop-fable.com ]http://www.aesop-fable.com [/url]-এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি। গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
****************************************
পে-স্কেল ২০১৫ কে কেন্দ্র করে দেশের সব স্তরের শিক্ষকদের আন্দোলন অনেকদিন ধরেই চলছে। তন্মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন ভিন্নমাত্রা পেয়েছে সরকারের সচিবদের সাথে সরাসরি বাদানুবাদের জড়িয়ে যাওয়ায়। এই বাদানুবাদ বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, চাকুরির সম্মান, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি নানা অস্বস্তিকর তুলনার মধ্যে জড়িয়ে গেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও সমাধানের বদলে এই বিতর্কে নিজকে জড়িয়ে ফেলেছেন। বিতর্কে