মৃত্যুর পর স্বর্গ বা নরক কোনকিছুই আমার জন্যে অপেক্ষা করছে না। তাই যদি খুন করে ফেলি কাউকে, কিছু আসে যায় না আমার পরকালের, যেমন আসে যায় না একটি মানুষকে বাঁচালে। নিতান্ত বিবর্তনীয় কারণ ছাড়া আর কোনো কারণে কি তাহলে আমি মানবতাতাড়িত? নাকি এ কেবলই প্রোথিত?
গত কয়েকদিন আগে হয়ে গেলো মহাকাশে প্রথম মানব বিচরণের (এপ্রিল ১২, ১৯৬১) সুবর্ণজয়ন্তী| যে মানুষটির চেহারা এরসাথে মনে ভেসে ওঠে তিনি ইউরি গ্যাগারিন| কৃষকের ঘরে জন্মানো ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই মানুষটি মানব সভ্যতার উজ্জলতম নক্ষত্র হয়ে থাকবেন চিরকাল| মহাকাশ থেকে ভেসে আসা প্রথম মানুষের প্রথম কথাটা ছিল "পৃথিবীটা দেখছি!
=============================================
পৃথিবীর মোট কার্বনের মজুদ ৭৫ মিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টনের চেয়েও বেশি। ধরিত্রী, এর জল, মাটি, আর বায়ুমণ্ডলে নিয়ত চলছে এক বিপুল কার্বন লন্ডারিং প্রক্রিয়া। কার্বন চক্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা স্থান আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আরেকটা স্থান সে পায়। বাতাস এবং পানি, ব্যাকটেরিয়া, তরুর দল, এবং জীবজন্তু কার্বন চক্রে একে অপরের মধ্যে পথ খুঁজে নেয়, অনাদিকাল ধরে। অথচ, আমাদের কার্বন যুগে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে ভূতাত্ত্বিক সময় মাত্র এক জীবনে এসে ঠেকেছে। কী করে হলো কার্বন ও প্রাণের উদ্ভব? কীভাবে বিবর্তনীক সৃষ্টিশীলতা কার্বনের বাতাস, সমুদ্র আর ভূমিতে চক্র কাটার দিক পালটে দিল? আবার কীভাবেই বা শুধুমাত্র গত ১৫০ বছরে বৈজ্ঞানীক, শিল্পপতি, এবং ভোক্তার দল এক শিল্পঘটিত কার্বন চক্রের জন্ম দিলো – মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের জমে থাকা ভূতাত্ত্বিক তলানিকে হঠাৎ উড়িয়ে দিলো বায়ুমণ্ডলে? কীভাবে বিবর্তন এবং মানব প্রযুক্তি একই রকম সমস্যাকে মোকাবিলা করে, বিবর্তনে প্রযুক্তির অবস্থান কোথায়, এবং কীভাবে কার্বনের এই জগত কাজ করে – এই সব প্রশ্নের উত্তর আর কিছু মৌলিক ধারণা দেবার জন্য এরিক রোস্টন লিখেছেন ‘কার্বন যুগ’ বইটি। সেই বইয়ের অনুবাদ চলছে। (গত পর্বের পর) আজকে থাকছে মুখবন্ধের বাকিটুকু।
=============================================
যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
যুগে যুগে অনেক মহা মনীষী ও মহা বিজ্ঞানী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে নানা রকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত যন্ত্রাবলী দ্বারা অতীতে যেমন মানুষজন উপকৃত হয়েছে তেমনি বর্তমানেও হচ্ছে, আশা করি ভবিষ্যতেও হবে। যুগ যুগান্তরের এইসব মহা-মনিষী, মহা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। কাল থেকে কালান্তরে এইসব বাংলাদেশী মহা-মনীষী পুঁথিগত বিদ্যা পরিহার করে তাঁদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে আমাদের জ্বালানী ব্যতীত বায়ু, পানি সহযোগে যন্ত্রচালনার স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও দেখাবেন। এদের মধ্যে অনেকেই আবার নিরন্তর চলৎ যন্ত্রের স্বপ্নও দেখিয়েছেন। অনেকটা এরকমই একটি খবর অতি সম্প্রতি (২৩ মার্চ, ২০১১) প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় দৈনিক “প্রথম আলো” যাদের স্লোগান হচ্ছে, “যা কিছু ভাল, তার সঙ্গে প্রথম আলো।”
আমরা আনুমানিক একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি যে সভ্যতার সূচনা হয়েছিল স্মৃতিচারণ এবং চিন্তুন প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে। এরই উপজাত হিসেবে হাতিয়ার ব্যবহার শুরু হয় ৩৮ লাখ বছর আগে। তাতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা তৈরি হয় - সূচনা হয় সাংস্কৃতিক বিবর্তনের। কিন্তু শুধু টিকে থাকার স্বার্থেই নয়, নিজের স্বজাতির সঙ্গে সংঘর্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনের বাইরে আরেকটি প্রবণতার সূচনা হয় - অন্যকে পরাজিত করার সেই উচ্ছাস যাক
[justify]বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আমেজ সবখানে। ব্লগ উপচে পড়ছে বাংলদেশের জয়ের আবেগে। আমি খেলা ভালো বুঝি না। বন্ধুরা যখন তুমুল তর্কে ব্যস্ত, আমি তখন দুই দিকেই মাথা নাড়ি। সাধারণ জ্ঞানে এইটুকু বুঝি - যে কোন খেলাতেই জিততে হলে কৌশলী হতে হয়। দুই পক্ষের মাঝে সামর্থ্যের তারতম্য থাকতেই পারে, কিন্তু সঠিক সময়ে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত, কূট বুদ্ধির যথাযথ প্রয়োগ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলকেও জিতিয়ে দিতে পারে।