সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মানুষকে সতর্ক করা। আমি যেহেতু দেশে থাকিনা, তাই আমার স্পষ্ট জানা নেই আমাদের দেশের মানুষ এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে কতটা সচেতন। পর্যাপ্ত সচেতন নয় বলেই জেনেছি। সেরকম হলে, সচেতন করা প্রয়োজন। দূর্ভাগ্যবশত এই লেখাটি গ্রামের সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছবে না যাঁরা সরাসরি নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, আপনারা যাঁরাই এই লেখাটি পড়ছেন সবাই কোন না কোনভাবে গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। আমি নিজে যা করেছি, সেটি আপনাদেরকেও অনুরোধ করি। গ্রামে স্বজনরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে আজকেই একটি ফোন করে সতর্ক করুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন নিপাহ ভাইরাস কী এবং এটা কীভাবে ছড়ায়। তাঁদেরকে জানিয়ে দিন কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্বজনদের প্রতি এটুকু দায়বদ্ধতা বোধহয় আমাদের থাকা উচিত।
এবার আপনাকে ব্যাকটেরিয়াদের মহাশক্তির কথা বলি। মানুষের কোষ প্রয়োজন মত বদলে নেয়া যায় সে আমরা জানি মাত্র বছর ছয়েক আগে। আর মানুষের শরীরে বসে ব্যাকটেরিয়ারা এই কাজ করছে অন্তত চার হাজার বছর ধরে! এরা মানুষেরই কোষ নিজেদের মত করে বদলে নিতে পারে বলে এই সেদিন দেখালেন তোশিহিরো মাসাকি নামের একজন গবেষক। এরপর থেকে এই বিষয়টা মনে হলেই আমি হেসে ফেলছি! কীরকমভাবে মানুষেরা ব্যাকটেরিয়ার হাতের পুতুল!
[justify]সাধারণভাবে দেখলে আমাদের শরীরকে মনে হবে খুব সূক্ষ্ণ আর বিস্তারিত পরিকল্পনা করে তৈরি করা। কিন্তু এরকম সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা আর এত আধুনিক ডিজাইনের এর পরেও আমাদের শরীরে হাজারো রোগ জীবাণু এত সহজেই বাসা বাঁধতে পারে কীভাবে? যে বিবর্তন প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে চোখ বা হৃৎপিণ্ডের মত জটিল অঙ্গ সৃষ্টি করতে পারল, সেই বিবর্তন কেন হার্ট অ্যাটাক বা আলঝেইমারের মত রোগগুলোকে সরাতে পারল না কেন?
রিচার্ড ডকিন্স এর একটি সাক্ষাৎকার
ফ্রাঙ্ক মিয়েল
অনুবাদঃ কোয়েল দাশ এবং খান তানজীদ ওসমান
প্রথম পর্ব
অনুবাদের ভূমিকাঃ
সার্জ হারশে এবং ডেভিড জে ওয়াইনল্যান্ড দুজনেই পৃথক পৃথক পদ্ধতিতে আবিষ্কার করলেন কীভাবে একটি স্বতন্ত্র কোয়ান্টাম কণাকে তার কোয়ান্টাম-মেকানিক্যাল ধর্ম সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রেখে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। যেটা আগে বিজ্ঞানীদের কাছে পুরোপুরি কাল্পনিক আর অসম্ভব মনে হতো। কারণ এসব কোয়ান্টাম কণা মানে পদার্থের কণা কিংবা আলোর কণা (ফোটন) বহিঃজগতের সংস্পর্শে আসা মাত্র মিথস্ক্রিয়ার ফলে
পচে যাওয়ার জন্য মরে যাওয়া কোন প্রয়োজন নেই। পচে যাওয়ার জন্য কেবল জন্মানো প্রয়োজন। জন্মের পর থেকেই আপনি প্রতি মুহূর্তে পচে যাচ্ছেন। কীভাবে পচে যাচ্ছেন সেটি বোঝার আগে কীভাবে বেঁচে আছেন সেটি মোটাদাগে বুঝে নেয়া যেতে পারে। একটি কোষের বেঁচে থাকার বর্ণনা দিলেই একটি প্রাণির বেঁচে থাকার নিয়ম বুঝতে পারা যায়।
কোষ একটা আপাত স্বয়ংসম্পূর্ণ জৈবিক সত্ত্বা। অনেকগুলো প্রোিটন মিলে খানিকটা তেল জাতিয় পদার্থ আর শর্করার সঙ্গে একটা থলি বানিয়েছে। সেই থলির ভেতরে বেশিরভাগটাই পানির মধ্যে ডুবে আছে আরো এটাসেটা প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ছোট ছোট যৌগ এসব। আর আছে নানারকমের জটিল কলকব্জা। কলকব্জা তৈরি হয়েছে ওই প্রোটিন-চর্বি-শর্করা মিলিয়েই। এইসব কলকব্জা প্রতিমুহূর্তে ঘটঘট করে কাজ করছে। বেঁচে থাকতে তাদের বিরতি নেই, কেবল খাটনি আর খাটনি। তেল মশলায় চুবানো কলকব্জা ভর্তি প্রোটিন-শর্করার এই থলি হচ্ছে একটা কোষ।
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন চেকবইয়ের হিসাব-নিকাশ আর স্মৃতিচারণ দুটো একসাথে করা খুবই কঠিন। মস্তিষ্কের দুর্গম এবং দুর্বোধ্য একটি অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত সিগন্যাল সংগ্রহের পর এই সংঘাতের কারণ খুঁজে পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের কয়েকজন গবেষক।