২০০৪-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টারের "একুশে স্পেশাল' ক্রোড়পত্রে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটির কিছু অংশের সঙ্গে আমি একমত। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে লেখাটির মূলভাবের সঙ্গেও একমত। কিন্তু অনেকখানি জায়গায় আমার দ্বিমত রয়েছে। এতো পুরাতন একটি লেখার ব্যাপারে হঠাৎ করে এই সময়ে কথা বলার কারণ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে যে ব্যাপারগুলোতে আমার বিশেষ দ্বিমত রয়েছে সেটা বলি।
জাফর ইকবাল স্যার একটা বিজ্ঞানের বই থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে একটি লাইনকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে সেটার বঙ্গানুবাদ করার চেষ্টা করেছেন।রবার্ট রেজনিক এবং ডেভিড হ্যালিডের লেখা "ফিজিক্স' বইটি থেকে উদাহরণটি নেয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সম্মান পড়ার সময় তিনি এই বইটি পড়েছেন।
যানজট বা যাতায়ত ব্যবস্থাপনায় বাস সবসময়ই প্রাইভেট কারের চেয়ে বেশি আদরনীয় কারণ, একই সংখ্যাক যাত্রী বহন করার জন্য যতগুলো বাস লাগে সেগুলোর বদলে কার ব্যবহার করলে তা অনেক বেশি রাস্তা দখল করে যানজট বাড়ায়। যেমন: ১২০ জন যাত্রী বহন করতে ৩০টা কার কিংবা ৩টা বাস লাগবে। ৩০টা প্রাইভেট কারের চেয়ে ৩টা বাস রাস্তায় এবং পার্কিংএ অনেক কম জায়গা নেয়। এছাড়া জ্বালানী খরচের কথা চিন্তা করলেও ৩০টা কারের চেয়ে ৩টা
[justify]আসলে সেখানে কোন অন্ধকার নেই, কোন জায়গা নেই। সিংগুলারিটির চারদিকে কোন কিছু বেষ্টন করে নেই। কোন স্থান নেই যেখানটা এটা দখল করে রয়েছে। কোন জমি এর জন্য বরাদ্দ নেই। এমনকি আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারবো না যে কত সময় ধরে সেটা ওখানে ছিল, বা এটা কি কিছু সময় পার হবার পর হঠাৎ করে অস্তিত্ব লাভ করেছে, অথবা এটা কি সেখানে অনন্তকাল ধরে সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিল। সময়ের অস্তিত্ব ছিল না। কোন অতীত ছিল না যেটা
মনে করুন আপনার চেনা জগতের পাশাপাশি এমন একটি জগৎ রয়েছে, যেখানে ঠিক আপনার মতই ঠিক আরেকজন রয়েছে? ১ অথবা এমন কি হতে পারে যে আমাদের এই পৃথিবীর মতই আরেকটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে? ঠিক ধরেছেন, আমি প্যারালাল ইউনিভার্সের কথাই বলছি।
[justify]গত পর্ব থেকে আমরা জলবায়ু বিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞানার্জনের পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আমরা দেখেছিলাম কিভাবে গত ১৩০ বছর ধরে পৃথিবীর তাপমাত্রা একটু একটু করে বেড়ে যাচ্ছে এবং এ তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে গ্রীন হাউস গ্যাস বিশেষত কার্বন ডাইঅক্সাইড কিভাবে ভূমিকা রাখছে সেটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। মূল বিবেচ্য বিষয় ছিল গত কয়েক দশক ধরে, বিশেষতঃ শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বা
সপ্তাহখানেক আগে শিক্ষাসফরে মাওয়া যেতে হয়েছিলো। পথের মধ্যে নির্মানাধীন যাত্রাবাড়ি গুলিস্থান উড়াল রাস্তার অংশটুকু পার হতে হয়েছিল। ঐ এলাকায় বাতাস ধূলাবালি দিয়ে ভর্তি - এক অসহ্য অসভ্য অবস্থা; অথচ আমি প্রায় নিশ্চিত যে ঐ প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময়ে নির্মানকালে এই ধরণের বায়ু দূষণ রোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে অঙ্গীকারনামা দেয়া হয়েছিল - এই ধরণের অঙ্গীকারনামা ছাড়া কোন প্রক
[justify]প্রথম পর্বে আমরা জেনেছিলাম যে স্বল্প সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোন স্থানের বায়ুমন্ডলের অবস্থা, যা কিনা তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেটাই হচ্ছে আবহাওয়া আর কোন নির্দিষ্ট স্থানের দীর্ঘ সময়ের (সাধারণত ৩০ বছরের) আবহাওয়ার বিভিন্ন অবস্থার গড় হিসাবই ঐ স্থানের জলবায়ু। আরো জেনেছিলাম যে জলবায়ু পরিবর্তন মূ
[justify]
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের একটি বহুল পরিচিত বিষয় যা বিজ্ঞানীদের গবেষনাগার থেকে শুরু করে চায়ের টেবিলে আড্ডা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বিবৃতি, কিংবা রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায় আলোচিত হয়ে আসছে। তবে বলতে দ্বিধা নেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আমরা যতটা ওয়াকেবহাল এর কারন বা এর পেছনের সুনির্দীষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে আমরা ঠিক ততটাই উদাসীন বা অজ্ঞ। এমনকি প্রায়শই আমরা শুনে থাকি বা পড়ে থাকি যে বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একমত নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই?